" হ্যালো আপনি কি কৌশিক চ্যাটার্জি বলছেন ? " " হ্যাঁ বলুন বলছি । "
ইয়ে মানে আমি বাজাজ শোরুম থেকে বলছি । আপনি যে ডিসকভার বাজাজটা কিনেছিলেন সেটা কি এখনো চালাচ্ছেন ? কেন চালালে কি আপনাদের অসুবিধা আছে ? না স্যার …
" হ্যালো আপনি কি কৌশিক চ্যাটার্জি বলছেন ? "
" হ্যাঁ বলুন বলছি । "
ইয়ে মানে আমি বাজাজ শোরুম থেকে বলছি । আপনি যে ডিসকভার বাজাজটা কিনেছিলেন সেটা কি এখনো চালাচ্ছেন ?
কেন চালালে কি আপনাদের অসুবিধা আছে ?
না স্যার । আমরা বলছিলাম যে ওই বাইকটা বিক্রি করবেন কিনা ।
কি মুশকিল । বাইক টা তো ভালো চলছে । তো বিক্রি করার প্রশ্ন আসছে কেন ?
গত এক মাসে এরকম চার বার ফোন পেলাম । প্রত্যেকেই একি জায়গা থেকে ফোন করে বারে বারে জানতে চায় যে আমি বাইকটা বিক্রি করছি কিনা । প্রথম প্রথম আমি অবাক হয়ে তাদেরকে ভালোভাবেই বলছিলাম যে বাইক টা ভালো চলছে তাই বিক্রি করার প্রশ্ন নেই । কিন্তু সেদিন আবারো ওই ফোন আসাতে এবার আমি নড়েচড়ে বসলাম । এবারের কথোপকথনটা অন্যরকম হলো ।
স্যার আপনি কি বাইকটা বিক্রি করবেন ?
হ্যাঁ নিশ্চয়ই ।
তা কত দাম রেখেছেন ?
ওই পঁচাশি হাজার
স্যার 5 বছর আগে তো নতুনের দাম ছিল 67000 । তাহলে এখন 25 30 হাজার টাকা দাম হবে বড়জোর । কিন্তু আপনি কি করে ওই দাম বলছেন ?
আমার গাড়িটা খুব ভালো চলছে তাই।
স্যার যতদিন যায় গাড়ির দাম কমে যায় । এটাকে ডেপ্রিসিয়েশন বলে ।
তাই নাকি ! তাহলে ভিন্টেজ গাড়ির দাম বাড়ে কেন । আমার গাড়ির দাম বেড়ে গেছে । এখন এর দাম 85 হাজার টাকা সামনের বছরের দাম আরো বাড়বে ।
স্যার 85 হাজার টাকা দাম কেউ দেবে না ।
দ্যাখো ছোকরা 85 হাজার টাকা দেবে তো গাড়ি দেবো নয়তো নিজের রাস্তা দেখো।
এরপর থেকে ব্যাটারা সায়েস্তা হয়েছে । এই সম্পর্কে আর ফোন আসে না ।