দেশমানুষডেস্ক, রামনগর, পূর্ব মেদিনীপুর : সমস্ত আলোচনায় জল ঢাললেন শুভেন্দু। রাজনৈতিক আলোচকরা অপেক্ষায় ছিলেন কাঁথি রামনগর সমবায় জনসভায় কি বলেন। কিন্তু সেখান থেকে তেমন কোন ইঙ্গিত তিনি দিলেন না। উল্টে তিনি এখন ও দলের একজন সৈনিক হ…
দেশমানুষডেস্ক, রামনগর, পূর্ব মেদিনীপুর : সমস্ত আলোচনায় জল ঢাললেন শুভেন্দু। রাজনৈতিক আলোচকরা অপেক্ষায় ছিলেন কাঁথি রামনগর সমবায় জনসভায় কি বলেন। কিন্তু সেখান থেকে তেমন কোন ইঙ্গিত তিনি দিলেন না। উল্টে তিনি এখন ও দলের একজন সৈনিক হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন।
বিতর্ক শুরু হয়েছিল দুর্গাপুজোর বিজয়া সম্মীলনির মঞ্চ থেকে। তারপর ১০ নভেম্বরের নন্দীগ্রামের শহীদ স্মরণ সভা এমন কি গত কয়েকদিন ধরে দলীয় পতাকা ছাড়াই একের পর এক সভা করে রাজনৈতিক মহলে চূড়ান্ত বিতর্ক তৈরি হয়েছিল ।
বৃহস্পতিবার পূর্ব মেদিনীপুরের রামনগরে সমবায় সপ্তাহ উপলক্ষ্যে মেগা শোয়ের ডাক দিয়েছিলেন শুভেন্দুবাবু। ১০ নভেম্বর নন্দীগ্রামে যে চড়া সুর ছিল ,বৃহস্পতিবার দল ও সরকারের প্রতি আস্থা রেখে রামনগরে অনেক নরম সুরে বক্তব্য রাখলেন শুভেন্দু অধিকারী।
উল্লেখ্য, গত ১৪ ই নভেম্বর রামনগরে একটি ক্লাবের কালী পুজোর উদ্বোধন এসে শুভেন্দু বলেছিলেন যা বলতে হয় তা করতে নেই যা করতে হয় তা বলতে নেই। ১৯ তারিখ রামনগরে আমার একটা মেগা শো আছে । সেদিন একটু বেশি করে বলার সুযোগ হবে, বলবো।
এই সমাবেশে দাঁড়িয়ে শুভেন্দুবাবু সাফ জানিয়ে দেন, আমি মন্ত্রীসভার সদস্য। মুখ্যমন্ত্রী ও তাড়াননি, আমিও ছাড়িনি। মন্ত্রীসভায় থেকে দলের বিরুদ্ধে আমি কথা বলিনা। দলে থাকলে রাজনৈতিক বিভেদ হয়। রাজনৈতিক কথাবার্তা দলের ভেতরে থেকে, মন্ত্রিসভায় থেকে বলা যায় না। মেদিনীপুরের মানুষ বিদ্যাসাগরের জেলার মানুষ আমরা, এত আন-এথিকাল কাজ করিনা
তিনি বলেন, শুভেন্দু অধিকারী স্থান কাল পাত্র জানে, যেমন ১০ নভেম্নর নন্দীগ্রামে বলেছিলাম। আজ এখানে সমবায়ীদের মেগা শো হল। কোনও রাজ্য বা দেশ পারবে না সমবায়ী আন্দোলনে এত লোক জমা করতে।
এদিন তিনি মিডিয়াকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ভারতের প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর জন্মদিন পুষ্পার্ঘ দিয়েছি, আমাকে এক সাংবাদিক বন্ধু বলছিলেন, মিডিয়ার লোকেরা ছবি তুলছে! মিডিয়ার লোকেরা ভাবছে আমি বোধয় দল পরিবর্তন করবো।
সমবায় মঞ্চ থেকে এসব করা যায় না টিআরপির জন্য আপনি যা খুশি করতে পারেন ।
তিনি উপস্থিত দর্শকদের উদ্দেশ্যে প্রশ্ন ছুঁড়ে দেন, ভবিষ্যতে আপনাদের আশীর্বাদ পাবো তো? এই পান্তা খাওয়া মানুষটা ভবিষ্যতে আপনাদের সঙ্গ পাবে তো? সবাই উত্তরে হ্যাঁ জানিয়ে দেন। এই দিন অখিল গিরির বিরুদ্ধে কোন কথাই বলেননি।
রাজনৈতিক মহলের খবর দলের ভাঙন ঠেকাতে শুভেন্দু অধিকারীকে তৃণমূলের রাজ্য সভাপতির পদ দিতে চলেছেন মমতা বন্দোপাধায়।
বহুদলীয় গণতন্ত্রে রাজনৈতিক মতান্তর, বিভেদ হয়। বিপদ থেকে বিচ্ছেদ হয়। কিন্তু যতক্ষণ ওই দলে আছেন।ওই মন্ত্রিসভায় আছেন। যতক্ষণ নিয়ন্ত্রকরা তাড়াই নি। আমি নিজের ছাড়িনি। ততক্ষণ এই মঞ্চে এসব কথা বলা যায়না। একেবারে নীতি-আদর্শ বিসর্জন দিয়ে কাজ করার লোক আমরা নই।
বৃহস্পতিবার রামনগরের সভার শুরুতে বক্তব্য রাখতে গিয়ে শুভেন্দু বলেন, আমি বলেছিলাম সমবায়ের মেগা শো হবে , পলিটিক্যাল মেগাশো নয়। সাধারণ রাজনৈতিক ধর্মীয় অনুষ্ঠান এটা নয় , এটা সমবায়ীদের অনুষ্ঠান ।
ঝাড়গ্রাম পশ্চিম ও পূর্ব মেদিনীপুর, বাঁকুড়া হুগলি ও হাওড়া গ্রামীণ এলাকায় 5 লক্ষ পরিবারের সঙ্গে আমার সরাসরি যোগাযোগ আছে সমবায় প্রতিষ্ঠান মধ্য দিয়ে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করেন, দলের সদস্যরা এখনও বুঝতে পারছেন না কি বলবেন তিনি। স্বভাবতই তারা বিভ্রান্ত।