কবিতাঃ শেষ কিছু চাওয়া
চোখের জল যেন আটকা পড়ে গেছে বাঁধে,কষ্টগুলোর মুক্তি হয় না,বহুকাল আগে ফিরে যাই আমি নিজের অজান্তেই;আমি উঠে দাঁড়াতে চাই,কিছুটা পথ হাঁটতে চাই,দৌড়াতে চাই খালি পায়ে।একটা ভীষণ ঝড় আসুক অথবা প্রবল জলোচ্ছ্বাস, বদলে যাক …
কবিতাঃ শেষ কিছু চাওয়া
চোখের জল যেন আটকা পড়ে গেছে বাঁধে,
কষ্টগুলোর মুক্তি হয় না,
বহুকাল আগে ফিরে যাই আমি নিজের অজান্তেই;
আমি উঠে দাঁড়াতে চাই,
কিছুটা পথ হাঁটতে চাই,
দৌড়াতে চাই খালি পায়ে।
একটা ভীষণ ঝড় আসুক অথবা প্রবল জলোচ্ছ্বাস,
বদলে যাক চতুর্দিক;
আমি মুক্তি চাই,
আমি ভালোবাসা চাই,
বাঁচতে চাই স্মৃতির জোড়ালো আঘাত থেকে।
চোখ বন্ধ করলেই এখন শুনতে পাই চেনা চিৎকার;
শুনি ফিসফিস করে কথা বলার শব্দ,
বেসুরো গলায় গান গায় কারা,
জল কলমীর গন্ধ আসে নাকে,
পুকুরের হাঁসগুলো সব একসাথে ডাকে,
উঠোনে বসে অসংখ্য চড়ুই,শালিকের মেলা।
হঠাৎই অনুভব করি আমি একটা শীতল হাতের ছোঁয়া!
এখন প্রত্যেকটা ঘুমের শেষে এগিয়ে যাচ্ছি সীমান্তের দিকে;
আমি আরও একবার সবুজে মিশতে চাই,
শান্ত নদীর ঘোলা জলে ভাসতে চাই,
নির্জন গ্রীষ্মের দুপুরের সঙ্গ চাই,
বইয়ের ভাঁজে মুখ লুকাতে চাই,
ধুলো মাখতে চাই সারা গায়ে।
সময় শত্রুতা করেই চলেছে আমার সাথে প্রতিনিয়ত,
নিজেকে সুখী করার প্রত্যাশায় বাড়ছে চিত্তের অস্থিরতা;
স্বপ্নগুলোর গায়ে ধরেছে পচন,
দরজার বাইরে জমে থাকা ধুলোয় আত্মীয়তার ছাপ,
সূর্যাস্তের সংকেত এখন প্রত্যহ উপহার দেয় বিষন্নতা;
আমি হাসতে চাই,
আমি কাঁদতে চাই,
অভিমানী মন নিয়ে একটা গোটা রাত কাটাতে চাই,
আমি লোভী হয়ে পড়ছি;
সূর্যোদয়ের সাথেসাথে প্রত্যাশা বাড়ছে আমার,
কিছুদিন নিজেকে এই পৃথিবীর ভালোবাসা উপহার দিতে-
আমি পবিত্র এক সকালে দুটো ভরসার হাত চাই।
কলমেঃপিন্টু