#দৈনিক_লেখা নিঃসঙ্গ যুবক
মধুপর্ণা বসু
এই যে মনমরা যুবকটি একা পাহাড়ের রুক্ষ বুকে নিতান্ত অযাচিত ভাবে ঘোলা দৃষ্টিতে ধুমপান করে চলেছে, এ আমার দেখা হেমন্তের দিন ।ওর সারা দিন অলস বারান্দায় মাকড়সার জাল বোনা দেখে কাটে। তারপর যখন একটু এক…
#দৈনিক_লেখা
নিঃসঙ্গ যুবক
মধুপর্ণা বসু
এই যে মনমরা যুবকটি একা পাহাড়ের রুক্ষ বুকে নিতান্ত অযাচিত ভাবে ঘোলা দৃষ্টিতে ধুমপান করে চলেছে, এ আমার দেখা হেমন্তের দিন ।
ওর সারা দিন অলস বারান্দায় মাকড়সার জাল বোনা দেখে কাটে।
তারপর যখন একটু একটু করে
অঘ্রানের শেষে সারা মাঠ জুড়ে শুধু খড়ের আঁটি ধিকিধিকি আগুনে পোড়ে, ওই নির্বান্ধব যুবক সম্পর্কের চিতার পাশে বসে করুন সুরে বাঁশী বাজায়।
ঠিক সন্ধ্যা নামার আগে ময়ূরকণ্ঠী আকাশে তার একাকীত্বের কষ্ট কষ্ট ছাই উত্তুরে হাওয়ায় ছড়িয়ে যায় বাঁশির সুরে মারওয়া রাগে।
কেউ তার ভাঙাচোরা বুকের নীচে দলছুট সাদা বকের আতঙ্ক দেখতে পায়না।
উলঙ্গ শিশুর পাঁজরভরা শীতের কাঁপুনি শুনতে পায়না,
সীমান্ত রক্ষায় যুবকের সদ্য বিবাহিতা প্রিয়ার একা শীতের রাতে বালিশে চোখের জল মোছার দাগ খুঁজে পায়না।
ওই ক্ষনিকের নিঃসঙ্গ যুবক নদী, পাহাড়, জঙ্গল,বালুচর, মরুমায়া,সব ছবিতে কেমন আসন্ন সন্ধ্যের ফ্যাকাসে রঙ ছুঁইয়ে তার অজানা গন্তব্যের দিকে পা বাড়ায়।
আর বড় আরও উদার যাত্রার বিস্তৃত একটা অনুভব লিখে রেখে একবার থমকে তাকায়, তারপর চলে যায় সবার অনীহাকে সাথে নিয়ে।