কবিতা-এমন স্নেহ কোথায় আছেকলমে-পাদক২৭/১০/২০২০
মা ছেলেতে হাতটি ধরে তীর্থ স্থান দর্শনে চলেদীর্ঘ পথের ক্লান্তি পেয়ে মা ছেলের কোলে ।কোলে চড়ে মায়ের চোখে এল অশ্রু জলসেই জলেতে উঠল ভেসে ছেলের শিশু কাল।খেলতো ছেলে মায়ের কোলে কতোনা হাসি…
কবিতা-এমন স্নেহ কোথায় আছে
কলমে-পাদক
২৭/১০/২০২০
মা ছেলেতে হাতটি ধরে তীর্থ স্থান দর্শনে চলে
দীর্ঘ পথের ক্লান্তি পেয়ে মা ছেলের কোলে ।
কোলে চড়ে মায়ের চোখে এল অশ্রু জল
সেই জলেতে উঠল ভেসে ছেলের শিশু কাল।
খেলতো ছেলে মায়ের কোলে কতোনা হাসি খুশি
মা বলতো চলনা খোকা চাঁদ মামা দেখে আসি।
চাঁদের আলো এসে যখন পড়ত মায়ের মুখে
খিলখিলিয়ে হাসতো খোকা কতোনা আত্ম সুখে।
এসব দেখে সমাজ হাসে হাসেন অন্তযামী।
অদৃষ্টের বন্ধনে তো আমরা সবাই জানি।
ওহে কেষ্ট কেমন আছো বিষ্ণুবাবু কহে
এ বয়সে মা যে তোমার কাঁধের পরে রহে।
বৃদ্ধাশ্রমে রাখতে পার সুখের কথা ভেবে
দেখ তখন দিব্য আছো এ বোঝা ফেল তবে।
কেষ্ট বড়ো কষ্ট পেল বিষ্ণু বাবুর ডাকে
মা ছাড়া আছে সুখ কোন সে পথের বাঁকে।
মা রেখেছে নামটি তার কৃষ্ণচরণ দাস।
তবু কেন লোকে করে নামের উপহাস?
কৃষ্ণ কেবল ভাবে মনে নামে কেন ব্যাঘাত
মায়ের যে একটা উদর সন্তানেতে তফাৎ।
মা বাবা ভাবেন মনে সন্তান জন্ম নিলে
ছেলেকে করবো সাহেব আমরা দুজন মিলে।
মাথায় রবে সাহেবি টুপি বিদ্যে হবে ঘটি
ছেলে চড়বে দামি গাড়ি ধনেতে ভরবে বাটি।
আকাশ চুম্বি ফ্লাট হবে চাকরের ছড়াছড়ি।
বাবাকে বলবে সার্ভেন্ট আর মা রবে না বাড়ি।
এতো ভালো এতো আলো এতো ঐশ্বর্য্য ঘরে।
তবু ও কেন গর্ভধারিণী থাকে অন্ধকারে?
কৃষ্ণ কেন কষ্ট হল এ বাবুদের কাছে
মায়ের স্নেহ পরম ধন এ বাবুদের জানা আছে?