Page Nav

HIDE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

সৃষ্টি-সাহিত্য-পত্রিকার-দৈনিক-সেরা-লেখনি-সম্মাননা

*দীপা_ব্যানার্জী*সঠিক_শিক্ষা
"তুমি মাকে এভাবে বলতে পারলে? তোমার কোনো শিক্ষা দীক্ষা নেই! আমি অবাক হয়ে যাচ্ছি রিয়া তোমার ব্যবহার দেখে! তোমার যদি এখানে না পোষায় তাহলে তুমি যেখানে খুশি চলে যেতে পারো, তবে আমার মায়ের সঙ্গে এম…


 *দীপা_ব্যানার্জী

*সঠিক_শিক্ষা


"তুমি মাকে এভাবে বলতে পারলে? তোমার কোনো শিক্ষা দীক্ষা নেই! আমি অবাক হয়ে যাচ্ছি রিয়া তোমার ব্যবহার দেখে! তোমার যদি এখানে না পোষায় তাহলে তুমি যেখানে খুশি চলে যেতে পারো, তবে আমার মায়ের সঙ্গে এমন দুর্ব্যবহার আর কখনো মেনে নিতে পারব না! "

রাহুলের কথায় আজ খুব খারাপ লাগলো রিয়ার। যদিও এসব শুনতে শুনতে তার অভ্যাস হয়ে গেছে। এতো নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপার। আগে ভীষন খারাপ লাগতো তার কিন্তু এখন বোধহয় গন্ডারের চামড়া হয়ে গেছে। কিছুতেই এসব আর তার মনকে প্রভাবিত করে না। হয়তো যুক্তি দিয়ে বিচার করে কোনটা তার জন্য অপমানজনক সেটাই বুঝতে ভুলে গেছে রিয়া! ইদানিং নিজের সম্পর্কে সবসময় অভিযোগ আর বদনাম শুনে শুনে নিজের ওপর ঘেন্না ধরে গেছে তার। কিন্তু আজ সে কথাটা সহজে হজম করতে পারলনা।

 ইংরেজরা সেই কোন ১৯৪৭ সালে দেশটাকে স্বাধীন করে পালিয়েছে, কিন্তু রিয়া এখনো পরাধীন। 

শ্বশুরবাড়িতে আসার প্রথম দিন থেকেই সে পুরো খাঁচায় বন্দী হয়ে গেছে। বিয়ের আগের সব সাধ আহ্লাদ অভ্যাস ভালো লাগা মন্দ লাগা সবকিছু জলাঞ্জলি দিতে হয়েছে। কিন্তু তাতেও এদের খুশি করতে পারেনি। তবে তার দ্বারা যতটা সম্ভব হয় করে সে। কিন্তু কিছু কিছু ক্ষেত্রে অবশ্য প্রতিবাদ না করে থাকতে পারেনা। হাজার হোক গায়ে তো মানুষের রক্ত বইছে! বিয়ের আগে যথেষ্টই স্বাধীনচেতা ছিল রিয়া। বাপের বাড়িতে থাকতে সেভাবে কোনদিনও কোন কাজে বাধা পায়নি।

অবশ্য বাবা-মার সম্মানের কথা চিন্তা করে, এমন কোনো কাজ সে করেনি যাতে তাদের কোন অপ্রীতিকর পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হয়। তারাও রিয়াকে যথেষ্ট বুঝত। কিন্তু রাহুলকে সে এখনো বোঝাতে পারল না যে সে কখনোই তাদের খারাপ চায়নি।সে শুধু অসার নিয়মকানুনগুলো মানতে নারাজ। সব নিয়মের বোঝা কেন মেয়েদের ওপরেই চাপবে! আর রাহুলের পুরো পরিবার তো এতটাই কুসংস্কারাচ্ছন্ন যে এরা হাঁচি থেকে টিকটিকি সব মানে। আজ এটা খেতে নেই কাল টা করতে নেই এইসব করে করে রাহুলের মা গোটা জীবন অতিবাহিত করে দিল। সারাদিন এইসব খুঁটিনাটি নিয়ম পালন আর সন্ধ্যা হলেই স্থূল টিভি সিরিয়াল। এই হল এদের প্রতিদিনকার নিয়ম।এসব দেখে দেখে রিয়ার হাঁফ ধরে যায়। 

বিয়ের আগে জীবনটা কত রঙিন ছিল। সবাই একসঙ্গে বসে গল্প গুজব, গান, হাসি ঠাট্টা। ছুটির দিনে সবাই একসঙ্গে টিভিতে গেম শো দেখতে দেখতে খাওয়া।‌ সবচেয়ে কষ্ট লেগেছিলো সেদিন যেদিন রিয়া জানতে পারল এই বাড়িতে গল্পের বই পড়া অপরাধের। গল্পের বই পড়লে নাকি মতিভ্রম হয়। মানুষ নাকি কল্পনাবিলাসী হয়ে পড়ে! এদের কাছে গল্পের বই পড়া, গান শোনা বিলাসিতা। রিয়া যদি কখনো মিউজিক সিস্টেমে মেলোডিয়াস হিন্দি গান চালায় তো ওর শ্বাশুড়িমা সঙ্গে সঙ্গে দৌড়ে এসে বন্ধ করে দেন। কি না, হিন্দি গান বড় অশ্লীল। হিন্দি সিরিয়াল, হিন্দি সিনেমা সব ওদের কাছে অশ্লীল। কিন্তু ওরা এটা বোঝেনা যে ওটা শুধুমাত্র একটা ভাষা। ওদের জন্য রিয়া আজকাল একটা ভালো সিনেমাও দেখতে পায়না। রিয়ার জীবন থেকে হাসি আনন্দ যেন কেউ ব্লটিং পেপার দিয়ে শুষে নিয়েছে। 

অথচ পড়াশোনাতেও তো সে তেমন একটা খারাপ ছিলনা। উচ্চ মাধ্যমিকে ফার্স্ট ডিভিশন পেয়ে শহরের নামকরা কলেজে ভর্তি হয়েছিল। সেখান থেকে সন্মানের সঙ্গে পড়াশোনা শেষ করে একটা ভালো চাকরির জন্য অপেক্ষা করছিল। ঠিক সেই মুহূর্তে তার এক দূর সম্পর্কের আত্মীয় তাদের আরো দূর সম্পর্কের এক আত্মীয়ের ছেলের বিয়ের জন্য রিয়ার নাম রেকমেন্ড করে। তাদের রিয়াকে ভীষন পছন্দ হয়ে যায়। তারা নাকি একটা সুশিক্ষিতা আধুনিকা মেয়ে খুঁজছিল তাদের ছেলের জন্য। তাদের নাকি নির্ঝঞ্জাট পরিবার। ছেলের কোনো দাবি দাওয়া নেই। ছেলে নিজেই নিজের ঘর অলরেডি গুছিয়ে নিয়েছে। ফলে খাট, ড্রেসিং টেবিল, আলমারি ইত্যাদি ইত্যাদিও দেওয়ার কোনো প্রয়োজন নেই। সেক্ষেত্রে রাহুল অবশ্যই সুপাত্র হিসেবে অগ্রগন্য। তাই হয়তো রিয়ার বাবা মেয়ের বিয়ের জন্য খুব বেশি ভাবেননি। এককথায় রাহুলের সঙ্গে বিয়েটা ঠিক করে দিয়েছেন। রিয়া এই বিয়েতে কিছুতেই রাজি ছিল না। তার স্বপ্ন ছিল একটা ভালো চাকরির, একটা স্বাধীন জীবনের, যেখানে সে কোনো শর্ত ছাড়াই নিজের ইচ্ছায় যা ইচ্ছা করতে পারবে। কিন্তু এটা ভারতবর্ষ। এখানে এখনো মেয়েদের ভালো থাকা মানে একমাত্র শ্বশুরবাড়িতে থাকা বোঝায়। তাদের একমাত্র পাওনা বরের ভালোবাসা, একমাত্র চাহিদা স্বামী সন্তানের মঙ্গল। একমাত্র কাজ ঘরের দেখভাল করা, স্বামীর সেবাযত্ন করা ও সন্তান জন্ম দেওয়া মানুষ করা। চাকরি করলেও বরের থেকে সবসময় নিজেকে নিচু করে রাখা নইলে আবার বরের ইগো হার্ট হয়! 

এসব কিছুই রিয়া মেনে নিয়েছে। কিন্তু নিয়ম নিষ্ঠার বাড়াবাড়ি তার একদম পছন্দ নয়। তার ঠাকুমা দিদিমা এমনকী মাও যথেষ্ট ভক্তিমতী।তার বাপের বাড়িতেও প্রতিদিন পুজো হয়। মা যত্ন করে ফুল দিয়ে সিংহাসন সাজিয়ে ভক্তিভরে ভগবানের পুজো করে। এতে আড়ম্বরের ঘটা থাকে না, কিন্তু ভরপুর ভক্তি শ্রদ্ধা থাকে। ছোট থেকে এসব দেখেই রিয়া অভ্যস্ত। সেও ভগবানে বিশ্বাসী। কিন্তু রিয়া তার শ্বাশুড়িমাকে কোনদিন ঠাকুরঘরে ঢুকতে দেখেনি। পুজোআচ্চায় ওনার তেমন কোন ইন্টারেস্ট নেই। উনি শুধু রিয়াকে নাজেহাল করার জন্য তার ওপর উল্টোপাল্টা নিয়ম চাপিয়ে দেয়। বিয়ের পর থেকে সে জেনে আসছে নিজের জন্মবারে, বরের জন্মবারে, সন্তানের জন্মবারে আবার শনিবার ও মঙ্গলবারে নখ কাটতে নেই, শ্যাম্পু করতে নেই। আগে ব্যাপারটা তাও ঠিক ছিল। কিন্তু এখন ব্যাপারটা বড় জটিল হয়ে গেছে তার কাছে। সবকিছু মেনে চলতে গেলে তার শ্যাম্পু করা ও নখ কাটার জন্য সপ্তাহে মাত্র একদিন থাকে। এই একদিনও অনেক সময় ব্যাস্ততার কারনে এসব করা হয়ে ওঠে না। ইদানিং শ্যাম্পু ঠিকভাবে না করার দরুন চুল উঠে যাচ্ছে, মাথায় নোংরা জমে খুসকি হচ্ছে, মাথা চুলকোচ্ছে। 


আজ সকালে দোষের মধ্যে রিয়া আজ শ্যাম্পু করে ফেলেছে। কিন্তু মনে ছিল না যে আজ রাহুলের জন্মবার।আসলে মাথায় এত নোংরা হয়েছিল যে ও আর সহ্য করতে পারছিলনা। চুল পুরো জট হয়ে গেছিল। গত‌ সপ্তাহে ভীষন ঠান্ডা লেগেছিল,তাই শ্যাম্পু করা হয়নি। আগামী কাল শনিবার পরদিন ছেলের জন্মবার। তাই আর না পেরে করেই ফেলেছিল। ভেবেছিল শ্বাশুড়ি সমস্যাটা বুঝতে পারবেন। কিন্তু বাথরুম থেকে তোয়ালেটা জড়িয়ে বেরোনো মাত্রই উনি আঁৎকে ওঠেন। সঙ্গে সঙ্গে রিয়াকে তিরষ্কার করতে শুরু করে দেন। 

" তোমার কোনো কান্ডজ্ঞান নেই! আজকের দিনটা বাদ দিয়ে মাথা ঘষলে কি এমন অপরাধ হতো। আসলে বাবা মা তো এসব শিখিয়ে পাঠায়নি! রিফিউজি বাড়ির মেয়ে কত আর শিক্ষা দীক্ষা হবে"।

উনি কথায় কথায় রিয়াকে রিফিউজি বাড়ির মেয়ে বলে খোঁটা দেন। দেশভাগের পর রিয়ার দাদু বাংলাদেশ থেকে সব হারিয়ে উদ্বাস্তু হয়ে এসেছিলেন। এখানে এসে কোনমতে একটা মাথা গোঁজার ঠাঁই জোগাড় করে একেবারে শূন্য থেকে শুরু করেছিলেন। পরে নিজের চেষ্টায় নিজের আর্থিক উন্নতি করলেও রিফিউজির তকমা টা কিছুতেই নিজের থেকে আলাদা করতে পারেননি। এখন রিয়াকে এই কথা শুনে চলতে হয়। প্রথম প্রথম ভীষন অবাক হতো ও। এখন ভীষন রাগ হয়। আসলে ওরা ওর দাদুর উদ্বাস্তু হয়ে আসাটাকে বড্ড বেশী অপমানের চোখে দেখে। আর কথাটা শুনিয়ে যেন এক পৈশাচিক আনন্দ লাভ করে। যেহেতু নিজেরা এদেশী তাই রিয়ার দাদু বাবা যথেষ্ট শিক্ষিত হওয়া সত্ত্বেও ওদের নীচু নজরে দেখে।

বহুদিন মুখবুজে সহ্য করলেও আজ রিয়ার সব ধৈর্য্যের বাঁধ ভেঙে গেল। সে শ্বাশুড়ির কথার তীব্র প্রতিবাদ করে উঠলো।


"মা আপনি যা বলবেন একটু ভেবেচিন্তে বলবেন। আপনার জন্য আমার মাথার অবস্থা খারাপ হয়ে গেছে। এতবড় চুল আমার উঠে উঠে সব শেষ।আর কত সহ্য করব বলুন! আপনার ওই যুক্তিহীন নিয়ম আমি আর মানতে রাজি নই। শুধু চুল শ্যাম্পু না করে বা নখ না কেটে বর ও সন্তানের মঙ্গল হয়না। তাদের জন্য কাজ করতে হয়। তাদের ভালোবাসতে হয়। আমি মনে করিনা যে এইসব নিয়মে কারো কোনো ভালো হয়। আর আমার বাবা কলেজের অধ্যাপক, তিনি আমাকে সঠিক শিক্ষাই দিয়েছেন।আর আমার দাদু প্রান বাঁচাতে বাধ্য হয়ে নিজের বাড়িঘর ছেড়ে ভারতে পালিয়ে এসেছেন। এতে তার কোনো দোষ নেই"

শ্বাশুড়ি ঝাঁঝিয়ে উঠলেন,

"জানি বাবা জানি সব বাঙালদের বাংলাদেশে বিঘে বিঘে জমি ছিল, জমিদারি ছিল।ওসব কাঙালগুলোর মুখে ছোট থেকে ইস্তক শুনে আসছি আমি। এমন ভাব করে যেন ওখান থেকে না আসলে কোটিপতি বনে যেত এতদিনে। ছাড়ো তো ওসব ন্যাকামি! অনেক জানা আছে। আমরা না খেতে দিলে, থাকার জায়গা না দিলে কাঙালগুলোকে শেয়াল শকুনে ছিঁড়ে খেত। আমরা অনেক করেছি ওদের জন্য।আর এইজন্যই এখন তোমরা মাথায় চড়ে বসেছ!"


এবার রিয়ার রাগে বাহ্যজ্ঞান লোপ পেয়ে গেল। যেটা সে কখনোই করেনি সেটাই করে বসলো। শ্বাশুড়িকে একটা অপ্রিয় কথা বলে ফেললো। যদিও বলার জন্য তার যথেষ্ট অনুতাপ হচ্ছিল। কিন্তু সেই সময় আচমকাই রঙ্গমঞ্চে রাহুলের প্রবেশ ঘটলো। রিয়াকে তীব্র ভাষায় তিরষ্কার করে উঠলো। রিয়া যথেষ্ট অনুতপ্ত ছিল, আসলে হাজার হোক বাবা মা তাকে কখনোই বড়দের মুখের ওপর কথা বলতে শিক্ষা দেয়নি। কিন্তু রাহুলের কথায় আজ তার সব গ্লানি মুছে গেল। সে বারবার বলতে লাগলো আজ অন্তত সে কোনো ভুল করেনি। তার বাবাই তো তাকে শিখিয়েছে যে অন্যায় যে করে আর অন্যায় যে সহে দুজনেই সমান অপরাধী হয়। তাহলে তার ভুলটা কোথায়!

এসব অসার নিয়মকানুনগুলো মেনে কি হবে! যদিনা অন্যের প্রতি কোন শ্রদ্ধাই না থাকে! তাকে অপমান করার অধিকার তার শ্বাশুড়ির যদিও থাকে তার বাবা বা দাদুকে কিভাবে তিনি কথায় কথায় অপমান করেন! আর রাহুলের কি এব্যাপারে তার মাকে বোঝানো উচিত নয়! সে তো নিজে শ্বশুরবাড়িতে গিয়ে কোনদিনও কোনো আদরযত্নের অভাব পায়নি! তার বাবা মা কখনো তো তাদের নামে কোনো বাজে কথা বলে না! তাহলে এটাই বা সে কিভাবে মেনে নিতে পারে!


যাইহোক কথাগুলো বলে সে মাথা নীচু করে নিজের ঘরে চলে আসলো। রাহুল আরো কিছু তীর্যক মন্তব্য করে গেল, কিন্তু কোনটাই আর রিয়া কানে তুললো না। মনে মনে বেশ একটা বুদ্ধি ভাবতে লাগলো। কিভাবে এর জবাব দেওয়া যায়! এরপরে দুদিন আর এবিষয়ে কোনো উচ্চবাচ্য করেনি সে। শ্বাশুড়ির মুখ দেখে মনে হলো তিনি যথেষ্ট অনুতপ্ত নিজের ব্যবহারে। আসলে এর আগে কোনদিন রিয়া তাকে ফিরে কথা শোনায়নি। সেদিন রিয়ার বলা কথাগুলো তার অন্তরে প্রবেশ করেছে। তিনি বুঝতে পারলেন যে তিনি ভুল করেছেন।


পরের সপ্তাহের সোমবার সকালে যখন সে দরজা খুলে বেরিয়ে এলো তখন তাকে দেখে সবাই থ হয়ে গেল।

 রাহুল চিৎকার করে উঠল,

"রিয়া তুমি কি পাগল হয়ে গেছ নাকি! এ টা কি করেছ! "


"কেন ভুল কি করেছি , আমার মাথায় রীতিমতো ঘা হয়ে গেছে, শ্যাম্পু তো করতে পারছিনা দিনের পর দিন। তাই ভাবলাম না রহেগা বাঁশ, না বাজেগি বাঁশুরি। মাথাই কামিয়ে ফেললাম। এবার আর শ্যাম্পু করার ঝামেলা নেই।"

 চুল সামান্য বড় হলে প্রতি সোমবার আবার ক্ষুর দিয়ে চেঁচে দেব।" 


রাহুল ও তার মা হতবুদ্ধি হয়ে দাঁড়িয়ে রইল। ন্যাড়া মাথা নিয়েই রিয়া রান্নাঘরে ঢুকে পড়লো।

শ্বাশুড়িমা এবার রান্নাঘরে গিয়ে বললেন, 

"পাগলী একটা, এমন কেউ করে। আর তোমাকে আমি এসব মানতে বলবনা। আর তোমার বাবার সম্বন্ধেও আর কোনোদিন কোনো অপমানজনক কথা বলবনা।" 

রিয়াও হাসতে হাসতে মাথা থেকে টেকো উইগটা খুলে ফেললো। 

#দীপা_ব্যানার্জী