। তরুন চট্টোপাধ্যায় ।কলকাতা ।সংক্রমণ আটকাতে ঐতিহাসিক রায় দিল হাই কোর্ট ।ডাক্তার দের আশঙ্কা কে মান্যতা দিয়ে কোর্ট জানালো দর্শক শূন্য রাখতে হবে পূজা মন্ডপ ।শুধু তাই নয় নো এন্ট্রি জোন ঘোষনা করতে হবে ।কোর্টের এই রায়ে অনেকেই স্বস্তির …
। তরুন চট্টোপাধ্যায় ।কলকাতা ।
সংক্রমণ আটকাতে ঐতিহাসিক রায় দিল হাই কোর্ট ।ডাক্তার দের আশঙ্কা কে মান্যতা দিয়ে কোর্ট জানালো দর্শক শূন্য রাখতে হবে পূজা মন্ডপ ।শুধু তাই নয় নো এন্ট্রি জোন ঘোষনা করতে হবে ।কোর্টের এই রায়ে অনেকেই স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেললেন।খুশি অনেক মানুষ ই।
দুর্গা পূজো কে কেন্দ্র করে জীবন ও জীবিকার কথা বারবার উঠে আসছে।মানুষ দলে দলে ঠাকুর দেখতে বেরুলে সংক্রমণ বাড়বেই।আবার না বেরুলে জীবিকার অসুবিধা হবে সেই সব মানুষের যারা এই পুজো কে কেন্দ্র করে জীবিকার সন্ধানে আছেন।মানুষ না এলে এদের জিনিসপত্র অবিক্রীত থাকবে।টান পড়বে পেটে।
এ ব্যাপারে নোবেল জয়ী অর্থনিতীবিদ অভিজিত বিনায়ক বন্দোপাধ্যায় সরাসরি বললেন বাড়ির বয়স্ক লোকেদের কথা মনে করে না বেরুলেই ভালো।কারন বাইরে থেকে সংক্রমণ নিয়ে এলে বাড়ির বয়স্ক মানুষ দের সংক্রমণের চ্যান্স থেকে যাচ্ছে ।তাই খোলা জায়গায় এই ভাইরাস সংক্রমণের সংখ্যা কম।তাই ভিড় এড়ানো জরুরি ।
আবার জীবনের সঙ্গে জীবিকার সম্পর্ক অবিচ্ছেদ্য ।পুজোয় কেনা কাটা ধরলে তা প্রায় 25 হাজার কোটি টাকা।এই হিসাব 2012 সালের।আর এই সংখ্যা বৃদ্ধি প্রায় প্রতিবছর শতকরা 35 ভাগ।তাই সেই অর্থের পরিমাণ হেলাফেলা নয়।
হাই কোর্টের এই রায় পুজো কমিটি গুলি বিপাকে।কারন মন্ডপ সজ্জা করেও তা বোধহয় মানুষ কে দেখানো যাবে না।কারন দর্শক শূন্য ও নো এন্ট্রি বোর্ড থাকলে মানুষ যেতে পারবে না।দর্শনার্থীদের মন্ডপে প্রবেশ নিষেধ।
গ্লোবাল অ্যাডভাইসারি বোর্ডের সঙ্গে রাজ্য সরকারের এ নিয়ে আগেই আলোচনা হয়েছিল।রাজ্য সরকার পুজোর ভিড় নিয়ে চিন্তিত ।সমস্ত স্বাস্থ্য বিধি মেনেই পুজো করার অনুরোধ করেছিলেন আগেই।
আজকের কোর্টের রায়ে সব থেকে বিপাকে গলির পুজো।নানা বিধি নিষেধের ঘেরাটোপে এদের পুজো করতে গেলে অসুবিধা হবে বৈকি।
কিন্তু উপায় তো নেই।আজকের স্বাস্থ্য দপ্তরের বুলেটিন অনুযায়ী একদিনে সংক্রমণ চার হাজারের ঘর ছুঁই ছুঁই ।ফলে পুজোতে ভিড় হলে তা যে সব রেকর্ড ভেঙে ফেলবে তার আশঙ্কা থাকছেই।
হাই কোর্টের এই ঐতিহাসিক রায় মেনে পুজো কমিটি গুলি আজই মাঠে নেমেছেন।সমস্ত আইন মেনে পুজো করা কিভাবে তা নিয়ে চলছে আলোচনা ।
কলকাতার পুজোর পরিসংখ্যান বলছে প্রতি দিন এক একটি প্যান্ডেলে দর্শনাথীর্ সংখ্যা প্রায় তিন লাখের কাছাকাছি ।এর এক চতুর্থাংশ এলেও তা সংক্রমণ ছড়ানোর পক্ষে যথেষ্ট ।
মাঠে নেমেছেন মহামান্য আদালত।এবার যদি এই সংক্রমণের রাশ কে আটকানো যায় ।খুশি মানুষ জন।