বেশ্যা
তোমাদের মতো আমারও ছিল বাবা-মা-ভাই-বোন,হারিয়ে গেছে জীবন থেকে ওরা,নেই কোনো প্রিয়জন।আজ আমি এক বেশ্যা নারী, শরীর বেচে খাই,প্রতিনিয়ত করে চলি আমি, বেঁচে থাকার লড়াই।পতিতালয়ে কেটে যায় দিন চার দেওয়ালের মাঝে,রং কালি মেখে পসরা …
বেশ্যা
তোমাদের মতো আমারও ছিল বাবা-মা-ভাই-বোন,
হারিয়ে গেছে জীবন থেকে ওরা,নেই কোনো প্রিয়জন।
আজ আমি এক বেশ্যা নারী, শরীর বেচে খাই,
প্রতিনিয়ত করে চলি আমি, বেঁচে থাকার লড়াই।
পতিতালয়ে কেটে যায় দিন চার দেওয়ালের মাঝে,
রং কালি মেখে পসরা সাজিয়ে,বসে থাকি রোজ সাঁঝে।
কসাইরূপী খোদ্দেরগুলো শরীরে ঝাঁপিয়ে পড়ে,
কামের আগুনে জ্বলে পুড়ে যায়,আমাকে ছোঁয়ার পরে।
নগ্ন শরীরে শুতে হয় রোজ কতো পুরুষের পাশে,
শরীরের খিদে মেটাতে ওরা আমার কাছেতে আসে।
বিশ্বাস করো চাইনি আমি, এমন ঘৃণ্য জীবন,
ভয়ানক এক অতীত ছিল বেশ্যা হওয়ার কারণ।
সমাজ আমাকে ভ্রষ্টা, পতিতা,বেশ্যা বলেই ডাকে,
নীরব চোখের অশ্রুজল,বলোনা দেখাবো কাকে?
তোমাদের মতো আমিও মানুষ,রক্ত-মাংসে গড়া,
আমিও চেয়েছি সুস্থ জীবন, সংসার সুখে মোড়া।
পাইনি এমন প্রেমিক হৃদয় বুঝবে আমার মন,
শরীরের খেলা খেলেছে সবাই,প্রতিদিন প্রতিক্ষণ।
মাঝে মাঝে ভাবি এ জীবন ছেড়ে বহুদূর যাই চলে,
চিনবে না কেউ আমায় সেখানে,ডাকবেনা বেশ্যা বলে।
কলুষিত এই নোংরা জীবন কেউ যেনো না পায়,
কোনো মেয়েকেই আমার মতো,বেশ্যা না হতে হয়।
সুদীপ্তা দে সরকার