দেশমানুষডেস্ক : করোন আবহে থমকে মরণোত্তর চক্ষুদান । কর্নিয়া সংগ্রহের কাজ। করোনা মানুষের জীবন জীবিকার গতিপথটাই পাল্টে দিয়েছে।নিভে গিয়েছে অনেক জীবন প্রদীপ, থমকে রয়েছে বেঁচে যাওয়া জীবনের জীবন বাঁচিয়ে রাখার জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ন অপ…
দেশমানুষডেস্ক : করোন আবহে থমকে মরণোত্তর চক্ষুদান । কর্নিয়া সংগ্রহের কাজ। করোনা মানুষের জীবন জীবিকার গতিপথটাই পাল্টে দিয়েছে।নিভে গিয়েছে অনেক জীবন প্রদীপ, থমকে রয়েছে বেঁচে যাওয়া জীবনের জীবন বাঁচিয়ে রাখার জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ন অপারেশন, স্কুল কলেজ, কল কারখানা প্রভৃতির কাজ।ব্যহত হয়ে রয়েছে মরণোত্তর চক্ষুদান এর কর্নিয়া সংগ্রহের কাজও।
মরণোত্তর চক্ষুদান ও দেহদান'এর অঙ্গীকার করা থাকলেও করোনার জন্য কর্নিয়া ও দেহ দান করতে পারলেন না তমলুকের নিমাই চরন মিশ্রের পরিবার ।তমলুকের উত্তরচড়া শঙ্করআড়ার বাসিন্দা নিমাই চরন মিশ্রের পরিবার মরণোত্তর চক্ষুদান ও দেহদান'এ অঙ্গীকার বদ্ধ ।আগেই নিমাই বাবুর বাবা রাসবিহারী মিশ্র ও মা গোলাপ মিশ্রের মৃত্যুর পর পরিবার কর্নিয়া ও দেহ দান করেছেন ।
কারও মৃত্যুর খবর পেলেই মৃতের বাড়িতে ছুটে যান পাঁশকুড়ার বাহারপোতা গ্রামের 'নয়নমনি'প্রশান্ত সামন্ত ।পরিবারের সদস্যদের মরণোত্তর চক্ষুদান এর গুরুত্ব বুঝিয়ে রাজি করিয়ে কর্নিয়া সংগ্রহ করে তা আবার অপারেশন এর মাধ্যমে কর্নিয়া জনিত দৃষ্টিহীন মানুষের পুনরায় পৃথিবীর আলো দেখার সুযোগ করে দেওয়া তাঁর নেশা। মন খারাপ পাঁশকুড়ার 'নয়নমনি' প্রশান্ত সামন্তের । বিভিন্ন আই ব্যাঙ্ক এর টিম নিয়ে অশোক পাইক, সৌমেন গায়েনদের মত কয়েকজন বন্ধুদের সাথে নিয়ে দীর্ঘ দিন ধরেই প্রশান্ত বাবু নিরলস ভাবে এই কাজ করে চলেছেন ।
তাঁর সংগৃহীত কর্নিয়া দিয়ে একশো জনেরও বেশি মানুষ পুনরায় দৃষ্টি ফিরে পেয়েছেন ।ধারাবাহিক এই কাজ করোনার জন্য থমকে রয়েছে । অনেক মানুষ মারা যাচ্ছেন,কিন্তু করোনা সংক্রমণ এর ভয়ে যেমন কর্নিয়া সংগ্রহ করা যাচ্ছে না। তেমনি অসংখ্য কর্নিয়া জনিত দৃষ্টিহীন মানুষের পুনরায় দৃষ্টি ফেরানোর কাজ আটকে রয়েছে। তিনি বলেন করোনা আবহে মরণোত্তর চক্ষুদান এর পক্রিয়াটাই প্রায় বন্ধ থাকায় বহু মানুষ পুনরায় পৃথিবীর আলো দেখার সুযোগ পাচ্ছেন না।
প্রাক্তন বিধায়ক চিত্তরঞ্জন দাশঠাকুর বলেন, প্রশান্ত সামন্তের এই মহান কাজে আমি গর্বিত। আশাকরি করোনা প্রকোপ থেকে খুব শীঘ্রই আমরা মুক্তি পাব এবং আগের মতোই প্রশান্তের কাজ প্রসারিত হোক এই কামনা করেন ।