তরুন চট্টোপাধ্যায় ।কলকাতা ।যে কল্যাণ বন্দোপাধ্যায় শুভেন্দু অধিকারী কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে বলে ছিলেন মন্ত্রীত্বে বসে না থেকে ছেড়ে দিয়ে দেখাক তিনি আজ কি বলবেন।না কোন উওর পাওয়া যায় নি।এইচ আর বি সি ছেড়ে দেবার পর তিনি সেই চেয়ারে বসলেন।কি…
তরুন চট্টোপাধ্যায় ।কলকাতা ।
যে কল্যাণ বন্দোপাধ্যায় শুভেন্দু অধিকারী কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে বলে ছিলেন মন্ত্রীত্বে বসে না থেকে ছেড়ে দিয়ে দেখাক তিনি আজ কি বলবেন।না কোন উওর পাওয়া যায় নি।এইচ আর বি সি ছেড়ে দেবার পর তিনি সেই চেয়ারে বসলেন।কিন্তু সেচ ও পরিবহন দপ্তর মমতা বন্দোপাধ্যায় নিজের হাতেই রাখলেন।এখনো পর্যন্ত কোন তৃনমূল নেতার ভাগ্যে সেই পদ জোটেনি বলেই খবর।
আজ সকালেই শুভেন্দু অধিকারী তাঁর জেড ক্যাটিগরির নিরাপত্তা ছেড়ে দেন।আর তখুনি বোঝা গিসলো আরো বড় কিছু ঘোষনা বাকি আছে।দুপুর একটা দশ মিনিটে সেচ ও পরিবহন দপ্তর থেকে পদত্যাগ করেন শুভেন্দু অধিকারী ।দল নেত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় কে চিঠি লিখে জানিয়ে দেন সে খবর।রাজ্য পাল জগদীশ ধনকড় কেও মেল করেন তিনি।
আর শুভেন্দু অধিকারী পদত্যাগ পত্র পাওয়ার পরেই তৃনমূল দলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়, ফিরদাস হাকিম, অভিষেক বন্দোপাধ্যায় দের নিয়ে দলনেত্রী নিজের বাসভবনে মিটিং করেন।শুভেন্দু ঠিক কি করতে চলেছেন তাই নিয়ে আলোচনা হয় বলে সূত্রের খবর।আপাতত শুভেন্দুর দপ্তর অন্য কোন নেতাকে বন্টন না করে তৃনমূল সুপ্রিমো নিজের হাতেই রেখেছেন।
শুভেন্দুর সঙ্গে দু বার একান্তে আলোচনা করা সৌগত রায় অবশ্য বললেন শুভেন্দু মন্তিত্ব ছাড়লেও দল ছাড়েন নি।বিধায়ক পদ ও ছাড়েন নি।তাই আলোচনার রাস্তা এখনও খোলা আছে।তবে সৌগত রায় যাই বলুক না কেন মন্তিত্ব ছেড়ে দেবার পর আর কোন রাস্তা খোলা নেই বলেই রাজনৈতিক মহলের অভিমত।
শুভেন্দু অধিকারী বিজেপি দলে যোগ দিচ্ছেন এরকম গুঞ্জন ও রয়েছে বঙ্গ রাজনীতির মঞ্চে ।তবে তিনি কৌশলী ও পাকা রাজনিতীবিদ।তাই একদিনে যে সব কিছু করবেন এমনটি নয়।প্রতিটি পদক্ষেপ ফেলেছেন অত্যন্ত মেপে।তাই যে যাই বলুক না কেন তিনি শুভেন্দু অধিকারী ।সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে সিদ্ধহস্ত ।
বিজেপির দিলীপ ঘোষ তো বলেই দিলেন তৃনমূলে মুষিক পর্ব শুরু হয়ে গেছে।জোড়া ফুল দলটি একুশের পর আর থাকবে না।
বিজেপির সর্ব ভারতীয় সহ সভাপতি মুকুল রায় জানান শুভেন্দুর মতো নেতা বিজেপি দলে যোগদান করলে তাঁর ও লাভ বিজেপিরও লাভ।ফলে দিলীপ মুকুল সকলেই স্বাগত জানিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী কেই।
তৃনমূল দল অবশ্য জানিয়েছে কেউ দল ছাড়লে দলের ক্ষতি কিছু হবে না।তবে সূত্রের খবর এখনো তৃনমূল চাইছে না শুভেন্দু দল ছাড়ুক।তবে যে ভাবে তিনি একে একে পদ ছাড়ছেন তাতে করে তিনি যে দলে থাকবেন না তা পরিষ্কার ।
যাইহোক শুভেন্দু অধিকারীর অরাজনৈতিক মঞ্চ ঘিরে নানা গুঞ্জন এতদিন যা চলছিল তা বোধহয় এখন নিষ্পত্তির পথে।এখন আর মন্ত্রী শুভেন্দু একথা বলা যাবে না।মন্ত্রীত্ব ছেড়ে তিনি এখন শুধুই সেবক।
কি হবে বঙ্গের রাজনীতিতে।তার জন্য আগামী মাস টি খুবই ভাইটাল।ডিসেম্বরের মধ্যেই পরিস্কার হয়ে যাবে জননেতার অবস্থান। তবে শুভেন্দু শনিবার দিল্লি যেতে পারেন বলে সূত্রের খবর। আর সেই খবরেও চমক থাকতে পারে। তাহলে হয়তো ডিসেম্বর পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে না।
এই দল ভাঙাগড়া খেলার মধ্যে দিয়ে বঙ্গের শৈত্য প্রবাহ কে উপেক্ষা করে রাজনীতির পারদ যে ক্রমশই বেড়ে চলেছে তা বলার অপেক্ষা রাখে না।