বিষয় ছোট গল্প
তারিখ 1---12---20
নারী মহিয়সী ছোট গল্প
শ্যামল সোম
আমিনা ষোল বছর বয়সে নিকা হয় গেলমকবুল হোসেনের সাথে সে ছুতোরে কাটের কাজপারদর্শী ছিলো, ঘাট আলমারি টেবিল চেয়ার নিজের হাতে সুনদর করে তৈরি করেছিলো।ফুল শয্যার র…
বিষয় ছোট গল্প
তারিখ 1---12---20
নারী মহিয়সী ছোট গল্প
শ্যামল সোম
আমিনা ষোল বছর বয়সে নিকা হয় গেল
মকবুল হোসেনের সাথে সে ছুতোরে কাটের কাজ
পারদর্শী ছিলো, ঘাট আলমারি টেবিল চেয়ার
নিজের হাতে সুনদর করে তৈরি করেছিলো।
ফুল শয্যার রাতে পরী মতন রূপসী আমিনা শুনে
স্বামীর সোহাগ বুকের তলায় শুয়ে কুলকুল নদী
বহে গেল শেষে সাগরে মোহনায় বাঁধ ভেঙ্গে দেয়।
সুখের সংসারে দুটো মেয়ে হওয়ার পর অসহ্য চরম
অত্যাচার নির্যাতন শ্বশুরবাড়ির সবাই তখন এক
জোট হয়ে মারধোর করে আমিনাকে দুটো মেয়ে
নাসরিন পাঁচ, পারভিন তিন বছরের শিশু নিয়ে ছিল
যা জামা কাপড় সালোয়ার কামিজ ফ্রক পুঁডলি করে,
নিয়ে বাপ বসির মিয়ার সাথে বাপের বাড়ি জামারপুরে
এলো, মা বাপ খরচ করে মোটরসাইকেল গহনা নগদ
যৌতুক দিয়ে আজ শুধু মেয়ে জন্ম দেওয়ার অভিযোগে
আমিনাকে তাড়িয়ে মকবুল হোসেন সাঈদীর বিয়ে করে
তিনদিন সে ঘর করার পর ডাকাতি হলো মোটরসাইকেল
সব সোনার গহনা ও সাথে করে সাঈদীর তুলে নিয়ে গেল।
সবাই বুঝলো ডাকাতির ঘটনার পেছনে সাঈদীর ষড়যন্ত্র ছিল।
আমিনার বাপ বসির নার্সিংহোমের ডাক্তার ফারুক সাহেবের
গাড়ির বহু বছরের বিশ্বস্থ ড্রাইভার তার কথায় আমিনা নার্সিংহোমে
আয়া কাজ শুরু করে আমিনার মিষ্টি ব্যবহার ওর দুঃখের কথা শুনে
সব ডাক্তার সাহেবের নার্সদের সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন শিখে
নিলো ইঞ্জেকশন দেওয়া, প্রেসার মাপা অনেক কাজ শিখে ভালো মহিলা
পেতো অনেক পুরুষ নিকা জন্য সম্বন্ধ ফিরিয়ে মেয়েদের লেখাপড়া শিখিয়ে
বড় মেয়ে স্কুলে শিক্ষিকা ছোট সেলাই স্কুলের প্রধান শিকিকা দাদু দাদা মাকে
খুব যত্ন করে সংসার সুখের ভরে আছে বিবাহের নাম শুনলেই রেগে যায়।
ভয়ঙ্কর অসুস্থ রোগী মকবুল হোসেন জীবনের শেষ সময়ে এসে হাজির মেয়েরা
আপত্তি করে তাই আমিনা খরচ করে নার্সিংহোমে রেখে চিকিৎসা করতে থাকে
অক্লান্ত সেবা করার জন্য দিনরাত কাজ করতো মেয়েদের বোঝানো এটি ফর্জ।
শেষ সময়ে মকবুল দু চোখে পানি নিয়ে আমিনার কাছে হাত জোড় করে মাপ চায়,
আমিনা নতজানু হয়ে নামাযপাটিতে বসে (মনে করে ফর্জ )ফজরের নামায কয়েম
করছে দূর থেকে বাতাসে আসছে আযান আকাশ সূর্যোদ্বয়ের রঙিন স্বপ্ন আঁকা হলো।