ভাইপো,খোকাবাবু, বহিরাগত, পরিযায়ী নানা কটাক্ষের ঝড় এখন সাইক্লোন হচ্ছে বঙ্গের রাজনীতিতে

। তরুন চট্টোপাধ্যায় ।কলকাতা ।শুভেন্দু অধিকারী মন্ত্রীত্ব ছাড়ার পরেই অভিষেক বন্দোপাধ্যায় সরাসরি মাঠে নেমে পড়লেন এবার ।আর জনসভা থেকে হূমকির সুরে বললেন ভাইপো কেন।সাহস থাকলে নাম করে বলুন।আমি তো নাম করে বলছি কৈলাস বিজয় বর্গীয় বহিরাগত …

 

। তরুন চট্টোপাধ্যায় ।কলকাতা ।

শুভেন্দু অধিকারী মন্ত্রীত্ব ছাড়ার পরেই অভিষেক বন্দোপাধ্যায় সরাসরি মাঠে নেমে পড়লেন এবার ।আর জনসভা থেকে হূমকির সুরে বললেন ভাইপো কেন।সাহস থাকলে নাম করে বলুন।আমি তো নাম করে বলছি কৈলাস বিজয় বর্গীয় বহিরাগত ।দিলীপ ঘোষ গুন্ডা মাফিয়া।আর সে কথার উওরে দিলীপ ঘোষের পাল্টা উক্তি এতদিন ওরা গুন্ডামি করেছে।এখন আমার সময় এসেছে।আমার গুন্ডামি দেখুক।

কুনাল ঘোষ সহ তৃনমূলের বিভিন্ন নেতা অভিষেক কে সমর্থন ই করলেন।আর এ থেকেই বোঝা যাচ্ছে শুভেন্দু মন্তিত্ব থেকে সরে যাওয়ার পর অল আউট খেলতে নামলেন অভিষেক বন্দোপাধ্যায় ।কারন শুভেন্দু সরে যাবার মূল কারন এখন যে তিনিই।

এতদিন যে দিলীপ ঘোষ সহ বিজেপি নেতারা ভাইপো বলে কটাক্ষ করতেন তারা আবার নতৃন সুরে কটাক্ষ সুরু করলেন।

দিলীপ ঘোষ বললেন ভাইপো বলেছি তো কি হয়েছে।উনি তো খোকাবাবু।কোলে চেপে রাজনীতি করতে এসেছেন।যারা রক্ত ঘাম ঝরিয়ে তৃনমূল দল করেছেন তারা আজ দলের বাইরে।খোকাবাবু এখন সব।

রাজ্য ভোটের দিনক্ষন এখনো ঠিক হয়নি।কিন্তু তৃনমূল ও বিজেপি দলের তৎপরতা তুঙ্গে ।নবান্ন দখলের অভিযান শুরু হয়ে গেছে বঙ্গে ।

তৃনমূল আবার নবান্নে নিজেদের রাখতে পারবেন ,নাকি বিজেপি নবান্ন দখল করবেন, এ নিয়ে তরজা তুঙ্গে ।

ভোট এলে নানা নতূন নতূন কথা চলে আসে নেতাদের মুখে।যেমন ভাইপো, খোকাবাবু, বহিরাগত, পরিযায়ী ।আরো কতকি।বিভিন্ন সভা থেকে চলে কটাক্ষের ঝড়।

শুভেন্দু অধিকারী কে নকল করে এখন সকলেই বলছেন প্যারাসুটে নামিনি, লিফটেও উঠিনি।সকলেই নাকি উঠেছেন সিড়ি ভেঙে ভেঙে।হ্যাঁ, রাজনিতীর নেতাদের তো উঠতেই হয়।সাপ লুডোর মতোই ।কখনো মই সামনে ,আবার কখনো সাপের মুখে।

তবে ব্যতিক্রম কিন্তু আজও শুভেন্দু অধিকারী ।বিভিন্ন কৌশলে আজও চলছেন।একে একে ছাড়তে ছাড়তে মন্ত্রী পদ ও ছাড়লেন।তবে জনসংযোগে এতটুকু ভাটা হতে দেননি।আর এই বঙ্গের রাজনীতি তে এখনো যা চমক দেখতে জনগন আগ্রহী তা হলো শুভেন্দু এখন কি করবেন।

ঠান্ডার আমেজ পোয়াতে পোয়াতে বঙ্গের জনগন রোদ পোহাচ্ছেন রাজনৈতিক ভাষন শুনতে শুনতে।আর মনে মনে নানা অঙ্ক কষছেন।ইভিএমে কোন বোতাম টিপবেন সেটিই দেখার।

জনতাই জনার্দন ।আর সেই জনতাই ঠিক করে দেবেন রাজ্য পাঠ কে দখলে রাখবেন।সেই জনতাকেই দলে টানতে চলছে সব রাজনৈতিক দলগুলি ।আর এটাই দস্তুর ।