। তরুন চট্টোপাধ্যায় । কলকাতা।এ খেলা চলছে নিরন্তর।এক দল থেকে আর এক দলে ডিগবাজি শুরু হয়েছে পশ্চিমবঙ্গের রাজনিতী তে 2011 সাল থেকেই।সেই পরম্পরা কে ধরে রেখে বসিরহাট উওরের সিপিআই এম বিধায়ক রফিকুল ইসলাম যোগ দিলেন তৃনমূলে ।আর যোগ দিয়েই ব…
। তরুন চট্টোপাধ্যায় । কলকাতা।
এ খেলা চলছে নিরন্তর।এক দল থেকে আর এক দলে ডিগবাজি শুরু হয়েছে পশ্চিমবঙ্গের রাজনিতী তে 2011 সাল থেকেই।সেই পরম্পরা কে ধরে রেখে বসিরহাট উওরের সিপিআই এম বিধায়ক রফিকুল ইসলাম যোগ দিলেন তৃনমূলে ।আর যোগ দিয়েই বললেন দিদির উন্নয়নের সঙ্গে থাকতেই এই দলে এসেছি।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য রফিকুল আগে তৃনমূল দল ই করতেন।2016 সালে দিদির দলের টিকিট না পেয়ে সরাসরি ডিগবাজি দিয়ে ছিলেন সিপিআই এম দলে।আর সেই সিপিএমের টিকিটে ও আলিমুদ্দিনের ইচ্ছে তেই তাঁর ভাগ্যে টিকিট জোটে।যদিও সিপিআই এমের এক হেভিওওয়েট নেতার হাত ছিল রফিকুল এর টিকিট পাওয়ার পিছনে।সেদিন অনেক সিপিআই এম যে নেতা বিরোধিতা করেও তার ভোটের টিকিট আটকাতে পারেনি। সেই রফিকুল আবার দল বদল করাতে বিরোধী সেই সব সিপিআই এম নেতা এখন আঙুল তুলছেন।বলছেন এমন লোক কে দলে আনার কি দরকার ছিল।যে দলের টিকিটে ভোট জিতে আবার পালটি খেলো।
বাম পরিষদীয় নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, বাঙলায় তৃনমূল ও বিজেপি দল এই কেনাবেচা খেলার আমদানি করেছেন।আর সেই কেনা বেচা চলছে।
সুজন চক্রবর্তী আজ একথা বললেও 2016 সালে এই সুজন চক্রবর্তী দের হাত ধরেই রফিকুল সিপিআই এম দলের টিকিট যোগাড় করে ছিল।আর সে তখন ছিল তৃনমূলে।
আসল কথা হলো ক্ষমতা।দলে টিকিট না পেলেই অন্য দলে গিয়ে টিকিট নেওয়ার চল চালু হয়ে গেছে।আর কেউ দলবদল করতে চাইলে অন্য দল ঢাঁক ঢোল পিটিয়ে তাঁকে দলে সাদর আহ্বান জানাচ্ছেন।এটি এখন আকচার ঘটছে।
কিছুদিন আগে রাম নগরের প্রাক্তন সিপিআই এম বিধায়ক বিজেপি দলে যোগ দিয়েছিলেন।এছাড়া মালদার গাজোলের প্রাক্তন তৃনমূল বিধায়ক ও যোগ দেন বিজেপি তে।
আসলে সকলেই চাইছেন মন্ত্রী, সাংসদ ও বিধায়ক হতে।লম্বা লাইন।যে দলে সুযোগ আছে সেই লাইনেই দাঁড়িয়ে পড়াটি এখন দস্তুর ।
রফিকুল ইসলাম সিপিআই এম ছেড়ে তৃনমূলে আসা টি সেই ঘটনার ই পুনরাবৃত্তি ।
সামনে একুশে ভোট বঙ্গের ।আর তার আগে এখন থেকেই সব দল ঘুঁটি সাজাচ্ছেন ।কে কাকে টানতে পারেন। ফুটবলের দল বদল আর কি।
আসলে নতূন মুখ উঠে আসছে না রাজনীতি তে।তাই পুরানো দের নিয়ে ই চলছে দড়ি টানাটানি ।
তরুন চট্টোপাধ্যায় ।