Page Nav

HIDE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

শুভেন্দু অধিকারী ও তৃনমূলের দূরত্ব বাড়লেও দল ভাঙতে চান না কোন সমর্থকই

তরুন চট্টোপাধ্যায় । কলকাতাশুভেন্দু অধিকারী কি এখন তৃনমূল দলের কাঁটা। দল ভাঙার গল্প ভাসছে বেশ কিছুদিন ধরেই। পরিবহনমন্ত্রী ও বেশ কিছুদিন ধরে দলের পতাকা তলে আসছেন না।বরং অরাজনৈতিক ব্যানারে নানা সভা করেই চলেছেন।সভা পাল্টা সভা দেখে নন…

 


তরুন চট্টোপাধ্যায় । কলকাতা

শুভেন্দু অধিকারী কি এখন তৃনমূল দলের কাঁটা। দল ভাঙার গল্প ভাসছে বেশ কিছুদিন ধরেই। পরিবহনমন্ত্রী ও বেশ কিছুদিন ধরে দলের পতাকা তলে আসছেন না।বরং অরাজনৈতিক ব্যানারে নানা সভা করেই চলেছেন।সভা পাল্টা সভা দেখে নন্দীগ্রামের মানুষ ও বিরক্ত বোধ করছেন বলেই খবর।

নন্দীগ্রামের রক্ত ঝরিয়ে বামপন্থীরা মসনদ হারিয়ে তৃনমূলের আগমন।আর এই নন্দীগ্রাম থেকেই ফুটেজ পেয়েছেন মমতার সৈনিক শুভেন্দু অধিকারী ।একথা অস্বীকার করার কোন উপায় নেই।তৃনমূল দলেও শুভেন্দু অধিকারীর অবদান ফেলে দেবার মতো নয়।প্রশান্ত কিশোরের আগমনের আগে শুভেন্দু ছিলেন দলের ভাঙন মেরামতির একমাত্র লোক।আর সেটি ঠিক করেছিলেন তৃনমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দোপাধ্যায় নিজেই।আজ তৃনমূল ও শুভেন্দু অধিকারীর দূরত্ব যত বেড়েছে ততই তৃনমূল সমর্থক দের মধ্যে জমছে হতাশা ।শুভেন্দু কি করবেন তা স্পষ্ট আজও নয়।তিনি থাকবেন কি থাকবেন না সেটি তাঁর মুখ থেকে আজও শোনা যায় নি।ফলে যতদিন না তিনি মুখ খুলছেন ততক্ষন তৃনমূল সমর্থক দের কাছে কোন বার্তা পৌছাবে না।ফলে একই রকম ভাবে তৃনমূল সমর্থক দের মধ্যে এক দোদুল্যমানতা চলবে।

তৃনমূল দলের ছোট বড় নেতা বিভিন্ন সভা থেকে শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে নানা মন্তব্য ছুঁড়ে দিচ্ছেন।আবার এই সমস্ত কথার বিরুদ্ধে শুভেন্দু ও জবাব দেবেন না বলেও কিছু কিছু জবাব দিয়েছেন ।তবে যেটি লক্ষণীয় তা হলো তিনি কখনোই তৃনমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে একটি কথাও বলেন নি।আর তা থেকে পরিস্কার দলনেত্রী তাঁর টার্গেট নয়।টার্গেট অন্য কেউ।আবার শুভেন্দু অধিকারীর ব্যাপারে তৃনমূল দলনেত্রী ও একটি বাক্য ও উচ্ছারন করেন নি।এত কিছুর পরেও দল যাতে না ভাঙে সেই সহনশীলতা আজও দেখিয়েছেন মমতা বন্দোপাধ্যায় ।ফলে দল যে এক্ষুনি ভাঙনের পথে যাবে না তা কিন্তু একেবারে পরিস্কার ।মমতা বন্দোপাধ্যায় চাইছেন না দলে ভাঙন এসে বিজেপির সুবিধা হোক।

নানা ভাবেই চলছে শুভেন্দু বনাম তৃনমূলের মধ্যে একটা সামঞ্জস্য জনক রফা।আর সে কাজে পিকে নিজেও কাঁথি গিসলেন।

নন্দীগ্রামে সরাসরি তৃনমূল ও শুভেন্দু কে নিয়ে সমর্থক দের মধ্যে একটি বিভাজন তৈরি হয়েছে।তবে একথা সত্য সমর্থক দের একটি অংশও চান না শুভেন্দু অধিকারী বিজেপি দলে নাম লেখাক।আর শুভেন্দু ও কখনোই বিজেপি দলের নাম মুখে আনেন নি।তবে দলের সঙ্গে দূরত্ব তিনি আজও চালিয়ে যাচ্ছেন ।যদিও খাতায় কলমে তিনি আজও তৃনমূল ।আজও তিনি পরিবহনমন্ত্রী ।

দলের কোন সমর্থক ই চাইছেন না শুভেন্দু অধিকারীর মতো দলনেতা দল ছাড়ুক।কিন্তু মমতা বন্দোপাধ্যায়ের থেকে যে দলে কেউ বড় নয় তাও তো পরিস্কার ।উন্নয়নের পশরা সাজিয়ে প্রতিদিন মমতা বন্দোপাধ্যায় দলটিকে এই উচ্চতায় এনেছেন।তাই কাগুজে গল্প যাই থাক না কেন এক্ষুনি তেমন কোন পরিস্থিতি যে আসছে না তা সত্যি ।

তবে কি শুভেন্দু অধিকারী নতূন কোন দল তৈরি করতে পারেন।তা নিয়ে ও রয়েছে নানা সংশয় ।তবে সেরকম কোন পরিস্থিতি এই মুহূর্তে নেই বলেই সমর্থক দের অনুমান।

তবে শুভেন্দু অধিকারীর এই দল ছাড়া সভা সমাবেশ দেখে সমর্থক দের মধ্যে বিভাজন তৈরি তো হতেই পারে।তবে তৃনমূল সমর্থক রা চাইছেন সমস্ত দ্বিধা দ্বন্দ্ব ভুলে মমতা বন্দোপাধ্যায় ও শুভেন্দু অধিকারী এক ছাতার নীচে সভা করুক।সমর্থক রা সেই দৃশ্য দেখার জন্যই উদগ্রীব হয়ে আছেন।তাঁদের বিশ্বাস আজ না হয় কাল এ ঘটনা ঘটতেই পারে।

শুভেন্দু অধিকারী ও স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন আমার মুখের কথা না শুনে কাগজের গল্পে বিশ্বাস করবেন না।