কবিতাপতিতা বলছি
বিপ্লব গোস্বামী
বাবুরা কেবল শরীর দেখেদেখে না বুকের চিতা ,কেনইবা ওরা দেখবে ওসবআমি তো এক পতিতা।
ওরা দিবালোকে দেখলে আমায় থু থু ফেলে মুখে,আঁধার রাতে সোহাগ ভরেটেনে নেয় বুকে।
বাবুরা আমায় ছিড়ে খায়শুনতে পায় না কান্না,ওদের কেব…
কবিতা
পতিতা বলছি
বিপ্লব গোস্বামী
বাবুরা কেবল শরীর দেখে
দেখে না বুকের চিতা ,
কেনইবা ওরা দেখবে ওসব
আমি তো এক পতিতা।
ওরা দিবালোকে দেখলে আমায়
থু থু ফেলে মুখে,
আঁধার রাতে সোহাগ ভরে
টেনে নেয় বুকে।
বাবুরা আমায় ছিড়ে খায়
শুনতে পায় না কান্না,
ওদের কেবল দেহ চাই
দেখে না অশ্রু বন্যা।
আমিও তো একটা মানুষ
রক্তে মাংসে গড়া,
আমারও দেহে প্রাণ আছে
বুঝে না তো ওরা।
আমারও একটা মন আছে
আছে কিছু চাওয়া,
মনের চাওয়া মনে মরে
হয় না কভু পাওয়া।
আমাকেও কেউ বাসত ভালো
দেখাত রঙ্গিন স্বপ্ন,
তার প্রেমেতে দিবা রাতি
হয়ে থাকতাম মগ্ন।
আমারও একটা পরিবা ছিল
ছিল মা ভাই,
সেসব কথা মনে হলে
ভীষণ কষ্ট পাই,
বাবা নেই ভাই ছোট
বোন ছোট সাত,
অন্ন বিনা, বস্ত্র হীনা
কাটত দিন রাত।
শহরে এসে টাকা কামাবো
স্বপ্ন ছিল বুকে,
মিথ্যা প্রেম,ছল,প্রতারণায়
ঠাঁই হলো নরকে।
***********************
কবিতা
ইচ্ছেধারী
বিপ্লব গোস্বামী
যেমনি করে শিশু খেলে
বাল্য বয়সে,
ভাঙে গড়ে মাটির পুতুল
মনের হরিষে।
ক্ষণে স্মরে, ক্ষণে ভুলে
ক্ষণে গড়ে, ক্ষণে তুড়ে।
অমনি করে খেলছো তুমি
মানব জীবন নিয়ে,
সুখ, দুঃখ, আনন্দ, বেদনা
জয়,পরাজয় দিয়ে।
রাজা, ফকির, মুনিব, নকর
বড়, ছোট করে,
অহং, লোভ, স্বার্থ দিয়ে
পাঠিয়েছো ভবের মাঝারে।
যেজন অহঙ্কারে মত্ত হয়
করো তার পতন,
দীনের করো রাজা তুমি
আপন ইচ্ছে মতন।
উচ্ছ হয়ে নিম্নে যারা
করে যখন হেলা,
তুমি তখন তোমার মত
শুরু করো খেলা।
উঁচুরে করো নিচু আবার
নিচুরে করো উঁচু,
উচ্ছ শ্রেণীর অহং নাশে
কলঙ্ক দেও পিচু।
রাজারে করো ভিখারী আবার
ভিখারীরে করো রাজা,
অহঙ্কারীর অহং নাশে তুমি
বড় পাও মজা।
............................………………….............