আর তো উনিশটি দিন।দু হাজার বিশের বিষ কাটতে।তারপর দু হাজার একুশ।একুশের ভোট।তবে এবার যা বিশে হয়ে গেল তা তো চোখের সামনেই।বিজেপি সভাপতি জেপি নাড্ডার কনভয়ে হামলা।প্রতিবাদে দিল্লির বঙ্গ ভবনে কালি।কি সব ঘটছে এই তুচ্ছ এক বিধান সভা নির্বাচ…
আর তো উনিশটি দিন।দু হাজার বিশের বিষ কাটতে।তারপর দু হাজার একুশ।একুশের ভোট।তবে এবার যা বিশে হয়ে গেল তা তো চোখের সামনেই।
বিজেপি সভাপতি জেপি নাড্ডার কনভয়ে হামলা।প্রতিবাদে দিল্লির বঙ্গ ভবনে কালি।কি সব ঘটছে এই তুচ্ছ এক বিধান সভা নির্বাচন কে কেন্দ্র করে।তবে তুচ্ছ বা বলি কেন।ক্ষমতার অলিন্দে না থাকতে পারলে তো রাজনীতি বিদ দের জীবন টাই তুচ্ছ হয়ে যাবে।আর সেই ক্ষমতায় আসতে ছোট বড় মাঝারি সকলেই যে ঝাঁপিয়ে পড়েছেন সে কথা লেখার আর দরকার আছে নাকি।
কদিন আগে বিহারে ভোট শেষ হয়েছে।অল্প ব্যবধানে জয় এসেছে বিজেপি দলের।লালু প্রসাদ যাদবের বিহারে তাঁর ছেলে লড়াই চালিয়েছেন।তবে পরাজিত হলেও কোথাও সংবিধান লঙ্ঘন হয়নি।তাই বলতে হয়েছে সকল কেই সেই বিহার ও আজ বদলে গেছে।তবে কি বাংলা বদলাবে না।
ভিন রাজ্যের সাংবাদিক বন্ধুরা মাঝে মাঝে ফোন করে বাংলার খবর নিতে।সব সময় খোলা মনে কথা বলতে পারি না।কারন এই রাজ্যের রাজনীতিতে গুন্ডামি শুরু হয়ে গেছে বামফ্রন্টের শেষের দিক থেকেই।তার আগেও যে ছিল না তা নয়।তবে সেটি আড়ালে আবডালে ।এখন তো প্রকাশ্যে দলের ঝান্ডা হাতে সামনে চলে আসছে এইসব লুম্ফেন।এদের আটকাতে পারছেন না , নাকি চাইছেন না সেটি ই দেখবার।
মনে রাখতে হবে গনতন্তের আসল কথা বলে বিরোধী দল।সরকারের গঠনমূলক সমালোচনা তাঁরাই করবেন।চতুর্থ স্তম্ভ মিডিয়ার ও ভূমিকা অনস্বীকার্য ।কিন্তু রাজনৈতিক দল গুলির চালিকা শক্তি যদি গুন্ডা আর বদমাশ দের হাতে চলে যায় তাহলে দল তো কালিমালিপ্ত হবেই।
মনে রাখতে হবে ভোট দেন জনগন।সরকার নির্বাচনের কারিগর তাঁরা ।ফলে সেই ভোট আসে ভালো কাজের নিরিখেই।
দু চারটি বুথে রিগিং করে গুন্ডামি করা যেতেই পারে কিন্তু এতে করে জনসমর্থন বিপক্ষেই চলে যায় ।
একুশের শপথ হোক বাংলাকে দেশের দরবারে আগের মতোই এক নম্বরে নিয়ে যাওয়া ।রাজনৈতিক খুনোখুনি হামলা জোর জবর দস্তি বন্ধ হোক।বাংলা আবার সোনার ফসলে ভরে উঠুক।
ভিন রাজ্যে আজও বাংলার কদর আছে।বাংলার ছেলে মেয়েরা আজও এগিয়ে ভিন রাজ্যের অফিস কাছারিতে।আজও বাংলার ছেলে মেয়েরা সৃষ্টি ও কৃষ্টিতে এগিয়ে ।কিন্তু কতদিন চলতে পারে এ ভাবে।
রাজনৈতিক নেতা নেত্রী দের হাতেই তৈরি হবে দেশ ও রাজ্য ।তাই দায়িত্ব তাঁদের নিতেই হবে।আর তা না হলে ইতিহাস ক্ষমা করবে না।
তরুন চট্টোপাধ্যায় ।