Page Nav

HIDE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

পাহাড়ের নতুন সমীকরণ মাথাচাড়া দিতে শুরু করেছে

নিজস্ব প্রতিনিধি, শিলিগুড়ি: একদিকে শুভেন্দু অধিকারী সহ বিভিন্ন নেতারা যখন দল ছাড়ছেন তখন পাহাড় পরিস্থিতি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপর আরো বেশি চাপ সৃষ্টি করছে। বিমল গুরুং দীর্ঘ সাড়ে তিন বছর পর প্রকাশ্যে এসে তৃণমূল…

 


নিজস্ব প্রতিনিধি, শিলিগুড়ি: একদিকে শুভেন্দু অধিকারী সহ বিভিন্ন নেতারা যখন দল ছাড়ছেন তখন পাহাড় পরিস্থিতি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপর আরো বেশি চাপ সৃষ্টি করছে। বিমল গুরুং দীর্ঘ সাড়ে তিন বছর পর প্রকাশ্যে এসে তৃণমূলকে সমর্থন করে বিজেপি-র সঙ্গ ছাড়ার পর পাহাড়ের রাজনীতিতে নতুন সমীকরণ মাথাচাড়া দিতে শুরু করেছে। সেই প্রেক্ষাপটেই পাহাড়ের আগামীদিনের কর্তৃত্ব কে নেবে, এই প্রশ্নকে সামনে রেখে বিমল গুরুং পন্থী মোর্চা ও বিনয় তামাং পন্থী মোর্চার লড়াই ক্রমশ এক অস্বস্তিকর জায়গায় এসে দাঁড়িয়েছে। সেই সন্ধিক্ষণে বিমল গুরুং পন্থী মোর্চার মহাসচিব রোশন গিরি বৃহস্পতিবার কলকাতায় যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বিনয় তামাং এবং অনিত থাপাদের পাহাড়ে অনুপস্থিত থাকার দিকটি রাজনৈতিক তো বটেই সোশ্যাল মিডিয়াতেও নানা গুঞ্জনের তোলপাড় হচ্ছে পাহাড়। 

অনেকেই বলছেন বিমল গুরুং পন্থী মোর্চাকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিধানসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে কাছে টেনে নেওয়া বিনয় পন্থীরা কিন্তু এবার কোমর বেঁধে নেমেছেন পাল্টা জবাব দেওয়ার জন্য। কেননা প্রকাশ্য জনসভায় বিমল পন্থীদের বিরুদ্ধে বিনয় পন্থি মোর্চার নেতৃত্বে সরাসরি অভিযোগ সেভাবে না থাকলেও তারা পাহাড়বাসীর কাছে একটি কথাই তুলে ধরছেন যে, বিপদে ফেলে যাওয়া বিমল গুরুংকে নেতা হিসাবে গ্রহণ করলেই পাহাড় আরও পিছিয়ে পড়বে। সেক্ষেত্রে বিনয় তামাং, অনিত থাপারা যেভাবে পাহাড়কে এগিয়ে নিয়ে চলেছেন তাতে তারাই পাহাড়কে এবং পাহাড়বাসীকে আরো উন্নত এবং স্বস্তিকর জায়গায় পৌঁছে দিতে পারেন। 

 কিন্তু কিছু সোশ্যাল মিডিয়ায় বিনয় তামাং এবং অনিত থাপারা দিল্লিতে গিয়ে বিজেপি নেতৃত্বের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন এমন খবর প্রকাশিত হওয়ায় পাহাড়ের রাজনীতি নিয়ে নতুন জল্পনায় শোরগোল শুরু হয়েছে। যদিও বিনয় তামাং এবং অনিত থাপারা সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, বৃহস্পতিবার তারা শিলিগুড়িতে ফিরে এসেছেন কলকাতা থেকে এবং সন্ধ্যায় শিলিগুড়ি লাগোয়া শুকনার পিনটেল ভিলেজে তারা দলের কোর কমিটির সঙ্গে বৈঠক শুরু করেছেন। কাজেই তাঁদের দিল্লিতে গিয়ে বিজেপি নেতৃত্বের সঙ্গে যোগাযোগ করার বিষয়টি নিয়ে গুজব বা কোন একটি অংশের পরিকল্পিত চক্রান্ত বলেই মনে হচ্ছে। শুধু তাই নয় বিনয় তামাং জানিয়ে 

দিয়েছেন, তাঁরা তাদের পাহাড়ের গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা ছেড়ে অন্য কোনো দলই তাদের যাওয়ার কোন প্রশ্ন নেই।

এদিকে রোশন গিরির এদিন কলকাতায় পৌঁছে যাওয়া নিয়ে অনেক জল্পনা চলছে। একটি অংশ মনে করছে, তৃণমূলের সাংগঠনিক পরিচালনার দায়িত্বে থাকা প্রশান্ত কিশোর গ্রুপের সঙ্গে আলোচনায় করতে কলকাতায় গিয়েছেন রোশন। কিন্তু বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় এক প্রশ্নোত্তরে টেলিফোনে রোশন গিরী বলেন এ ধরনের কথার কোনও ভিত্তি নেই। তিনি তার ব্যক্তিগত কাজেই কলকাতায় এসেছেন।

 মোর্চার দুই গোষ্ঠীর নেতাদের এই বক্তব্যে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচারিত খবরে নানা ধরনের গুঞ্জন উঠেছে। রাজনৈতিক মহল মনে করছেন বিমল গুরুংকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে টেনে নেওয়া বা পাহাড়ের রাজনীতিতে আবার তাঁকে নতুন করে প্রত্যাবর্তনের সুযোগ করে দেওয়ার দিকটি বিনয় তামাং গোষ্ঠী কোনও মতেই মেনে নিতে পারছেন না। সেই জায়গা থেকে তারাও লড়াই করছেন। পাহাড়ের মানুষের কাছে তারা আবেদন রাখছেন যে, বিমল গুরুং যে পরিস্থিতিতে পাহাড়েকে ফেলে রেখে গিয়েছিলেন। সাড়ে তিন বছর পাহাড় ছাড়া হয়েছিলেন সেই দিনগুলিতে পাহাড়ের মানুষের যে সংকট, সমস্যা দেখা দিয়েছিল তখন বিনয় তামাং তাদের পাশে ছিলেন। কাজেই নতুন করে পাহাড় অশান্ত হোক, পাহাড়ের সমস্যা হোক, পাহাড়ের পিছিয়ে পড়া অংশের মানুষ, প্রত্যন্ত অঞ্চলের বাসিন্দারা আবার সংকটে পড়ুন এটা তারা চান না ।আর এই জায়গা থেকেই তারা পাহাড়ের মানুষের কাছে আবেদন জানিয়েছেন যে আপনারা নতুন করে ভাবুন নতুন করে বিচার করুন।