Page Nav

HIDE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

ক্যাসিওপিয়া-সাহিত্য-পত্রিকা-দৈনিক-সেরা-লেখনি-সম্মাননা

দৈনিক সাহিত্য প্রতিযোগিতাবিভাগ-ছোটোগল্পশিরোনাম- রক্ষককলমে-মিতা দাস বিশ্বাসতারিখ-২৬/০১/২১আল্পনা এতো অন্ধকারে একা বাড়ীতে ফিরছে ।আজ ওভারটাইম করাতে রাত হয়ে গিয়েছিল।তার মধ্যে এই মুশুলধারে বৃষ্টি ।একটা লোকও নেই রাস্তায়। কিন্তু আল্প…

 


দৈনিক সাহিত্য প্রতিযোগিতা

বিভাগ-ছোটোগল্প

শিরোনাম- রক্ষক

কলমে-মিতা দাস বিশ্বাস

তারিখ-২৬/০১/২১

আল্পনা এতো অন্ধকারে একা বাড়ীতে ফিরছে ।আজ ওভারটাইম করাতে রাত হয়ে গিয়েছিল।তার মধ্যে এই মুশুলধারে বৃষ্টি ।একটা লোকও নেই রাস্তায়। কিন্তু আল্পনা লক্ষ্য করছে একটা বয়স্ক লোক আল্পনার পিছু নিয়েছে। আল্পনা চারিদিকে চোখ বুলিয়ে লোক খুঁজছে। নিজের সর্বনাশের ভয়ে বুক কাঁপছে ।কি করবে ও ।হায়না যে পিছু নিয়েছে।লঙ্কার গুড়োর প্যাকেটটা হাতে নিয়ে দৌড়াতে গেছে যেই সেই লোকটা চিৎকার করে বলল ,ভয় পাস না মা । আমি তোর ক্ষতি করতে নয় তোর রক্ষা করতে তোর সাথে চলেছি। আল্পনা দাঁড়িয়ে যায়।লোকটা কাছে এসে বলে, হায়নার দল আমার মেয়েটাকে শেষ করে দিয়েছে ।তাই আমি ঐ স্টেশনে দাঁড়িয়ে থাকি ।রাত করে ফেরা মেয়েদের  বাড়ি পৌঁছে দি। আমি যে বাবা । যা মা বাড়ি যা নিশ্চিন্তে । আল্পনা এগিয়ে গিয়ে বয়স্ক মানুষটার সামনে দাঁড়িয়ে তাকে প্রনাম করে বলে, ক্ষমা করুন আমাকে । আমি ভুল ভেবেছিলাম । বুঝতে পেরেছিলাম মা ।জানিস আমার মেয়েটা নার্স ছিল।যা ওদের ডিউটির তো বাপ মা নেয়। বেশি বয়স না হলেও ত্রিশের পা দিয়েছিল। বিয়ের জন্য ছেলে খুঁজতে গেলে বলতো , বিয়ে করবে না ।ও বিয়ে করলে আমাদের বুড়োবুড়িকে কে দেখবে? কিছুতেই বিয়ে করলো না। সেদিন এরকম নিকষ কালো অন্ধকার ছিলো । হাসপাতালে ওটি করে বাড়ি ফিরতে বেশ রাত হয়েছিল । মেয়েটা স্টেশনে নেমে দেখে টিপটিপ করে বৃষ্টি পড়ছে ।ও সাহসে বুক বেঁধে বাড়ির দিকে পা বাড়ায় ।আমার বাড়ির কাছাকাছি একটা আধাতৈরী ফ্ল্যাট পরে আছে। ওখানে ছ,সাতটা ছেলে মদ খাচ্ছিল ।সব পাড়ার ছেলে রে।মেয়েটার  বেড়ে ওঠা ওরা দেখেছে তাও ছাড়ে নি ওকে । বৃষ্টিও ঝেঁপে এসেছিল ।ওদের হাতে পায়ে ধরেছিল আমার সৌমি। ওরা ছাড়ে নি।সাতজন ছেলে ধর্ষণ করে মেরে ফেলেছে মেয়েটাকে।মেয়েটার আর্তচিৎকার বৃষ্টি আর বিদ্যুতের আওয়াজে আমাদের কানে যায় নি ।কতো নাটক হলো মা ।পেপার, টিভিতে মেয়েটাকে বারবার ধর্ষিতা বানালো। ছেলেগুলোকে জেলে নিয়ে গিয়েছিল।এখন ঘুরে বেড়াচ্ছে। আমি স্টেশনে ঘুরে বেড়ায় বলে সকলে আমায় পাগল বলে । আল্পনা বললো, না মেসোমশাই আপনি পাগল নন। আপনি আমাদের সবার বাবা । হ্যাঁ মা মেয়েটাকে খুবলে খেয়েছিল ।মুখ ,হাত,পা কামড়ে শেষ করে দিয়েছিল ।ওর মা তার দেখে হার্ট অ্যাটাকে মরে বাঁচল । আমি আর কি করবো ? আমার অন্য মেয়েদের হায়েনাদের হাত থেকে বাঁচানোর চেষ্টা করি। আল্পনা বলে , আপনাকে আজ থেকে আমরা দেখব।এযুগে আপনি আমাদের রক্ষক । নমস্য আপনি।