সৃষ্টি সাহিত্য যাপন
"চতুরাশ্রমের এক অধ্যায় বৃদ্ধাশ্রম"
-- অরবিন্দ সরকার বহরমপুর মুর্শিদাবাদ
শিশু কাল কেটেছে , বাপ মায়ের কোলে, শাসনের বেড়া ছিলো না ,সময় কেটেছে বাতাসের হিন্দোলে।তারপর পড়াশোনার পাঠ ঘুচিয়ে, সংসার জীব…
সৃষ্টি সাহিত্য যাপন
"চতুরাশ্রমের এক অধ্যায় বৃদ্ধাশ্রম"
-- অরবিন্দ সরকার বহরমপুর মুর্শিদাবাদ
শিশু কাল কেটেছে , বাপ মায়ের কোলে, শাসনের বেড়া ছিলো না ,সময় কেটেছে বাতাসের হিন্দোলে।
তারপর পড়াশোনার পাঠ ঘুচিয়ে, সংসার জীবন।
বৌ পাশে সর্বদা রাখি বাপমায়ের যতন।
তারপর খোকা এলো পেটে,
তার তরে জীবন প্রাণিপাত,
করতে হবে মানুষের মতো মানুষ বটে ।
বাপ মা গেছেন সগ্গে, আমরা ছেলে নিয়ে তিনজন।
জমিজমা শেষ করেছি,
সোনা দানা তাও শেষ,
নেই তো পিছুটান।
ছেলে চাকরি পেলো ,
বাপ মায়ের পায়ে বেতন অঞ্জলি দিলো।
সুখের সংসার, এলো বৌমা ,
তাদের যত্নের তরে বিশ্রাম নেই,
হয়েছি ঝি, চাকর সমা।
রান্না বান্না,ঘরকন্না পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন,
না করলে আমাদের জুটবে না দুবেলা অন্ন?
এবার এলো নাতি,গোদের উপর বিষফোঁড়া ! তবুও সান্ত্বনা মরলে সঙ্গে দেবে বাতি।
নাতি হলো বড়ো, বাইরে পড়াবার তরে ওরা যাবে নাতির কাছে থাকবে ঘরভাড়া করে।
আশ্রয়হীন আমরা ,নাতি হারালো বন্ধু ,ছলছল আঁখি তার,খেলার সাথী তরে।
আমার স্বপ্নের বাড়ি, রইলো পড়ে,আমরা এখন বৃদ্ধাশ্রমে।
ওদের মঙ্গল হোক,আর আজ আমাদের শুভদৃষ্টি বুড়োবুড়ির,
বৃদ্ধাশ্রম কুটিরে।।