নীরব কান্না
দুচোখের কোল বেয়ে নেমে আসছে উত্তপ্ত স্রোত,জানি আজ তাকে থামানোর চেষ্টা বৃথা !বইয়ে দিলাম অনায়াসে তাই।নির্ঘুম রাত্রি জাগরণের সাথে সমস্ত গ্লানিআজ এভাবেই বয়ে যাক্ অনন্ত সময় ধরে।কি চেয়ে কি পেয়েছি তার হিসেব ধুয়ে যাক্ঐ …
নীরব কান্না
দুচোখের কোল বেয়ে নেমে আসছে উত্তপ্ত স্রোত,
জানি আজ তাকে থামানোর চেষ্টা বৃথা !
বইয়ে দিলাম অনায়াসে তাই।
নির্ঘুম রাত্রি জাগরণের সাথে সমস্ত গ্লানি
আজ এভাবেই বয়ে যাক্ অনন্ত সময় ধরে।
কি চেয়ে কি পেয়েছি তার হিসেব ধুয়ে যাক্
ঐ গরম স্রোতের সাথে—
পিছ্লে যাওয়া সুদীর্ঘ সময়কাল
হারিয়ে যাক আজ ঐ স্রোতের সাথে
নিরবচ্ছিন্নভাবে 'অধরা মাধুরী' হয়ে রয়ে যাওয়া
আকুল পিপাসা সব বয়ে যাক্—
স্তিমিত হবে কি এরপরেও যাপন ?
ঠিক-ভুলের দ্বিচারিতা মুক্তি পাবে কি এরপরেও ?
জানি না , জানা হয় না —
জানি শুধু আমার অক্ষমতা, আমার অপারগতা
এভাবেই জ্বালিয়ে পুড়িয়ে খুবলে খাবে
আমার সমস্ত মনন, আমার অস্তিত্ব।
তবু আমি অটুট থাকতে চাই !
হয়তো বা জীবন্ত লাশ হয়ে,
হয়তো বা অব্যক্ত দহনের শেষে
অন্দরে বা অন্তরে, নির্বান্ধবে বা নির্বাসনে,
কেটে যাবে বহু বহু রাত্রি নির্ঘুম —
তবু অনন্ত সময় ধরে ,
দুচোখের জলের ধারা বয়ে যাক্ অনর্গল।
আজ যে তার থামতে মানা !
আজ যে ধুয়ে মুছে পরিস্রুত হবার দিন !
আজ শুধু বইয়ে দেবার দিন !
তাই আজ অনন্ত সময় ধরে
দুচোখ বেয়ে নেমে আসুক ঐ ক্লেদাক্ত জলের ধারা,
দেখা যাক্ , ঐ তপ্ত স্রোতের জোয়ারের পরে
রুক্ষ, শুকনো ভাটার টানে
চোখের কোনে এক টুকরো
আগুন জ্বলে ওঠে কিনা !!!
ঈপ্সিতা মজুমদার। ২৯/১১/২০২০