Page Nav

HIDE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

ভ্যাকসিন নিয়ে যখন মাথাব্যথা তখন বাজার ধরছে করোনিল

তরুন চট্টোপাধ্যায় ।বাবা রামদেবের পতঞ্জলির হাত ধরে নানা সময়ে বাজারে এসেছে নানা আয়ুর্বেদিক ওষুধ । মানুষ ও স্হান কাল ভুলে দৌড়ে গিয়ে দাঁড়ায় এই দোকানের সামনেই। সব ওষুধের মহৌষধি নাকি বিক্রি হয় বাবা রাম দেব প্রতিষ্টীত এই পতঞ্জলি দোকানে …

 


তরুন চট্টোপাধ্যায় ।

বাবা রামদেবের পতঞ্জলির হাত ধরে নানা সময়ে বাজারে এসেছে নানা আয়ুর্বেদিক ওষুধ । মানুষ ও স্হান কাল ভুলে দৌড়ে গিয়ে দাঁড়ায় এই দোকানের সামনেই। সব ওষুধের মহৌষধি নাকি বিক্রি হয় বাবা রাম দেব প্রতিষ্টীত এই পতঞ্জলি দোকানে । পতঞ্জলি নিয়ে বাজারে নানা রকম রটনাও রয়েছে। কিন্তু বর্তমানে তাদের আবিষ্কার করোনীল। যা নাকি করোনা আটকাতে ও করোনো নিরাময় করতে সক্ষম। এই ওষুধ সেবন করলে করোনা তো ধারে কাছে আসবে না। এমনকি করোনাক্রান্ত রোগি এই ওষুধ সেবন করলে করোনা থেকে সাতদিনের মধ্যেই নিরাময় অবশ্যম্ভাবী । আর পতঞ্জলির বিজ্ঞাপনটিও ছিল এরকমই। 

ফলে মানুষ করোনা থেকে মুক্তি লাভের আশায় দাঁড়িয়ে পড়েছিলেন পতঞ্জলি দোকানের সামনে। ভেবেছিলেন করোনিল খেলে করোনা থেকে দূরে থাকা যাবে। কিন্তু এটি যে মহাভুল তা বোঝার আগেই পতঞ্জলির ভান্ডারে নাকি ঢুকে গিয়েছিলো 250 কোটি টাকা। যদিও আয়ুষ মন্তক পতঞ্জলির এই বিজ্ঞাপন টিকে বন্ধ করে দেয় ।কিন্তু ইতিমধ্যেই মিথ্যা প্রচারের ফাঁদে পড়ে মানুষ কিনে ফেলেন এই মিথ্যা প্রচারের ওষুধ টিকে।

দেশের বিজেপি সরকারের কাছের মানুষ এই বাবা রামদেব। আর তার ফলেই পতঞ্জলির এই বাড় বাড়ন্ত দেখে ও সেভাবে কখনোই পতঞ্জলির বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা ও নেওয়া হয়নি। ফলে এই কোম্পানির লাভের অঙ্ক বেড়েছে হূ হূ করেই।

         পতঞ্জলির করোনীল নিয়ে বিতর্কের ঝড় ওঠে দেশ জুড়েই।এই করোনিল কে মান্যতা দেয়নি আয়ুষ মন্তক ।তবু কি করে এই ওষুধ কে বাজারে নিয়ে আসা হলো তা নিয়ে তুমুল বিতর্ক রয়েছে।

             এই সব টানা পোড়েনের মধ্যে রাম দেবের পতঞ্জলি জানায় তাদের তৈরি ওষুধ নাকি কোন নিয়ম ভাঙেনি আজও । এই ওষুধ খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায় । অদ্ভুত যুক্তি ।যে ওষুধের বিজ্ঞাপন করা হলো সাতদিনের মধ্যেই করোনা মুক্তি ঘটবে । আবার সেই বিজ্ঞাপন বদল করে বলা হচ্ছে না রোগ প্রতিরোধ হবে এটিতে। অদ্ভুত যুক্তি দেখালো রাম দেবের করোনিল নিয়ে । ফলে মানুষ কে না বুঝে ঠকতে হলো। অথচ পয়সা নিয়ে চলে গেল পতঞ্জলি ।

কেন এই ভাবে লোক ঠকিয়ে পয়সা উপায় করবে কোন কোম্পানি তা নিয়ে প্রশ্নই থেকে গেল।

সমগ্র বিশ্ব যেখানে করোনা ভ্যাকসিন আবিষ্কার নিয়ে মগ্ন । নানা ভাবে পরীক্ষা নিরীক্ষা করে তবে বাজারে আনতে চলেছেন এর নিরাময় । সেখানে চট জলদি করোনিল এসে সব ঠিক করে দেবে এমন অবাস্তব কল্পনা আসে কোথা থেকে। সবাইকে একশো গোল দিয়ে করোনার ওষুধ নিয়ে এল রাম দেবের পতঞ্জলি ।

এই ওষুধ বাজারে আনার পর অবশ্য চাপের মুখে রাম দেবের পতঞ্জলি । সেটি অবশ্য ট্রেড মার্ক আইনে। আর তার জন্য পতঞ্জলিকে জরিমানা ও দিতে হয়।

আরুদা ইঞ্জিনিয়ারিং প্রাইভেট লিমিটেড নামে একটি সংস্থা আদালতে অভিযোগ করেন করোনিল 92 বি নামে তাদের একটি অ্যাসিড ইনহিভিটর আগে থেকেই রয়েছে।যা শিল্প উৎপাদনের নানা কাজে লাগে। কিন্তু ট্রেড মার্ক আইনের তোয়াক্কা না করেই করোনিল নাম দিয়ে বাজারে নিয়ে আসে এই ওষুধটি রামদেবের কোম্পানি । ফলে এই জরিমানা পতঞ্জলিকে দিতে হয়।

ওষুধ বাজারে আনার আগে তথ্য প্রমান তো দূরের কথা কোন অনুমতিই নেওয়া হয়নি বলে জানা গেছে।

এক প্রকার চাপে পড়ে আয়ুষ মন্তক পতঞ্জলি করোনিলের বিজ্ঞাপন টি বন্ধের নির্দেশ দেন। এফ আই আর ও দায়ের করা হয় পতঞ্জলির বিরুদ্ধে । কিন্তু এর পরেও এই কোম্পানির ঘুম কি ভাঙবে।

মানুষ কে ভুল বুঝিয়ে মিথ্যা বিজ্ঞাপনের ফাঁদে ফেলে কোন ওষুধ বিক্রি করা যায় না। আর এটি করলে সেটি আইনের চোখে অপরাধ । কিন্তু এইভাবে ওষুধ বিক্রি করার পরেও কোন কোম্পানি কি ভাবে বাজারে থাকতে পারে তা নিয়ে প্রশ্ন তো উঠছেই। অবিলম্বে পতঞ্জলির এই কাজের জন্য মানুষের কাছ থেকে নেওয়া ওষুধের দাম ফেরত দেবার জোরালো দাবি উঠেছে দেশ জুড়েই।

কি ভাবে কেমন করে দেশের আইন কে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে একটি কোম্পানি তাদের তহবিল মোটা করতে পারে তা নিয়ে এখন দেশ জেরবার । কিন্তু এর পরেও ভ্রক্ষেপ নেই পতঞ্জলির।

করোনিল করোনা না সারাক এটি নাকি মানুষকে করোনা থেকে দূরে রাখে। আর তা কি ভাবে।পতঞ্জলির যুক্তি এটি খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানো যায় ।

মানতে তো হবে। বাবা রামদেবের কোম্পানি এই কথা যখন বলছে।

দেশ জুড়ে রব উঠেছে করোনা মুক্তি তে করোনিল কোন কাজে আসে না। কি বলবেন বাবা রামদেব। শোনা যাচ্ছে তিনি নাকি আবার করোনা কিট বাজারে আনছেন।আবার হৈ হৈ করে বিক্রি হবে সেটি।

এ দেশে যে কখন কি হয় বলা শক্ত ।পৃথিবীতে এত গবেষনা, করোনা নিয়ে এত মাতামাতি । তার পরেও পতঞ্জলি নিয়ে এলো করোনীল। যা নিয়ে এত মাতামাতি। সারা ভারতজুড়ে।