Page Nav

HIDE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

মুখ্যমন্ত্রী আবার আনতে চাইছেন জলশ্রী প্রকল্পটি

কন্যাশ্রী প্রকল্পের সাফল্যের খতিয়ান ধরেই মুখ্যমন্ত্রী আবার আনতে চাইছেন জলশ্রী প্রকল্পটি।কন্যাশ্রী প্রকল্পটি তৃনমূল সরকারের সাফল্যের মুকুটে আর এক পালক গুঁজে দিয়েছিল আগেই।বিগত ছয় বছরে ষাট লক্ষ্য মেয়ে এই প্রকল্পের ফলে উপকৃত হয়েছেন।…



 কন্যাশ্রী প্রকল্পের সাফল্যের খতিয়ান ধরেই মুখ্যমন্ত্রী আবার আনতে চাইছেন জলশ্রী প্রকল্পটি।

কন্যাশ্রী প্রকল্পটি তৃনমূল সরকারের সাফল্যের মুকুটে আর এক পালক গুঁজে দিয়েছিল আগেই।বিগত ছয় বছরে ষাট লক্ষ্য মেয়ে এই প্রকল্পের ফলে উপকৃত হয়েছেন।কন্যা শ্রী প্রকল্পের মূল কারিগর ছিলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী ও তৃনমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দোপাধ্যায় ।এই প্রকল্পের সাফল্য নিয়ে কোন সন্দেহ নেই।আর এই সাফল্যের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় আবার এক নতূন ভাবনায় ।সেটির নাম জলশ্রী প্রকল্প ।জল কে বাঁচিয়ে মানুষের কাজে লাগানোর জন্য মমতা বন্দোপাধ্যায়ের মাথা থেকেই এই জলশ্রী প্রকল্প টির ভাবনা আসে।জল যে একদিন পেট্রোলের থেকে দামি হবে এই চিন্তা টিকে তিনি মাথায় রেখে এই প্রকল্পের রুপরেখা তৈরি করেছেন।

63 টি দেশকে পিছনে ফেলে সেরার শিরোপা আদায় করে নিয়েছে মমতা বন্দোপাধ্যায়ের স্বপ্নের প্রকল্প কন্যা শ্রী ।আর এটি জাতি সংঘের বিচারে।2013 সালে চালু হওয়া এই প্রকল্পটি শুরুর সঙ্গে সঙ্গে সঙ্গে মানুষের কাছে অত্যন্ত আদরনীয় হয়ে ওঠে।গ্রাম থেকে শহর সব জায়গাতেই এই প্রকল্পটি সমান ভাবে সাড়া ফেলে দেয় ।দেশের মোট 552 টি প্রকল্পের মধ্যে কন্যা শ্রী প্রকল্প টি সেরার সেরা হয়ে ওঠার পিছনে তৃনমূল সুপ্রিমোর অবদান অনস্বীকার্য ।

সেই কন্যাশ্রী পরেই এখন মুখ্যমন্ত্রী চাইছেন জলশ্রী প্রকল্প টিও যেন এরকম ভাবেই সেরার সেরা হয়ে ওঠে।সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রী হুগলি ও বর্ধমান সফরে যান।আর এই বর্ধমানে বসেই তিনি এই নব প্রকল্পের কথা বলেন।

কেরলের বন্যাতে দেখা গিয়েছিলো দুটি হাউস বোর্ড । নাম গঙ্গা শ্রী ও জল শ্রী । তবে পশ্চিমবঙ্গের ক্ষেত্রে এটি কোন হাউজ বোর্ড নয়। অনাবৃষ্টির হাত থেকে দেশকে রক্ষা করতেই এই প্রকল্পটি । মূলতঃ জলকে বাঁচিয়ে তা কাজে লাগানোই এই প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য । এছাড়া জলকে দূষন মুক্ত করার জন্য ও এই প্রকল্পের আবশ্যকতা ।

আরো হাজারো পরিকল্পনা রয়েছে মমতা বন্দোপাধ্যায়ের মাথায় । আবাস যোজনা ,দিদিকে বলো সহ নানা মানবিক কাজ চলছে বেশ কিছুদিন ধরেই।আর সেই সব কাজের সুফল ও মিলছে হাতে নাতে।

রাজ্যের জলাশয় গুলিকে বাঁচিয়ে রাখতে পারলে চাষাবাদ থেকে শুরু করে জল নানা কাজে আসবে।নদী নালা পুকুর ডোবা জলাশয় গুলির সংযোগ সাধন ঘটলে দেশে জলের যে অভাব ঘটবে না একথা বুঝেই মুখ্যমন্ত্রী এই প্রকল্পটি রুপায়নে মন দিয়েছেন।

পুরো পরিকল্পনা টির দায়িত্ব দিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যসচিব আলাপন বন্দোপাধ্যায় কে।সেচ কৃষি ও ভূমি সংস্কার দপ্তর যৌথ ভাবে হাতে হাত মিলিয়ে এই কাজটি করতে পারবে।

অতি বৃষ্টি তে দেশের বন্যা পরিস্থিতি মাঠের ফসল নষ্ট করে দেয় ।আবার খরা পরিস্থিতিতে সেই একই ছবি।ভারতবর্ষের কৃষি আজও মৌসুমী বায়ুর খেয়ালের ওপর নির্ভরশীল ।

রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় চান অতিরিক্ত জলকে ধরে রাখতে।আবার বন্যা নিয়ন্ত্রণ ও চাইছেন একই ভাবে।মোট কথা রাজ্যের মানুষ যেন পানীয় জল পান।আবার কৃষক ও যেন চাষ করার জন্য জল পেতে পারেন।

আজ জলের অভাবে মাঠে মাঠে ডিপ টিউব ওয়েল বসিয়ে চাষাবাদ চলছে।ফলে জলস্তর ও নামতে বসেছে।

এ রকম নানা চিন্তা ভাবনা কে মাথায় রেখেই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় শুরু করতে চলেছেন এ রাজ্যে জলশ্রী প্রকল্প ।

কে বলতে পারে সেরার সেরা শিরোপা আবার আসবে কিনা। কন্যাশ্রীর পথ ধরে জলশ্রী প্রকল্পটিও হবে মুখ্যমন্ত্রীর স্বপ্নের প্রকল্প ।


তরুন চট্টোপাধ্যায় ।