অভিমন্যু(কাল্পনিক)============== ১৪/১০/২০ #অজ্ঞাত
আজ থেকে অযুত বর্ষ পরে হয়তো অদৃশ্য দুর্ভাগা এক মমি পাবে কেউ, প্রতি পরতে জমাট নোনা বরফ আর তীক্ষ্ণ শলাকা কিছু পেতেও পারে-- তখনও শালুক ফুটবে আর সূর্য উঠবে আজকের মতো,কোলাহল ও পাবে, থাকবেনা শু…
অভিমন্যু(কাল্পনিক)
==============
১৪/১০/২০
#অজ্ঞাত
আজ থেকে অযুত বর্ষ পরে হয়তো
অদৃশ্য দুর্ভাগা এক মমি পাবে কেউ,
প্রতি পরতে জমাট নোনা বরফ আর
তীক্ষ্ণ শলাকা কিছু পেতেও পারে--
তখনও শালুক ফুটবে আর সূর্য উঠবে
আজকের মতো,কোলাহল ও পাবে,
থাকবেনা শুধু অভিমন্যু,বজ্র তনু!
জন্মক্ষণ নক্ষত্র পরিচালিত,শোনা যায়,
আকাশ গঙ্গা কার পরিচালনায়,জানা নাই!
ঐতিহ্য আভিজাত্য সংস্কার সব ছিল,
পরম্পরাগত,তাও কোন অমোঘ চক্রব্যুহ
এগোতে দেয়নি এক চুল ও,কপাল লিখন
বা নক্ষত্র,আতিশয্য বিড়ম্বনার ---!
জন্মজন্মান্তরের অঙ্গীকার ভেঙ্গে, সেও তো
চলে গেছিল,দুর্ভাগ্য কবলিত একলা ফেলে,
পাহাড় প্রমাণ শুকনো ভালবাসা রজনীগন্ধা
পড়ে আছে ধুলিধুসরিত সুদৃশ্য চাদরে---
একলা---
মাধব জানতো-সর্বনাশা অভিমন্যু ভাগ্য,
কিন্তু "নিয়তি কে ন বাধ্যতে",তাহলে কালাচাঁদ,তোমার চেয়ে নিয়তি বড়!
কোন ত্রুটি ছিলনা চেষ্টায়--
জীবন পথের কাঁকড় বাছা,ফুল ছড়ানোয়,
সব ইচ্ছাগুলো মুহ্যমান হলো শেষ রক্তবিন্দু অবধি,
সেখানেও হতভাগ্য পিছু ছাড়ে নি,
আপনার হাতেই মারণাস্ত্র,নিষ্ঠুর অট্টহাস!
চলেছে তবুও অভিমন্যু-রা,আপন রাস্তায়,
এখনও রক্ত আছে শ্বাস আছে তাগিদ আছে!
বীর গাথা'র শেষ অধ্যায়ে এসো প্রিয়ে,
ফুলমালা গলে,কিছু কনকচাঁপা নিয়ে,
আর ঐ লাল সূর্য টিপ কপালে এঁকো সেদিন, ভুলে যেও পুরাতন অভিমান,মানবী,সেদিন,
একটা বিজয় তিলক দিও মৃত কপালে--
বৈতরণী ভাঁটায় একবিন্দু অশ্রু দিও,
সেই জোয়ারে ভেসে যাবে জেনো--
দুর্ভাগা পরাজিত কুসুম হৃদয়,
বজ্রতনু,অভিমন্যু------!
----অজ্ঞাত।।