। তরুন চট্টোপাধ্যায় ।কলকাতা । রাজস্থানের করৌলে খুন হয়ে যাওয়া পুরোহিতের দেহ ঘিরে রাজনিতীর পারদ বাড়ছে চড়চড়িয়ে।দিনভোর দেহ আটকে বিক্ষোভ চললো। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় যখন এই রাজ্যের পুরোহিত দের জন্য ভাতা ও আবাস যোজন…
। তরুন চট্টোপাধ্যায় ।কলকাতা ।
রাজস্থানের করৌলে খুন হয়ে যাওয়া পুরোহিতের দেহ ঘিরে রাজনিতীর পারদ বাড়ছে চড়চড়িয়ে।দিনভোর দেহ আটকে বিক্ষোভ চললো।
পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় যখন এই রাজ্যের পুরোহিত দের জন্য ভাতা ও আবাস যোজনায় পাকা ঘর তৈরি করে দিচ্ছেন ঠিক তখন রাজস্থানের করৌলে কেরোসিন ঢেলে পুড়িয়ে মারা হলো পুরোহিত কেই।আর এই ঘটনার জেরে রাজস্থান সহ সমগ্র দেশ ক্ষোভে ফেটে পড়ছে।আজ করৌলের বুকনা গ্রামে মৃত পুরোহিত বাবুলাল বৈষ্ণবের মরদেহ এলে তা আটকে বিক্ষোভ দেখায় মানুষ ।দূর দূরান্ত থেকে কাতারে কাতারে মানুষ এসে জড়ো হন এই বুকনা গ্রামেই।তাঁদের দাবি যতক্ষন না সব খুনী দের ধরা হচ্ছে ততক্ষন ই তাঁরা বিক্ষোভ চালিয়ে যাবেন।এমন কি পুরোহিতের অন্তেষ্টি ক্রিয়াও করবেন না।এলাকায় ধুন্ধুমার কান্ড বেঁধে যায় মরদেহ কে সামনে রেখে।পুরোহিত খুনের ঘটনায় শোকের বহিঃপ্রকাশ এভাবেই দেখা যায় আজ।পুলিশ প্রশাসন এলাকায় রয়েছেন।প্রশাসনের পক্ষ থেকে দোষীদের গ্রেফতার ও শাস্তি হবে বলে জানানো হয়েছে।মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেইল ও ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন ও দোষীদের শাস্তি হবে জানিয়েছেন।
ঘটনার সূত্রপাত 13 বিঘা জমি নিয়ে ।রাধাকৃষ্ণ মন্দিরের প্রধান পুরোহিত ছিলেন বাবুলাল বৈষ্ণব ।তিনি প্রতিদিন মন্দিরের পূজা অর্চনা করতেন।এটাই ছিল তাঁর পেশা।মন্দির করতৃপক্ষের তরফে তাঁকে এই জমি দেওয়া হয়।আর এ থেকেই পুরোহিতের ভরন পোষন চলতো।সম্প্রতি এখানে তিনি একটি বাড়ি করার মনস্থির করেন।আর তা নিয়ে স্হানীয় মিনা সম্প্রদায়ের এক পরিবারের সঙ্গে বিবাদ।
সেই বিবাদের জেরেই ক্ষেতের ফসল পোড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে পুরোহিতের শরীরে কেরোসিন ঢেলে আগুন জ্বালিয়ে দেওয়া হয়।মৃত্যু কালীন জবান বন্দিতে পুরোহিত এই মিনা সম্প্রদায়ের ছয় জনের নাম জানান।যাঁরা তাঁর শরীরে আগুন দিয়েছিল।পুলিশ একজনকে গ্রেফতার করলেও বাকি পাঁচজন পলাতক।এরা সকলেই এক পরিবারের ।
মৃতের পরিবার ও বিভিন্ন এলাকার মানুষ পলাতক পাঁচজনকে আটকের দাবিতে মৃতদেহ ঘিরে রেখে আজ সারাদিন বিক্ষোভে সামিল হন।
রাজস্থানে যেহেতু কংগ্রেস সরকার তাই আইন শৃঙ্খলার অবনতির কথা তুলে বিজেপিও এখন আসরে।
রাজস্থানের জয়পুর শহর থেকে করৌলির দূরত্ব হলো 177 কিলোমিটার ।আর করৌলির এই বাক্ষন কে পুড়িয়ে মারার আঁচ এসে পড়েছে রাজ্যের রাজধানীতে ও।
গায়ে আগুন লাগা অবস্থায় পুরোহিত কে স্হানীয় মানুষ প্রথম সদর হাসপাতালে নিয়ে যান।সেখানে অবস্থার অবনতি দেখে জয়পুর নিয়ে আসা হয়।বৃহস্পতিবার রাতে পুরোহিত বাবুলাল বৈষ্ণবের মৃত্যু হয়।
বিজেপি সাংসদ রাজ বর্ধন সিং রাঠোর বলেন রাজস্থানে কুশাসন চালাচ্ছে কংগ্রেস ।অবিলম্বে সেখানে রাহূল গান্ধী কে আসতে হবে।ফাইভ স্টারে বসে রাজনীতি করছেন রাহূল।বিজেপি শাসিত রাজ্যে যাচ্ছেন।অথচ পুরোহিত খুনের ঘটনায় তিনি নিরব দর্শক ।এন সি বির রিপোর্ট বলছে মহিলাদের ওপর অত্যাচারের নিরিখে রাজস্থান এক নম্বরে ।এই রাজ্যে পুরুষ মহিলা কেউই নিরাপদ নয়।পুরোহিত খুনের ঘটনা সে কথাই প্রমান করে।পঞ্চাশ বছর বয়সের এক পুরোহিত কে কেরোসিন ঢেলে পুড়িয়ে মারা হলো ।অথচ দোষীরা সকলে আজও গ্রেপ্তার হলো না।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রকাশ জাভেডকর আঙুল তোলেন সেই রাহূল গান্ধীর দিকেই।কংগ্রেস সরকার অপদার্থ সরকার ।সেই কারনে এখানে একজন ধর্মীয় মানুষের প্রান চলে গেল।
রাজস্থানের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বসুন্ধরা সিন্ধিয়া ও এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করে এই অপশাসনের মুক্তির দাবি তোলেন।
দেশ জুড়ে উওরপ্রদেশের দলিত কন্যা কে রেপ করে খুনের ঘটনা নিয়ে রাহূল গান্ধী পথে নেমেছিলেন।কিন্তু রাজস্থানের পুরোহিত কে পুড়িয়ে মারার ঘটনা সেই রাহূল গান্ধীর ভাবমূর্তি কে কালিমা লেপন করলো।কারন রাজস্থানের সরকার কংগ্রেসের।
এই ঘটনার জেরে বিজেপির ছোট বড় নেতা সকলেই রাহূল গান্ধীর দিকে তীর নিক্ষেপ করে চলেছেন।যদিও সব রকম ভাবে রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেইল দলকে শক্তিশালী করতে চাইছেন।আর শাস্তির ও দাবি মেনে নিয়েছেন।
তবে পুরোহিত খুনের ঘটনায় বিজেপি রাজস্থানে হারানো জমি খুঁজতে নেমে পড়েছেন।
উওরপ্রদেশের নজর ফেরাতে রাজস্থান এখন বাড়তি অক্সিজেন দিলো বিজেপি কেই।আর তা নিতে দল বেঁধে রাজস্থান চলেছেন বিজেপির নেতা মন্ত্রীরা।