কবিতা-ফেরিওয়ালাকলমে-পাদক তাং১৩/১০/২০২০
হরেক রকম সাজিয়ে ডালা গ্রামে হাঁকছে ফেরিওয়ালা। চুরি আংটি ঘুনসি নেবে নেবে গলার মালা। কাটফাঁটা রোদ প্রখর তাপে শুকিয়ে আসে গলা। একটু খা…
কবিতা-ফেরিওয়ালা
কলমে-পাদক
তাং১৩/১০/২০২০
হরেক রকম সাজিয়ে ডালা
গ্রামে হাঁকছে ফেরিওয়ালা।
চুরি আংটি ঘুনসি নেবে
নেবে গলার মালা।
কাটফাঁটা রোদ প্রখর তাপে
শুকিয়ে আসে গলা।
একটু খানি জলের আশে
দাঁড়িয়েছে আম তলা।
এমন সময় কোথা থেকে
একটি শিশু এসে।
আমায় একটি বাঁশি দেবে
বললো ভালো বেসে।
ফেরিওয়ালা বলল হেসে
পয়সা দেবে করে?
পয়সা ছাড়া বাঁশি আমি
কেমনে দেব তোরে।
পয়সা বিনে ছোট্ট শিশু
মুখটা করে ভার।
পয়সা আমি পরে দেব
বড়ো হয়ে তারপর।
হৃদয় খানি গেল ভরে
কোলে নিল তুলে।
সোনা তোমায় দিলাম বাঁশি
পয়সা যেও ভুলে।
হঠাৎ করে মাথার প'রে
পড়ল বাঁশের বাড়ি।
ফেরিওয়ালা বেশে তুমি
করছ ছেলে চুরি।
ফিনকি দিয়ে রক্ত ঝরে
শরীর বেয়ে পড়ে।
ছেলে চুরি একে বলে
ভালো বাসলে পরে।
**সমাপ্ত**
************************************
কবিতা-বাবু একেই বলে
কলমে-পা দ ক
তাং-১১/১০/২০২০
বছর ষাটের ধনা মুচি প্লাটফর্মে বসে বসে
হাঁকছে শুধু জুতো পালিশ বাবু জুতো পালিশ বলে,
পাশে বসে ছোট্ট খোকা বই পড়ে দুলে দুলে।
খোকা বলে ও বাবা বাবু কাকে বলে?
বাবা বলে হাস্য মুখে কি বলবো রে তোরে !
টাই বুট কোট যারা পরে তাদের বাবু বলে।
আবার হাঁকে ধনা মুচি উচ্চ স্বরে স্বরে
জুতো পালিশ জুতো পালিশ জুতো পালিশ বলে
একটিবার করে দেখুন কেমন চকচক করে।
খোকা বলে আচ্ছা বাবা টাই কোট কেন পরে?
বাবা বলে এটাও কি গো বইতে লেখা নারে!
লেখা পড়ায় সভ্য যারা তারা এসব পরে।
খোকা শুনে এসব কথা মনে মনে ভাবে
পড়তে হবে আরো বেশি দিনে কিংবা রাতে
তবেই হব বাবু আমি টাই কোট বুট পরে।
এমন সময় এলেন বাবু টাই কোট বুট পরে
মুখের কাছে জুতো ধরে ছোকরা বাবু বলে
দেনা দেখি জুতো দুটো একটু পালিশ করে।
পিতৃতুল্য ধনা মুচি দশটি টাকার লোভে
বাবুর পায়ের জুতো খোলে অতি যতন করে
চক-চক-চক পালিশ করে বুকের কাছে ধরে।
এসব দেখে খোকার চোখে জল ছলছল করে
বাবার গালে চুমু দিয়ে কাতরে সে কহে
এবার মর্মে বুঝেছি বাবা বাবু কাকে বলে।
**************************************