। তরুন চট্টোপাধ্যায় । মন্ডপে মন্ডপে রাজ করলো পুলিশ, অসুর বন্দী রইলো কারাগারে ।আর একটু বিস্তারিত ভাবে বলতে গেলে সংক্রমণের ধাক্কা আটকে দিতে রাস্তায় নামলো পুলিশ আর করোনাসুরকে আটকে রাখলো কারাগারে তালা বন্দী করে। দুর্গা পুজোর …
। তরুন চট্টোপাধ্যায় ।
মন্ডপে মন্ডপে রাজ করলো পুলিশ, অসুর বন্দী রইলো কারাগারে ।আর একটু বিস্তারিত ভাবে বলতে গেলে সংক্রমণের ধাক্কা আটকে দিতে রাস্তায় নামলো পুলিশ আর করোনাসুরকে আটকে রাখলো কারাগারে তালা বন্দী করে। দুর্গা পুজোর আগে থেকেই গেল গেল রব উঠেছিল ।সংক্রমণের ঢেউ ছড়িয়ে পড়বে সমুদ্রের ঢেউ এর মতো।চিকিৎসক দল জানিয়েছিলেন এই সংক্রমণের রেশ কে আটকানো যাবে না।পুজোর পরেই করোনা রোগীর ঢল নামবে রাজ্য জুড়েই।
কেরালার ওমন উৎসব ও মহারাষ্ট্রের গনেশ পুজোতে উৎসবে মেতেছিলেন সেই রাজ্যের রাজ্য বাসী ।ফল এসেছিল হাতে নাতে।সংক্রমণের মাত্রা বেড়ে ছিল জ্যামিতিক প্রগতিতেই।আর শারদ উৎসব কে ঘিরে সেই আশঙ্কার মেঘ ও ছড়িয়ে পড়েছিল বাংলার আকাশে ।
আশঙ্কা ছিল পুজো কে ঘিরে।কিন্তু বাংলা দেখালো ম্যাজিক ।জনহীন হলো মন্ডপ।নিঃসঙ্গ করোনাভাইরাস খুঁজে পেল না সংক্রমণের পথ।তাই দুরাশা হলো আশার প্রদীপ।
পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় রাজ্যের পুজো কমিটি গুলিকে পঞ্চাশ হাজার টাকা অনুদান দেবার কথা ঘোষনার পর থেকে সোসাল মিডিয়া তে গেল গেল রব উঠেছিল ।কাগজে কাগজে বিতর্ক ছড়িয়ে পড়েছিল।এবার শারদ উৎসব নাকি সংক্রমণের পাহাড় নিয়ে আসবে।ঘরে ঘরে ছড়িয়ে পড়বে সংক্রমণ ।
পুজো কে টেনে নিয়ে যাওয়া হলো হাই কোর্টের দরজায় ।মহামান্য আদালত ঐতিহাসিক রায় দিলেন এই বছরের দুর্গা পুজা কে কেন্দ্র করে।
নো এন্ট্রি বোর্ড ঝুললো মন্ডপে ঢোকার মুখে।কনটেন্ট মেন্ট জোন ঘোষনা করা হলো।সবই আদালতের রায় মেনে।
কিন্তু রায় তো থাকে কাগজে লেখা।কিন্তু কলকাতা পুলিশ ও রাজ্য পুলিশ সেই রায়ের কথা মাথায় রেখে পথে নামলেন আদা জল খেয়ে ।কোথাও কোন বিশৃঙ্খলা নেই।চরম শান্তি ও বোঝা পড়ার মধ্যে সমস্ত স্বাস্থ্য বিধি মেনে পুজো হলো রাজ্য জুড়েই।আর এই পুজোর সুশৃঙ্খলা বজায় রাখতে দিন রাত পরিশ্রম করে গেলেন পুলিশের বাহিনী।আর সে কাজ সম্পন্ন করলেন যথেষ্ট দক্ষতার সঙ্গেই ।
কলেজ স্কোয়ার সহ কলকাতার বড় বড় পুজো মন্ডপের গেটে ঝুললো তালা।ভিতরে ঢুকতে গেলে লাগলো প্রশাসনের অনুমতি পত্র ।আর তা দিতে গিয়ে ও পুলিশ কড়া নজর রাখলো সংক্রমণের দিকে।ফলে এবার পুজোর কটি দিন কাটলো সংক্রমণের ওপর নজরদারি চালিয়ে।
পুজো ঘিরে নেই কোন অশান্তির ছায়া ।বোধন থেকে বিসর্জন ঘিরে শান্তির বাতাবরন ।সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির এতটুকু ঘাটতি হলো না।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় পুলিশের প্রশংসা করলেন।কংগ্রেস নেতা আব্দুল মান্নান বললেন পুলিশ এবার দারুন কাজ করেছে।সিপিআই এমের মহম্মদ সেলিম ও পুলিশের প্রশংসাই করলেন।
কলকাতা সহ রাজ্য জুড়ে দাপিয়ে বেড়ালো পুলিশ ।আটকে দিলেন সংক্রমণ ঢেউ।আর অসুর করোনা কে বাক্সে বন্দী করে কারাগারে ঢুকিয়ে দিলেন।
আদালতের রায় ও পুলিশের দক্ষতা এবার বঙ্গ কে বাঁচিয়ে দিলো করোনার সংক্রমণের হাত থেকেই।