।তরুন চট্টোপাধ্যায় ।কলকাতা ।সামনেই পূজো ও উৎসবের দিন আগত প্রায় ।এরি মধ্যে করোনা ভাইরাস প্রতিদিন রক্ত চক্ষু দেখাচ্ছে বাংলা কে।সংক্রমণ বাড়ছে হূ হূ করে।আর বাড়ার যথেষ্ট কারন ও রয়েছে।পূজো উপলক্ষে পূজোর বাজার আজও অব্যাহত ।নিয়ম শৃঙ্খলা…
।তরুন চট্টোপাধ্যায় ।কলকাতা ।
সামনেই পূজো ও উৎসবের দিন আগত প্রায় ।এরি মধ্যে করোনা ভাইরাস প্রতিদিন রক্ত চক্ষু দেখাচ্ছে বাংলা কে।সংক্রমণ বাড়ছে হূ হূ করে।আর বাড়ার যথেষ্ট কারন ও রয়েছে।পূজো উপলক্ষে পূজোর বাজার আজও অব্যাহত ।নিয়ম শৃঙ্খলার বালাই নেই।সকলেই চাইছেন ভিড় ঠেলে বাজার করতে।সে কি কলকাতা কি মফঃস্বল ।মানুষের ঢল নামছে একে একে।
বিশেষজ্ঞ রা বলছেন এ ভাবে চললে ঢেউ কে আটকে রাখা যাবে না।শুধু কলকাতা কেন শহরতলি তেও সে ঢেউ আসতে দেরি হবে না।এছাড়া লকডাউনের প্রথম দিকে যে ধরনের সতর্কতা ছিল এখন তা একেবারে নেই।প্রশাসন ও সে ভাবে গা দিচ্ছে না বলে অভিযোগ ।মাস্ক পরা যেখানে অতি জরুরী সেখানে দোকান দার ও খরিদ্দারের অধিকাংশের মুখে মাস্ক চোখে পড়ছে না।হাওড়ার শিবপুরের অলকা মোড়ে দাঁড়িয়ে দেখা গেল একশোজন পথচারীর মধ্যে আশি জন মাস্কে মুখ ঢাকেন নি।ফলে কে জানে এদের মধ্যে কোভিড আছে কিনা।সংক্রমণ যে বাড়ছে এ থেকেই উপলব্ধি করা যায় ।
ডাক্তার দের পরামর্শ মাস্কে মুখ ঢাকা ও সোসাল ডিসটেন্ট মেনে চলা।এ ছবি রাজ্য জুড়ে চোখে পড়ছে না।যার ফলশ্রুতি তে রোজই বাড়ছে অ্যাক্টিভ রোগীর সংখ্যা ।
সামনে বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুরগোৎসব।আর এই পুজো কে কেন্দ্র করে যে উৎসাহী মানুষের ভিড় আছড়ে পড়বে তাতে সন্দেহ নেই।
কেরলে ঠিক একই ঘটনা ঘটেছিল ।প্রথম দিকে সংক্রমণ কম থাকলেও উৎসবের পর তা ভয়াবহ আকার ধারন করে।
বাংলার পূজো কে কেন্দ্র করে সেই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটবে নাতো।সমুদ্রের ঢেউ এর মতো সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়লে তা বাঁধ দেওয়া যাবে না।
প্রখ্যাত কারডিওলজিস্ট কুনাল সরকার ইতিমধ্যেই বলেছেন এবার পূজা ও উৎসবের দিন গুলিতে মানুষ কে সজাগ থাকতে হবে।নতুবা সমূহ বিপদ।
মানুষের ইচ্ছে তে চললে তার ফল পেতেই হবে।
এবারের পূজা ও উৎসবের দিন গুলিতে নিজেরা সাবধান না হলে সুনামীর ঢেউ নামতে পারে।আর তার জন্য তৈরি থাকতে হবে।
পূজা কমিটি গুলির সদিচ্ছা থাকলেও জনস্রোত আটকাবার ক্ষমতা নেই।
সচেতনতা বৃদ্ধি ছাড়া এই সংক্রমণের রাশ টানা যাবে না।
সংক্রমণ আটকাতে এগিয়ে আসতে হবে সাধারণ মানুষকেই।এছাড়া সংক্রমণ সুনামী আটকানো যাবে না।