পাক্ষিক_সেরা_প্রতিযোগিতা#বিষয়_উন্মুক্ত#শিরোনাম_পরিণতি ✍🏻শ্রাবণী দাস ২৬.৯.২০
সময়টা দুপুর গড়িয়ে বিকেলের দিকে ঝুঁকছে।সূর্যটা হেলে পড়েছে অনেকখানি পশ্চিমে। তবুও তার তেজে একটুও ভাঁটা পড়েনি। মেঘহীন আকাশের সুযোগ নিয়ে সে ধরিত্রী ক…
পাক্ষিক_সেরা_প্রতিযোগিতা
#বিষয়_উন্মুক্ত
#শিরোনাম_পরিণতি
✍🏻শ্রাবণী দাস
২৬.৯.২০
সময়টা দুপুর গড়িয়ে বিকেলের দিকে ঝুঁকছে।
সূর্যটা হেলে পড়েছে অনেকখানি পশ্চিমে। তবুও তার তেজে একটুও ভাঁটা পড়েনি। মেঘহীন আকাশের সুযোগ নিয়ে সে ধরিত্রী কে পোড়াচ্ছে স্বতেজে।
মূল গ্রাম থেকে দূরে দেখা যাচ্ছে একটা নির্জন দীঘির পাড়। তারপাশে অল্প দূরের বাঁশবন থেকে ভেসে আসছে অচেনা এক পোকার ডাক। ধীরে ধীরে বয়ে যাচ্ছে বাতাস, যার ধাক্কায় দীঘির পাড়ে দাঁড়িয়ে থাকা গাছ গুলো থেকে খসে পড়ছে লাল,হলুদ পাতা। দীঘির হাল্কা ঢেউ এর তালে সেগুলো ভেসে যাচ্ছে এদিক থেকে ওদিক।
এই পড়ন্ত দুপুরে দীঘির চারিপাশে কেউ নেই, কেবলমাত্র দু'টি প্রাণী ছাড়া। প্রথমজন হলো
একটি মাছরাঙা পাখি ,যে একটা ছোটো গাছের ডালে বসে আছে জলের দিকে তাকিয়ে ধ্যানমগ্ন হয়ে। আর দ্বিতীয়জন হলো একটি গ্রাম্য মেয়ে, যে বসে আছে হাঁটু মুড়ে দুহাতে পেট চেপে। এলোমেলো চুলের ঢাল বেয়ে পড়েছে শরীরের দুপাশ দিয়ে।পরনের শাড়িটাও আলুথালু।আঁচলটা লুটাচ্ছে মাটিতে। পুরো পৃথিবীটাই যেন থমকে আছে এই দুই ধ্যানমগ্ন জীবনের সাথে। শুধু ব্যতিক্রম পোকার ডাক, বাতাস আর দীঘির জলের সাথে মাঝেমধ্যেই ভেসে আসা মেয়েটার গলার করুণ স্বর। " তোকে আমার থেকে কেউ আলাদা করতে পারবে না আমার সাথেই থাকবি তুই"।
হঠাৎ একসাথেই ঘটে গেল ঘটনাটা। মাছরাঙা টুপ করে ডুব দিলো দীঘিতে,মেয়েটিও ঝাঁপিয়ে পড়ল দীঘির জলে।এক মূহুর্তে ডুবে গেল দুজনেই। কিছুক্ষণ পরেই বদলে গেল জীবনের গতি মাছরাঙা পাখি উঠে এলো জল থেকে মুখে তার চকচকে রুপোলি মাছ। হারিয়ে গেল সে মাছ নিয়ে বেঁচে থাকার তাগিদে দূরে কোথাও। কিন্তু মেয়েটি আর উঠলো না। সেও হারিয়ে গেল অতল জলের গভীরে যেখানে বাঁচার জন্য নেই কোনো লড়াই।
ধীরে ধীরে সন্ধ্যা ঘনিয়ে এলো দীঘির চারিপাশে।