Page Nav

HIDE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

সৃষ্টি-সাহিত্য-পত্রিকার-দৈনিক-সেরা-লেখনি-সম্মাননা

"  দুর্গা দুর্গতিনাশিনী"লেখিকা: চন্দনা দে(সিনহা)        ৮/১০২০২০শরতের কাশফুল মাথা দুলিয়ে দুলিয়ে জানাচ্ছে মা আসছেন। শিউলির গন্ধ, সাদা মেঘের ভেলা, ঢাকির ঢাক শুকোতে দেওয়া সব কিছুতে ধুমধাম না হলেও মায়ের আগমনবার্তা ধ্বনি…

 


"  দুর্গা দুর্গতিনাশিনী"

লেখিকা: চন্দনা দে(সিনহা)

        ৮/১০২০২০

শরতের কাশফুল মাথা দুলিয়ে দুলিয়ে জানাচ্ছে মা আসছেন। শিউলির গন্ধ, সাদা মেঘের ভেলা, ঢাকির ঢাক শুকোতে দেওয়া সব কিছুতে ধুমধাম না হলেও মায়ের আগমনবার্তা ধ্বনিত হচ্ছে।- মৃন্ময়ী মূর্তি তৈরীর জন্য লাগে দশ জায়গার মৃত্তিকা, শাস্ত্রজ্ঞ দের মতে এই দশজায়গায় মৃত্তিকা হলো যথাক্রমে-নদীর দুই কুলের মৃত্তিকা, পর্বত শৃঙ্গের মৃত্তিকা, গজদন্তের মৃত্তিকা, বরাহ শৃঙ্গের মৃত্তিকা, বৃষ শৃঙ্গের মৃত্তিকা, যজ্ঞের মৃত্তিকা, পৃথিবীর মৃত্তিকা, চার রাস্তার মিলন যেখানে ঘটেছে অর্থাৎ চতুষ্পদ এর মৃত্তিকা, রাজদ্বার এর মৃত্তিকা, শেষে নিষিদ্ধ পল্লীর

মৃত্তিকা; পুরান বিশেষজ্ঞদের মতে সমাজের সব স্তরে মৃত্তিকা দিয়ে দেবী মূর্তি তৈরির কারণএকটাই-সমাজের সব স্তরের কেউ যেন নিজেকে অপাংক্তেয় না মনে করে। বহু বছর ধরেই প্রথা প্রচলিত। তবু কেন এত বৈষম্য। সবাই মায়ের সন্তান, উঁচু নিচু, জাত পাত, সাদায়-কালোয়, নারী-পুরুষে কেন এত বৈষম্য। কেন এত দরকষাকষি, হানাহানি, ভেদাভেদ;

"ইয়া দেবী সর্বভূতেষু মাতৃরূপেণ সংস্থিতা-"সব সন্তানই  একসাথে করপুটে শ্রদ্ধার সঙ্গে মাকে নৈবেদ্য দিয়ে বলি--

"হর রোগং, হর ক্ষোভম্, হরদেবী হরিপ্রিয়ে,"।

ছোটবেলা থেকে শুনে আসছি মহালয়ার সুরে-"জাগো দুর্গা জাগো দশভুজা ধারিণী,,"--মা কবে জাগবে?? তোমার লক্ষী তোমার স্বরস্বতী দের তুমি বাঁচাও, অকালে তাদের পড়াশোনা বন্ধ হয়ে যায়, পণেরদায় আর কন্যাসন্তান জন্ম দেওয়ার জন্য আজও পুড়ে মরতে হয়।, আজও  ওরা অসুরের নখের আচরে নির্যাতিতা, একশত তেত্রিশ কোটি জনতার মাঝে তেত্রিশ কোটি দেবতার আসনে আসীন হয়েছিল রাম রহিম। তোমার ত্রিশূলে কি মরচে পড়েছে,? খড়্গের কি ধার কমে গেছে? তা না হলে অসুরেরা নিধন হচ্ছে কোথায়? পৃথিবী ধ্বংসের পথে--"তোমার আলোর বেণু বাজলো কই"?

কাশ্মীরে তুমি,দাক্ষিণাত্যে তুমি অম্বা ওঅম্বিকা, গুজরাতে হিঙ্গুলা ও রুদ্রাণী, কন্যাকুব্জে কল্যাণী, মিথিলাতে তুমি উমা, কন্যাকুমারী, আদ্যা শক্তি, মহামায়া, সিংহবাহিনী, শেরাবালি, দশভূজা কত শত রূপে বিরাজমান, তবে  মা জাগো"দুর্গে দুর্গতিনাশিনী" দশ হাতে দশঅস্ত্র নিয়ে দশদিক কাঁপিয়ে অসুরকে বেধড়ক মার দিয়ে পৃথিবী থেকে বিদায় কর। আর আমাদের চিন্ময়ী মা, মাসি, যারা শুধু দিয়ে গেছেন, বদলে কেউ শ্রদ্ধাভরে করপুটে অঞ্জলি ভরে সুখের ডালি সাজিয়ে দেয় নি, সেইমায়েরা  নিশ্চিন্তে তাদের কন্যা সন্তান- মা লক্ষ্মী, মা সরস্বতীদের নিয়ে নিশ্চিন্ত হয়ে, শরতের শিউলি নিয়ে করজোড়ে শক্তির আরাধনা করুক।

"ইয়া দেবী সর্বভূতেষু

শক্তি রুপেন সংস্থিতা

নমস্তস্যৈঃ নমস্তস্যৈঃ নম নম:"

          (স্বত্ব সংরক্ষিত:)