2021 এর ভোট এলো বলে।মূল লড়াই তৃনমূল আর বিজেপির মধ্যেই ।কারন দলগত শক্তি তে এই দুজন বাম কংগ্রেস কে অনেক পিছনে ফেলে দিয়েছে।কিন্তু একথা মানতে নারাজ কংগ্রেস ও বামফ্রন্ট ।কারন এবারের ভোট নাকি হবে অন্য ইস্যুতে ।কেমন সে ইস্যু ।তৃনমূল দশ …
2021 এর ভোট এলো বলে।মূল লড়াই তৃনমূল আর বিজেপির মধ্যেই ।কারন দলগত শক্তি তে এই দুজন বাম কংগ্রেস কে অনেক পিছনে ফেলে দিয়েছে।কিন্তু একথা মানতে নারাজ কংগ্রেস ও বামফ্রন্ট ।কারন এবারের ভোট নাকি হবে অন্য ইস্যুতে ।
কেমন সে ইস্যু ।তৃনমূল দশ বছর রাজ্যের ক্ষমতায় ।রাজ্যের সব কিছু তৃনমূলের দখলে।কিন্তু মানুষের সুখ নেই।আমফান ইস্যু থেকে শুরু করে কাটমানির বিকল্প খুঁজছেন নাকি মানুষ ।
আর বামপন্থী দের হিসাব তৃনমূলের দিন শেষ।34 বছর শাসনে ছিল বামফ্রন্ট ।মানুষ নাকি বুঝেছে এই রাজ্যের বিকল্প একমাত্র তারাই।তাই ভবিষ্যত উজ্জ্বল ।
যদিও বিজেপি ও তৃনমূল কংগ্রেস ও বামফ্রন্ট কে ধত্যবের মধ্যেই আনছেন না।ভোটের নিরিখে এরা নাকি বিন্দুতে পরিনত।
তাই কোমর বেধে মাঠে নামছে কংগ্রেস ।পুরানো জমি ফেরত নিতে মরিয়া ।এবার আর আসন সমঝোতা নয়।এবার চাইছেন বাম কংগ্রেস জোট।যদিও বামফ্রন্টের শরিকেরা মুখে কিছু না বললেও জোটে আপত্তি রাখছেন।
এদিকে কংগ্রেস চাইছে অধীর রঞ্জন চৌধুরী কে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে প্রজেক্ট করে মাঠে নামতে।কারন তিনি দিল্লি তে বিরোধী দল নেতা।বামফ্রন্টের মধ্যে এমন কোন নেতা নেই এখন যাকে মুখ্যমন্ত্রী প্রজেক্ট করা যায় ।ফলে অধীর রঞ্জন চৌধুরী হচ্ছেন আসল লোক।
যদিও এই সমস্ত কথা উঠে এসেছে কংগ্রেস দলের ভিতরে।জোট নিয়ে এখনো কথা হয়নি।যে টুকু হয়েছিল তা সোমেন মিত্র বেঁচে থাকতে।তারপর আলোচনা আর এগোয় নি।ফলে এই সব কথাবার্তা হবে জোটের সভায় ।
কংগ্রেসের আবার দাবি 150 থেকে 160 টি আসনের।কারন এবার তৃতীয় বিকল্প কংগ্রেস ও বামফ্রন্ট জোট নাকি রাজ্যের ক্ষমতায় আসবে।
যাইহোক তৃনমূল ছাড়া আর কেউ মুখ্যমন্ত্রী র মুখ সামনে আনতে পারেনি।সেখানে অলিখিত হলেও অধীরের মুখ আনলো কংগ্রেস ।
ফলাফল কি হবে সেতো পরের কথা।তবে জোট রাজনীতির অঙ্ক শেষমেষ কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে সেটাই দেখার।
ব্যালট হোক বা ইভিএম।কে কত আসন পায় সেটাই আলোচ্য।তবে তার আগে কংগ্রেসের সদর দপ্তরে কান পাতলে শুনতে পাওয়া যাচ্ছে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে অধীর রঞ্জন চৌধুরীর নাম টাই।
তরুন চট্টোপাধ্যায় ।