#হৃদমন্দির#শিমলা
যে কথাটা তোমাকে কখনো বলিনি, সেকথাটাই আজ বলবো আমি।জান, একটা বাহারি কৌটো ছিলো আমার কথা জমানোর, প্রয়োজনীয় কিংবা অপ্রয়োজনীয় বাছবিচারবিহীন ভাবে আমি তাতে কথা জমাতাম। একবার এক চড়ুই পাখি আমার ছাদের কার্ণিশের খোপে মাতৃত্ব…
#হৃদমন্দির
#শিমলা
যে কথাটা তোমাকে কখনো বলিনি, সেকথাটাই আজ বলবো আমি।
জান, একটা বাহারি কৌটো ছিলো আমার কথা জমানোর,
প্রয়োজনীয় কিংবা অপ্রয়োজনীয় বাছবিচারবিহীন ভাবে আমি তাতে কথা জমাতাম।
একবার এক চড়ুই পাখি আমার ছাদের কার্ণিশের খোপে মাতৃত্বের আস্বাদে আহ্লাদিত হয়েছিলো একজোড়া সন্তানের জন্মে,
এই কথা আমি টুক করে গিয়ে জমিয়ে রাখলাম কৌটোয়।
একদিন প্রবল ঝড়ে আমার বাড়ির লাগোয়া কদম গাছের ডাল ভেঙ্গে গিয়েছিলো ফুল সমেত,
ছোট ছোট কুঁড়িরা পূর্ণাঙ্গতার আলোয় পাখা মেলতে পারলোনা, খুব কষ্ট হয়েছিলো আমার,
তাও আমি এই কথাটা জমিয়ে রেখেছি কৌটোয়।
জান এই কৌটোয় আমি জমিয়েছি তোমাকে না বলা অনেক কথা।
, তোমার হয়তো মনে নেই, আমাদের প্রথম আলাপের চোরা চাহনি,রিক্সার জন্য গলির মুখে দাঁড়িয়ে থাকা আমাকে আশ্বস্ত করা, অনাকাঙ্খিত বৃষ্টিতে কাকভেজা আমাকে একই ছাতার নীচে নিঃস্বার্থ আহবান..........
ছোট ছোট এই সবগুলো সময়ের কথাকে আমি আমার মত সাজিয়ে জমিয়ে রেখেছি আমার সেই কৌটোটাতে।
কথা জমানোর এই খেলায় হঠাৎ বাধ সাধলো আমার সেই ছোট্ট কৌটটি।
জানিয়ে দিলো আর বইতে পারছেনা ভার,
বড়ো মুশকিল হলো........
তাই সিদ্ধান্ত নিলাম কথাদের মুক্তি দেবো এবার।
সবগুলো জমানো কথা থেকে শুধু তোমার আমার কথাগুলো ছাড়া বাকীদের আমি উড়িয়ে দিয়েছি হাওয়ায়।
শুধু তোমাকে জানানোর দায় রয়ে গেলো আমার,
তুমি কি শুনবে?
তোমার আশ্বস্ত করা কিংবা নিঃস্বার্থ আহবান, অথবা দৃষ্টির ঘরের মুগ্ধতা সবটাই আমি আমার প্রাপ্তি বলে ধরে নিয়েছি,
আবেগের ঢলঢল উচ্চারণে তাদের আমি কখনো বেচতে চাই না তোমার কাছে,
শুধু এইটুকু জানাতে চাই আমার চৌকাঠ মড়ানোর ইচ্ছে যদি থাকে তবে এসো,
আমি গলায় আঁচল পেঁচিয়ে পঞ্চ প্রদীপের শিখায় বরণ করে নেবো তোমায় হৃদমন্দিরে।