#এখন নাকি দেবীপক্ষ !!!অঞ্জনা চক্রবর্তী
ঢাকের শব্দে শোনা যায়না কিছুই... কাঁসর ঘন্টা ধ্বনিত চতুর্দিকে ধূপ ধুনায় ধোঁয়া, বিষাক্ত পরিবেশে দুন্দুভির আর্তনাদ , বাতাসে... ইয়া দেবী সর্ব ভূতেষু .. আরাধ্যা... চিৎকার... শ্রবণ…
#এখন নাকি দেবীপক্ষ !!!
অঞ্জনা চক্রবর্তী
ঢাকের শব্দে শোনা যায়না কিছুই...
কাঁসর ঘন্টা ধ্বনিত চতুর্দিকে
ধূপ ধুনায় ধোঁয়া, বিষাক্ত পরিবেশে
দুন্দুভির আর্তনাদ , বাতাসে... ইয়া দেবী সর্ব ভূতেষু .. আরাধ্যা...
চিৎকার... শ্রবণ যোগ্য নয় আজ আর...
কেউ কি তবে শুনলো না ওই চিৎকার বাল্মীকি মেয়ের !! এ কোন সমাজ !!
কি ছিল তার অপরাধ.? .. সীতার সেই রাবণ কর্তৃক ছলনার স্বীকার |
বাল্মীকি সেই কবে লিখে গেলেন রামায়ণ
তারই কি এখনো চলছে পুনর্বাসন !
হে ধরণী দ্বিধা হও ...
ফিরিয়ে নাও নারী জাতি , তোমার গর্ভে
অবলুপ্ত হোক ধরিত্রী থেকে| যেমন গেছে সীতা
নীরব প্রতিবাদে, সসম্মানে |
শুধুই থাকে যেন পৌরুষ খ্যাতি !! ওই লিঙ্গের প্রলুব্ধ লোলুব্ধ কামুক জংলী প্রাণী |
শত শত দুর্যোধন যখন রাজসভায়
দ্রৌপদীর করে বস্ত্রহরণ , ধৃতরাষ্ট্র আজ রাষ্ট্রকে
করেছে অন্ধ.. প্রমাণ লোপাটে দগ্ধ নারী
নির্মম ভাবে হয় দাহ |
আজ যেনো দেবী আসে মুখ চাপা দিয়ে.. রুমালে
ভাষাহীন , জীহ্বাহীন ... ললাটে লাল টিপ পড়ে
শরীরে লেপ্টে থাকে সুন্দর শাড়ি, সুন্দর নিতম্ব
স্তন দেখা যায় প্রকাশ্যে
তাকে আর বলতে দেওয়া হবে না, হবে যে মাতৃবন্দনা, দেবী আরাধনা,এ সমাজ প্রতিদিন
নারীকে করছে পৈশাচিক ধর্ষণ |
ভেঙে ছুঁড়ে কেটে হিংস্র শত শত বাঘের উৎপীড়ণ |উপড়ে ফেলে চোখ ,
বাকশক্তি আজ নিরাশ্রয় ;কণ্ঠ রোধ |
এ কি ধর্ম !!
দ্রৌপদীর প্রশ্ন...রাজসভায়
সর্বসম্মুখে কাতর উক্তি..
বাঁচাও আমায় হে সখা , প্রাণপ্রিয় কৃষ্ণ।
এই কি হস্তিনাপুরের রাজ সাম্রাজ্য?
আজ সেই জিজ্ঞাসা আবার ফিরে আসে
কোন রাজ্যে আমরা আছি , এত অত্যাচারে !!
সীতার নীরব প্রতিবাদ , দ্রৌপদীর চিৎকার..
তারপর অক্ষম মোমবাতি মিছিল,এর শেষ কোথায়?
ধরণী দ্বিধা হও...
স্বস্থানে নির্ভয়ে ঘূমাক নারী।
সবার কি আজ জীহ্বা কাটা গেলো? বধির হয়েছে বাল্মীকি
কে লিখবে নতুন রামায়ণ আজ?
দূর্গা আসবে কতক্ষন
দূর্গা যাবে বিসর্জন
হাত পা কেটে চার চারটে মহিষাসুর আশ্রয় নেয়....
দেবী পক্ষ, পুরুষের কক্ষ যন্ত্রণায় |