তরুণ চট্টোপাধ্যায়। কলকাতা।অষ্টমীর রাতে লোক নেই।জিতে গেল কলকাতা ।জিতে গেল হাই কোর্ট । অষ্টমীর রাত।যত সন্ধ্যা পেরিয়ে রাত এগোতো ততই ঘড়ির কাঁটার মতো জনস্রোতে ভাসতো কলকাতা ।ব্যস্ত পুজো কমিটি।ব্যস্ত পুলিশ ।কিন্তু এবার সে ভিড় তো দূর অস…
![]() |
কলেজ স্কোয়ার |
তরুণ চট্টোপাধ্যায়। কলকাতা।
অষ্টমীর রাতে লোক নেই।জিতে গেল কলকাতা ।জিতে গেল হাই কোর্ট । অষ্টমীর রাত।যত সন্ধ্যা পেরিয়ে রাত এগোতো ততই ঘড়ির কাঁটার মতো জনস্রোতে ভাসতো কলকাতা ।ব্যস্ত পুজো কমিটি।ব্যস্ত পুলিশ ।কিন্তু এবার সে ভিড় তো দূর অস্ত জনমানবহীন বললে কোন ভুল হবে না।
উওর কলকাতা, দক্ষিন কলকাতা ও মধ্য কলকাতা ।ফ্রেমের ছবি সেই একই ।জনহীন পুজো মন্ডপ।ভরে নাই ভরে নাই আজকের তরী।
ভরবে কোথায় ।হাইকোর্টের নির্দেশ অক্ষরে অক্ষরে পালন করছে পুলিশ ।আগে থেকেই রাস্তায় ব্যারিকেড তো তৈরি ছিল।কিন্তু মানুষ নেই।সেই ব্যারিকেডের দরকার ও পড়লো না।পুজো হলো।প্রতিমা এলো।দর্শনার্থী দেখা মিললো না।
কলেজ স্ট্রিটের সব কটি গেট বন্ধ ।ভিতরে ঢোকার অনুমতি নেই।হাইকোর্টের অর্ডার ঝোলানো সামনে।আর সেই নির্দেশ দেখেই ফিরে যাওয়া ।তবে সে সংখ্যা সত্যি অল্প ।কলেজ স্কোয়ারের দিঘির ধার তো দূরের কথা গেট পেরুতে পারলো না কেউ।ফলে কটু কথা বলতে বলতেই ফিরে গেলেন অল্প দর্শনার্থী ।
তবে জন শূন্য মন্ডপ ও রাস্তা ঘাট কলকাতা দেখেনি বহূদিন ।তাই প্রশ্ন উঠলো তবে জিতলো কে।
করোনাভাইরাস, মহামান্য আদালত না জনগন।
করোনাভাইরাস চায় মানুষ ।এক থেকে দশে সংক্রমণ করতে পারলেই তাঁর আনন্দ ।কিন্তু জনশূন্য মন্ডপের আশেপাশে ঘাপটি মেরে বসে থাকাই সার হলো।এলো না কেউ।যে কজন এলো তবুও ঢুকলো না।আর তা ছাড়া মুখে মাস্ক হাতে স্যানিটাইজার ।একেবারে মা দুর্গার মতো দশ হাতে অস্ত্র নিয়ে ।
মহামান্য হাই কোর্ট অবশ্যই এবার যুদ্ধে বিজয়ীর আসনে।রাজনৈতিক দলগুলোর মুখে সেলোটেপ এঁটে দিয়ে রাজ করে গেল পুজোয় ।পুলিশ থেকে প্রশাসন রাস্তায় ।একটু এদিক ওদিক হলে পুলিশ ই তটস্থ ।এই বুঝি নেমে এলো আদালত অবমাননার দায়।।সেদিক থেকে দেখতে গেলে আদালত এক ঝাপটায় মিডিয়া কে বুঝিয়ে দিলো তুমি কি লিখবে, কি লিখবে না সেটি তোমার এক্তিয়ার ।তবে আইন আইনের পথেই চলবে।রাতারাতি ভোল পাল্টে গেল পুজো কমিটি গুলোর।জয় হলো আদালতের।
তবে সব থেকে বড় জয় আনলেন বাংলার জনগন।যে জনগন লক ডাউনে ও বাজারে ভিড় করেছেন।এদিকে ও দিকে অলিগলি ভেঙে গেছেন।তারা এবার পুজোয় চুপ।একেবারে ছুটির মেজাজে।
অষ্টমীর রাতে কলকাতার এক দিক থেকে আর এক দিক ঘুরে জনস্রোত তো চোখে এলোই না বরং অন্য দিনের থেকেও ফাঁকা কলকাতা ।
কেরলে ওমান উৎসব ও মহারাষ্ট্রে গনেশ পুজোর পর সংক্রমণের দায় এসেছিল এদের ঘাড়ে ।
কলকাতার মা দুর্গা হলফ করে বলতে পারেন সংক্রমণের দায় আমার নেই।কারন আমার মন্ডপে আমিই ঢুকতে দিইনি জনগন কে।
যারা বলছিলেন সমুদ্রের ঢেউ আসছে তাঁরা এখন কানমোলা খেয়ে জিব কাটছেন।আরে এটা বেঙ্গল ।এরা যেমন স্বাধীনতার যুদ্ধে প্রান দিতে পারেন আবার করোনা মহামারী কেও আটকাতে জানেন।
জনগনতো আছেনই। তবে এবার জয়ের কারিগর মহামান্য হাই কোর্ট ও স্বয়ং মা দুর্গা নিজেই।দশ হাতে সামলালেন বাংলাকে।আর পুলিশ এমন ভিড় দেখে মুচকি হাসলো।এক পুলিশ তো বলেই ফেললেন এর থেকে বেশি মানুষ আসেন কলকাতায় কার্তিক পুজো দেখতে।
জিতে গেল কলকাতা ।জিতে গেল আদালত।