তরুন চট্টোপাধ্যায়সাংসদ তহবিলের টাকা নিয়ে রাজ্যের বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প কে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া টাই রাজ্যের সকল সাংসদের প্রধান কাজ।করোনা আবহে সে কাজ কিছুটা হলেও শ্লথ।তবুও করোনা সহ নানা ইস্যু তে এই টাকা বর্তমানে খরচ হবার কথা।কিন্তু না…
তরুন চট্টোপাধ্যায়
সাংসদ তহবিলের টাকা নিয়ে রাজ্যের বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প কে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া টাই রাজ্যের সকল সাংসদের প্রধান কাজ।করোনা আবহে সে কাজ কিছুটা হলেও শ্লথ।তবুও করোনা সহ নানা ইস্যু তে এই টাকা বর্তমানে খরচ হবার কথা।কিন্তু নানা কারনে তৃনমূল সাংসদেরা কাজ করে গেলেও বিজেপি সাংসদ দের মধ্যে সে রকম স্পীহা চোখে পড়ছে না।একুশে বাংলার মসনদ দখলের স্বপ্নে মশগুল এখন তাঁরা ।মিছিল মিটিং এ বিজেপির মুখ চোখে পড়লেও উন্নয়নের কাজে সে ভাবে এগিয়ে আসার ছবি ক্রমশই ক্ষীন।
নিয়ম অনুযায়ী প্রত্যেক এম পি বছরে পাঁচ কোটি টাকা বরাদ্দ পান নিজের এলাকার উন্নয়নে ।এ টাকা আসে দুটি ভাগে।রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় এই প্রতিকূল পরিস্থিতিতে ও বার বার জেলাশাসক দের সঙ্গে সভা করেছেন।কখনো ভারচুয়াল ।আবার কখনো সশরীরে।উদ্দেশ্য একটাই উন্নয়নের কাজ যেন থমকে না পড়ে করোনার কারনে।মানুষ যেন সরকারী সাহায্য থেকে বঞ্চিত না হন।সেখানে বিজেপি নেতাদের এই নিয়ে টুঁ শব্দটি করতে দেখা যায় নি।বরং উন্নয়নের কাজে নানা ভাবে বাঁধা দিতে দেখা গেছে।
এ রাজ্যের নিরিখে তৃনমূলের 22 সাংসদ।করোনা মোকাবিলায় সেই সাংসদেরা ইতিমধ্যেই 13 কোটি টাকা দিয়েছেন।সেদিক থেকে দেখতে গেলে বিজেপির 18 সাংসদের খরচ করা টাকার পরিমাণ খুবই কম।অথচ দিল্লি তে সরকার চালাচ্ছেন এই বিজেপি দলটি।আর বঙ্গ বিজেপির স্বপ্ন উন্নয়ন নয়, ক্ষমতা দখল।সেই খেলাতেই মেতে রয়েছেন বিজেপি দল।
ডায়মন্ডহারবারের তৃনমূল সাংসদ অভিষেক বন্দোপাধ্যায় ইতিমধ্যেই এই খাতে বেশ কিছু টাকা দিয়ে ফেলেছেন।এছাড়া মুর্শিদাবাদের আবু তাহের খান, আরামবাগের অপরুপা পোদ্দার আসরে নেমে গেছেন।আরো আছেন চৌধুরী মোহন জাটুয়া।
কলকাতা দক্ষিনের তৃনমূল সাংসদ মালা রায় এক কোটির বেশি টাকা দিয়েছেন করোনা মোকাবিলায় ।জয়নগরের প্রতিমা মন্ডল ও আছেন এই দলে।কলকাতা উওরের তৃনমূল সাংসদ সুদীপ বন্দোপাধ্যায় ও এক কোটি ছাড়িয়ে গেছেন।তৃনমূলের 22 জন সাংসদ ই কাজ করে চলেছেন এই মারন ব্যাধি কে নির্মূল করতে।এছাড়া অন্যান্য উন্নয়নের খাতে তো আছেন ই।চেষ্টা করে চলেছেন নানা উন্নয়নের জোয়ারে।
সেখানে বিজেপি দল সে ভাবে করোনা মোকাবিলায় থাকার থেকেও ক্ষমতায় আসতে বেশি আগ্রহী ।দলের রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ তো বলে দিয়ে ছিলেন করোনা চলে গেছে।যদিও তারপরেও তিনি নিজেই করোনাক্রান্ত হয়ে পড়েন।
বেসরকারি হাসপাতালে চিকিত্সাধীন ও ছিলেন।
বিজেপির সুভাষ সরকার অবশ্য এক কোটি টাকা খরচ করেন করোনা মোকাবিলায় ।তিনি নিজেও চিকিত্সক ।বাঁকুড়া ও পুরুলিয়ার হাসপাতালের উন্নয়ন করেন।এছাড়া 48 টি বাইক অ্যাম্বুলেন্স চালু করেন।সৌমিত্র খাঁ ও করোনা খাতে 80 লক্ষ্য টাকা খরচ করেন।হুগলির লকেট চট্টোপাধ্যায় ও ঝাড়গ্রামের কুমার হেমব্রম অবশ্য এই দলে আছেন।বিজেপির আঠারো সাংসদের পাঁচকোটি করে টাকা ধরলে তা দাঁড়ায় 90 কোটি।
বিজেপি দলের বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদারের অভিযোগ নানা অছিলায় জেলা শাসকেরা বিজেপির উন্নয়নে বাঁধা দিয়ে আসছেন।একটাই উদ্দেশ্যে তা হলো বিজেপি কে উন্নয়নের কাজ থেকে দূরে রাখা।উওরে জেলাশাসকের জবাব উনি তো নতূন এম পি।সরকারী আইন কানুন এখনো শেখেন নি।তাই ওনার অসুবিধা হচ্ছে ।
তৃনমূলের সাংসদেরা যেখানে বিনা বাধায় কাজ করে চলেছেন,সেখানে বারবারই বিজেপির সাংসদেরা হোঁচট খাচ্ছেন কেন?
আসলে উন্নয়নের কাজ করতে গেলে উন্নয়ন মনস্ক হতে হয়।বিজেপির সাংসদদের তা নেই ।একথা জানালেন তৃনমূলের বেশ কয়েকজন হেভিওয়েট নেতা।
আর তাই তৃনমূলের 22 সাংসদেরা এগিয়ে থাকলেও বিজেপির 18 সাংসদেরা ক্রমশই উন্নয়নের কাজে পিছিয়ে থাকছেন।