_________________________সোমনাথ মুখোপাধ্যায়কলকাতা
দেশমানুষডেস্ক: আলু ৩০টাকা প্রতি কিলো। পেঁয়াজ ৫৫টাকা। আছে বেগুন, করলা, টম্যাটো, পাতিলেবু, কাঁচালঙ্কার মতো নিত্যপ্রয়োজনীয় সব্জি। বর্তমানে বাজারে গেলেই হাত পুড়ছে মধ্যবিত্ত বা নিম্নবি…
_________________________
সোমনাথ মুখোপাধ্যায়
কলকাতা
দেশমানুষডেস্ক: আলু ৩০টাকা প্রতি কিলো। পেঁয়াজ ৫৫টাকা। আছে বেগুন, করলা, টম্যাটো, পাতিলেবু, কাঁচালঙ্কার মতো নিত্যপ্রয়োজনীয় সব্জি। বর্তমানে বাজারে গেলেই হাত পুড়ছে মধ্যবিত্ত বা নিম্নবিত্ত সকলেরই। স্বস্তিতে নেই উচ্চবিত্তরাও। স্থানীয় বাজারে আলু কিলো প্রতি ৪০টাকা বা পেঁয়াজ ৬০টাকা দরে বিকোচ্ছে, সেখানে এই বাজারে সবকিছুই কম দাম। যেকোনো সব্জি ২৫-৩০শতাংশ দামে কম। পাওয়া যাচ্ছে দক্ষিণ শহরতলির টালিগঞ্জ- নেতাজিনগরের শ্রমজীবী বাজারে। এখানে ইলেকট্রনিক যন্ত্রে ওজন করে দামের স্লিপ লিখে টাকা নিয়ে থলেতে টাটকা জিনিস ভরে দিচ্ছেন পার্টি কর্মীরাই।
সাম্প্রতিক করোনা অতিমারিতে অর্থনৈতিক সংকট ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। ব্যবসা, চাকরি বা পেশা, সবই আজ ক্ষতিগ্রস্ত। রুজি রুটি হারানো মানুষ সংসার চালাতে দিশাহারা। এই বিষয়টিকে সামনে রেখে মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে বামপন্থী শ্রমিক সংগঠন সিআইটিইউ(সিটু)। সিআইটিইউ টালিগঞ্জ ২ সমন্বয় কমিটির উদ্যোগে নেতাজিনগর ৯৮নং ওয়ার্ডে চালু হয়েছে স্বল্পমূল্যের শ্রমজীবী বাজার। ফুটপাথে বসা শ্রমজীবী বাজারে গিয়ে দেখা গেল, সকাল থেকেই থলে হাতে টাটকা সব্জি কিনতে লাইন দিয়েছেন মানুষ। দৃশ্যত খুশি মানুষ এত কম দামে সব্জি পেয়ে।
স্থানীয় পার্টি কর্মী গৌতম গুহরায়, জেলা কমিটির সদস্য সুব্রত দত্ত প্রমুখের সহযোগিতায় চলছে এই স্বল্পমূল্যের শ্রমজীবী বাজার। সংগঠন সূত্রে জানা গিয়েছে, ভোর হতেই পাইকারি বাজারে দৌড়াচ্ছেন কর্মীরা। চাষীদের থেকে কিনে নিচ্ছেন টাটকা সব্জি। ফলে স্বল্পমূল্যে মানুষকে তা দেওয়া সম্ভব হচ্ছে।
সূত্রের খবর, যতদিন না অচলাবস্থা কেটে গিয়ে স্বাভাবিক ছন্দে ফিরবে অর্থনীতি, ততদিন সর্বস্তরের মানুষের জন্য এই বাজার চলবে।
শুরুটা হয়েছিল যাদবপুরে শ্রমজীবী রান্নাঘর দিয়ে। মাত্র ২০টাকায় ভরপেট খাবার সাধারণ মানুষের হাতে তুলে দিচ্ছেন পার্টি কর্মীরা। ভাত, ডাল, সব্জি, ডিম, যেদিন যেমন হয়। খুশি সাধারণ মানুষ। সিপিআইএম ও সিটুর ব্যবস্থাপনায় এই রান্নাঘর বা ক্যান্টিন ছড়িয়ে পড়েছে গড়ফা, সন্তোষপুর, বেহালায়। এবার সেখানে যোগ হল বাজার। বাঘাযতীন কলোনি, রামগড় কলোনির পর নেতাজিনগর তার আপাত সর্বশেষ উদাহরণ।
রাজনৈতিক মহলের মতে এটি সিপিআইএমের জনসংযোগের নয়া কৌশল মাত্র। হৃত জমি ফিরে পেতে মরিয়া হয়ে উঠেছে রাজ্য বামফ্রন্ট। দরজায় টোকা দিচ্ছে বিধানসভা নির্বাচন। রাজনৈতিক পর্যবক্ষেকদের মতামত যেটাই হোক, দিনের শেষে এই কর্মসূচিতে মানুষের যে উপকার হচ্ছে তা বলাই বাহুল্য।।