Page Nav

HIDE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

সৃষ্টি-সাহিত্য-পত্রিকার-দৈনিক-সেরা-লেখনি-সম্মাননা

গল্প: #পথ_ভোলাকলমে: #অমৃতা_ব্যানার্জী
ছোট্ট রিভু আজ বেজায় খুশী। স্কুল থেকে ফেরার পর থেকে শুধু দৌড়ে বেড়াচ্ছ। মা কয়েকবার মানা করেছে, বলেছে বেশী ছুটলে ধাক্কা লাগবে। কিন্তু ও কি করবে! ওর যে আজ খুব আনন্দ। পরশু মহালয়ার সকালে প্লেনে…

 


গল্প: #পথ_ভোলা

কলমে: #অমৃতা_ব্যানার্জী


ছোট্ট রিভু আজ বেজায় খুশী। স্কুল থেকে ফেরার পর থেকে শুধু দৌড়ে বেড়াচ্ছ। মা কয়েকবার মানা করেছে, বলেছে বেশী ছুটলে ধাক্কা লাগবে। কিন্তু ও কি করবে! ওর যে আজ খুব আনন্দ। পরশু মহালয়ার সকালে প্লেনে চড়ে ওরা সাঁই করে পৌঁছে যাবে ভুটান। রিভু ঠিক করে নিয়েছে জানলার পাশের সিটে ও বসবে, ওর পাশে বাবা, তার পাশে মা। কতদিন পরে ও বাবার পাশে বসে কোথাও যাবে! কি মজা! ভুটানে সত্যি রাজা আছে কিনা, রাজা কি সিংহাসনে বসে, ওখানকার লোক কি বাংলায় কথা বলে, বাংলা না বুঝলে ওরা রিভুর কথা কি করে বুঝবে ইত্যাদি অসংখ্য প্রশ্নের ঝাঁপি খুলে দিয়েছে মায়ের সামনে। পিয়ালীও ধৈর্য্য সহকারে ছেলের সমস্ত শিশুসুলভ প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছে। আসলে একমাত্র রিভুর জন্যই তো এই নির্জীব চার দেওয়ালে প্রাণের সঞ্চার হয়।

                   কলকাতার এক অভিজাত সোসাইটির ডুপ্লেক্স ফ্ল্যাট। আধুনিক বিলাসবহুল জীবনের সমস্ত সরঞ্জাম দিয়ে সাজানো। এই ফ্ল্যাটেই কৌস্তভ, পিয়ালী ও তাদের একমাত্র সন্তান রিভুর ছোট্ট সংসার। বাইরে থেকে দেখলে মনে হবে এই গৃহ সুখের নীড়। কিন্তু এর ভিতরে বাস করে চরম একাকীত্ব, এক অদ্ভূত নিস্তব্ধতা। রিভু ছাড়া পিয়ালীর এই ফ্ল্যাটে আপন কেবল ওই কোণের ঠাকুরঘর। ফ্ল্যাট সাজানোর সময় খুঁটিনাটি সমস্ত কিছুর দিকে নজর রেখেছিল কৌস্তভ। সমস্ত কিছুর মান অভিজাত সমাজের থেকে একটুও যাতে কম না হয় সেই বিষয়ে সচেষ্ট ছিল। কৌস্তভ গোপাল ঠাকুরকে সুন্দর রূপার সিংহাসনে রাখতে চেয়েছিল। কিন্তু ঈশ্বরকে সোনার শিকলে বাঁধার মত দুঃসাহসিকতা পিয়ালী দেখাতে পারেনি। তাই একপ্রকার পিয়ালীর জোরাজুরিতে এক কোণে ছোট একটা ঘরে সাধারণ কাঠের সিংহাসনে পিয়ালী তার গোপাল ঠাকুরের আসন পেতেছে। সোনার খাঁচায় আবদ্ধ জীবনে যখন দম বন্ধ হয়ে আসে তখন গোপাল ঠাকুরের কাছে জানতে চায় " ঠাকুর বৃন্দাবন ত্যাগ করার পর একবারও কি জানতে চেয়েছিলে একাকিনী রাধারানীর কি অবস্থা হয়েছিল?"

                   কলেজে পড়াকালীন পিয়ালী ও কৌস্তভের আলাপ। পিয়ালী ছিল রসায়নের ছাত্রী আর কৌস্তভ ফিজিক্সের ছাত্র। দুজনের সম্পর্ক ক্যানটিনে পূর্ণতা প্রায়। পিয়ালী চেয়েছিল অধ্যাপনা করতে, তাই এম.এস.সি তে ভর্তি হয়। কৌস্তুভের চোখে তখন শুধুই উঁচুতে ওঠার স্বপ্ন। জি.আর.ই দিয়ে স্কলারশিপ নিয়ে বিদেশে পড়তে যায়। ফিরে এসে একটি বহুজাতিক সংস্থায় চাকরী পায়। কৌস্তভের সঙ্গে সম্পর্কটা তো পিয়ালীর বাবা মা মেনে নেননি। অনেক যুদ্ধ করে দুজনে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়। কর্মক্ষেত্রে কৌস্তভের ক্রমাগত উন্নতি ঘটে। সময়ের সঙ্গে আসে রিভু। 

                    কিন্তু উপরে ওঠার নেশায় কৌস্তভ যে কখন মাটি ছেড়ে আকাশে ওড়ার চেষ্টায় মত্ত হয়েছে ও নিজেই জানে না। বেশীরভাগ সময় কাটে অফিস ট্যুরে, তার মধ্যে কিছু আবার বিদেশে। বাড়ীতে থাকার দিনগুলিতেও মধ্যরাতে ফেরে। রিভুও বাবার অপেক্ষায় ক্লান্ত হয়ে ঘুমিয়ে পড়ে।

      ****************************************

  মহালয়ার আগের রাত থেকে রিভুর মন বড্ড‌ খারাপ। উত্তরবঙ্গে দুর্যোগঘন পরিস্থিতির জন্য বাগডোগরা বিমান বন্দর বন্ধ করা হয়েছে। কলকাতার আকাশেও কালো মেঘের ঘনঘটা। কৌস্তভেরও খারাপ লাগছে, এতদিন ধরে ছেলেকে দেওয়া কথা রাখতে পারল না। তাই ঠিক করল কাছেপিঠে কোথাও তিনজনে ঘুরে আসবে।

                    কিন্তু কোথায় যাওয়া যায়? কলকাতার আকাশের বিষণ্ণ মুখ দেখলে মন আরও খারাপ হয়ে যায়। পিয়ালীর আবার রেডিওতে মহালয়া শোনার অভ্যাস। মহালয়া শুনতে শুনতে পিয়ালী বলল " কলিগদের কাছে শুনেছি কোলাঘাটের কাছে একটা দারুণ ধাবা আছে। সেখানে গেলে হয় না?" কোলাঘাট নামটা শুনে কৌস্তভের একটু অস্বস্তি হলেও রিভুর " বাবা চল না প্লিজ প্লিজ প্লিজ" আর্তি শুনে আর মানা করতে পারল‌ না।

                   সকাল সাতটা নাগাদ কোলাঘাটের উদ্দেশ্যে তিনজন বেরিয়ে পড়ল। বিবেকানন্দ সেতু পেরিয়ে গাড়ী ধরল কোণা এক্সপ্রেসওয়ে। কিন্তু অদ্ভূত ভাবে এইখানকার আবহাওয়া রোদ ঝলমলে, শরতের আকাশে আনাগোনা করছে পেঁজা তুলোর মত মেঘ, দুধারে কাশ ফুলের সারি আগমনীর আগমন বার্তা বহন করছে। কৌস্তভের মনে হল প্রকৃতি যেন তার ভুটান যাত্রার পথে অন্তরায় হয়ে ষড়যন্ত্র করেছে। কৌস্তভের পাশের সিটে বসে পিয়ালী অনেকদিন পরে গুনগুন করছে " আকাশ ভরা সূর্য তারা…"। 

                  কলকাতা মুম্বাই ন্যাশনাল হাইওয়ের পাশে তৈরী বিখ্যাত ধাবা " শের ই পঞ্জাব"‌ এর সামনে গাড়ী দাঁড় করালো কৌস্তভ। ধাবায় তিন ধরণের বসার ব্যবস্থা - সনাতনী ধাবা স্টাইলে খাটিয়ায় বসে খাওয়া, চেয়ার টেবিল পাতা সাধারণ হোটেলের মত এবং শীততাপ নিয়ন্ত্রিত ঘরে সোফায় বসে আরাম করে খাওয়া। রিভু অনেক পাঁচতারা রেস্তোরায় গেছে, কিন্তু খাটিয়াতে বসে খাওয়া কোনদিন দেখেনি। অগত্যা রিভুর জেদে বশবর্তী হয়ে খাটিয়ায় বসে আলুর পরোটা অর্ডার করল কৌস্তভ। 

              হঠাৎ রিভুর চোখে পড়ল ভাঙা বাটি হাতে শতচ্ছিন্ন পোশাক পরিহিত দুটো বাচ্চা ছেলে ধাবার সামনে ভিক্ষা করছে। শিশু মন বলে ওঠে " মা দেখ ওদের কাছে একটা ভালো জামাও নেই। বাবা ওদেরও খিদে পেয়েছে বল?"

       ****************************************

কোলাঘাটের রূপনারায়ণের তীর। " আশ্বিনের শারদ প্রাতে বেজে উঠেছে আলোকমঞ্জীর"  ভদ্র বাবুর কণ্ঠস্বরে সম্মোহিত বাঙলী পথে বেরিয়ে পড়েছে - কেউ চলেছেন পূর্বপুরুষকে জলদান করতে, কেউ চলেছেন কর্মক্ষেত্রে, কেউবা মহালয়ার দিন কব্জি ডুবিয়ে খাওয়ার জন্য ভালো ইলিশের দরদাম নিয়ে ব্যস্ত, মায়েরা চলেছেন কালী মন্দিরে। " ঘটাং ঘটাং" শব্দ করে নিজের অস্তিত্বের প্রমাণ দিয়ে রেল সেতুর উপর দিয়ে ছুটে গেল দ্রুতগামী একটি ট্রেন। জেলেরা নদীতে নৌকা নামাচ্ছে। কিন্তু এইসবে অনভিজ্ঞ একটি শিশু নদীর দিকে তাকিয়ে ক্রমাগত কেঁদে চলেছে।

" কি রে এখানে বসে একা একা কাঁদছিস কেন?" শুনে শিশুটির সম্বিত ফেরে। নিরুত্তর শিশুর দিকে আবার প্রশ্ন ধেয়ে আসে " কি রে আমাকে বল তোর কি হয়েছে? কোথায় তোর বাড়ী? চল আমি তোকে পৌঁছে দিয়ে আসি।"

---- " আমি বাড়ী যাব না।"

---- " কেন রে?"

---- " বাড়ীতে কেউ থাকে না। বাবা ফিরলে মদ খেয়ে মারে আমায়। মা দিনের বেলা লোকের বাড়ীর কাজে যায়। রাতে পাশের বাড়ীর নন্টে কাকুর সঙ্গে থাকে। সবাই বলে আমার মা নষ্ট।"

---- " তুই খাস কোথায়?"

---- " পাড়ার বিন্তি পিসি কখনও দেয়। জানো সবার পুজোর জামা হয়েছে। আমার একটাও হয়নি।"

---- " কোনদিন স্কুলে গেছিস?"

---- " যেতাম। কিন্তু একদিন বাবা রেগে গিয়ে সব বইয়ে আগুন ধরিয়ে দিল।"

---- " আচ্ছা, আর ভাবতে হবে না।  আমার সঙ্গে চল। আমি তোকে জামা কিনে দেব, স্কুলে ভর্তি করে দেব। তোর নামটাই তো জানা হল না। নাম কি তোর?"

---- " কালু।"

ঢলঢলে পায়জামা, পাঞ্জাবী পরিহিত, একগাল দাড়ি, মাথায় উস্কোখুস্কো চুল, কাঁধে ঝোলা নেওয়া লোকটার হাত ধরে এগিয়ে যায় কালু। কালুর বাবা মা যখন জানল সংসারের বাড়তির দায়িত্ব নিতে কেউ রাজি, তখনই তারা সমস্ত বোঝা ঘাড় থেকে নামিয়ে দিল। 

নিঃসন্তান দম্পতি স্কুল শিক্ষক রামচরণ বাবু ও শিবানী দেবীর স্নেহের ছত্র ছায়ায় বেড়ে ওঠে কালু।

      ****************************************

লোহার ছোট গেটের সামনে গাড়ীটা এসে দাঁড়াল। মরচে ধরা অবস্থা দেখে মনে হচ্ছে যে কোন সময় গেটটি ভেঙে পড়বে। ছাদ ফুটো হয়ে বৃষ্টির জল পড়ে মেঝের একদিকে জমে আছে। দেওয়াল থেকে চুন খসে পড়েছে। দেখে মনে হচ্ছে বহুকাল বাড়ীটার মেরামত হয়নি। অবশ্য অবসরপ্রাপ্ত স্কুল শিক্ষকের পেনশনের টাকায় এতগুলি অনাথ শিশুর দায়ভার বহন করার পরে হাতে কি সত্যি বাড়তি কিছু থাকে! রান্নাঘর থেকে উনুনের আঁচে ভাত ফোটার সেই চেনা গন্ধটা ভেসে আসছে। কিন্তু কৌস্তভের দৃষ্টি যাকে খুঁজছে তিনি কোথায়? 

ওই তো উনি পড়ার টেবিলের সামনে রাখা চেয়ারের উপর বসে আছেন। আহা রে বয়সের ভারে ক্লান্ত মানুষটি চেয়ারে বসেই ঘুমিয়ে পড়েছন।

                বৃদ্ধ মানুষটির পায়ের কাছে অতি সন্তর্পনে বসে কৌস্তভ, যাতে ওনার ঘুম না ভেঙে যায়।

---- " কি রে কৌস্তভ এলি নাকি?" কৌস্তভ ওনার ঘুম ভাঙাতে চায়নি, তাও কি করে যে উনি সব বুঝে গেলেন!

---- " আমাকে কৌস্তভ নয় কালু বলুন। আজ যে এই মেকি কৌস্তভ নামটা আমার খুব অসহ্য লাগছে।"

---- " তুই তো কৌস্তভই। সমাজের নজরে কত বড় মানুষ তুই।"

---- " না আমি বড় না, আমি অত্যন্ত ক্ষুদ্র কীট। চালচুলোহীন কালুকে সমাজের নজরে প্রতিষ্ঠা দেওয়ার জন্য আপনি তার নতুন নামকরণ করেছিলেন কৌস্তভ। নব্য পরিচয় প্রাপ্ত কৌস্তভ আপনার শিক্ষার মর্যাদা দিতে পারেনি। বড় শহরে পড়তে আপনিই আমায় পাঠিয়েছিলেন। শহরের চাকচিক্য আমায় প্রবল আকর্ষণ করত। তার সঙ্গে শিক্ষা ও কর্মক্ষেত্রে আমার মেধার জোরে উত্তরোত্তর বৃদ্ধি হতে থাকে। কিন্তু আমি ভুলে গিয়েছিলাম এই মেধার বীজ বপন করেছিলেন আপনি। আপনার এই উস্কোখুস্কো চুল, দুকামরার রংচটা বাড়ী, কালিধরা রান্নাঘর থেকে একটা বিশ্রী দারিদ্র্যের গন্ধ পেতাম আমি‌। মনে হত এই গন্ধ আমার গায়ে থাকলে আমি কোথাও স্থান পাব না। তাই দারিদ্র্যের এই গন্ধ মুছে ফেলার জন্য করতে থাকি নিরন্তর প্রয়াস। জীবনের তখন আমার একটাই লক্ষ্য, আভিজাত্যের গন্ধে নিজেকে মাতিয়ে তুলব।  এই সর্বনাশা নেশার বশবর্তী হয়ে প্রথমে আপনাদের ত্যাগ করলাম। তারপর নিজের স্ত্রী, সন্তানের সঙ্গে দূরত্ব তৈরী হল। আদপে আমি সর্বহারা হলাম। আমার এত পাপস্খলন হবে কি করে বলে দিন?"

---- " পাগল ছেলে, পাপ আবার কি? পথ ভ্রষ্ট সব মানুষই হয়। তুই যে ফিরে এসেছিস এই বড় কথা। শুধু একটা কথা দে আমায়, আমার ওই অসহায় বাচ্চাগুলোর দায়িত্ব তুই নিবি?"

--- " নিলাম আমি আপনার সব দায়ভার নিলাম মাস্টারমশাই।" বলে রামচরণ বাবুর পা ধরে কান্নায় ভেঙে পড়ে কৌস্তভ।

" ও দাদা চেয়ারের পা ধরে বসে আছেন কেন?" শুনে সম্বিৎ ফেরে কৌস্তভের। একজন কৌস্তভের সমবয়সী ভদ্রলোক দাঁড়িয়ে আছেন। 

---- " মানে, চেয়ার কেন হবে! মাস্টারমশাই বসে আছেন তো।"

---- " দাদা আপনি কি চোখের মাথা খেয়েছেন! মাস্টারমশাই কোত্থেকে আসবেন! উনি তো একমাস আগে বাগানে পড়ে গিয়ে মারা গেছেন। দুদিন আগে মাসিমার পড়ে গিয়ে কোমর ভেঙে গেছে। তাই আমরা হাসপাতালে ভর্তি করে দিয়েছি। দরজার সামনে বড় গাড়ী দেখে এলাম।"


মাস্টারমশাই নেই! তাহলে এতক্ষণ কার সঙ্গে কথা বলল কৌস্তভ! কিছুক্ষণ পাথরের মত স্থির হয়ে দাঁড়িয়ে থাকে কৌস্তভ। বুঝতে চেষ্টা করে সম্পূর্ণ ঘটনা। 

একেই হয়ত বলে টান। চরম অপমানিত হওয়ার পরও সন্তান স্নেহে পালন করা কৌস্তভকে সঠিক পথের দিশা দেখানোর জন্য এসেছিলেন রামচরণ বাবু।

 ছুটে গিয়ে গাড়ীতে বসে থাকা পিয়ালীকে সব কথা বলে।

আজ মহালয়া। রামচরণ বাবু কৌস্তভের পিতৃতুল্য। কৌস্তভের উচিত আজ রামচরণ বাবুর আত্মার উদ্দেশ্যে তর্পণ করা। কিন্তু সে যা পাপ করেছে তা স্খলনের জন্য আবক্ষ জলে নিমজ্জিত হয়ে তিল তর্পণ যথেষ্ট নয়। তাই মাস্টারমশাইকে দেওয়া অঙ্গীকার অনুযায়ী কৌস্তভ এই বাড়ীটির পুনর্নির্মাণ করে অনাথ শিশুদের জন্য একটি আবাসিক স্কুল তৈরী করবে। প্রতি সপ্তাহান্তে পিয়ালী স্পেশাল ক্লাস নিতে আসবে। মাসিমাকে শহরে নিয়ে গিয়ে চিকিৎসা করিয়ে নিজের কাছে রাখবে। বৃক্ষের ছায়াহীন সংসার পাবে মাতৃস্নেহের ছায়া। 

          রামচরণ বাবুর আদর্শে রিভুকে কৌস্তভ বড় করবে। ভবিষ্যতে রিভুকে যেন কোনদিন প্রায়শ্চিত্তের তর্পণ না করতে হয়।

(Copyright protected)