।। সুনির্মল বসুর কবিতা।।।। চিত্রগুপ্তের ডাইরি।।
ভোরের কুয়াশায় ঢাকা নদীর কাছে কখনো রাত্রির জ্যোৎস্না ও জল তরঙ্গের ইতিহাস জানতে চেয়েছো,শিয়রে যে পাহাড় মৌন মুখর দাঁড়িয়ে,সে কি কখনো তোমাকে ঝাউবীথির গল্প শুনিয়েছে, সমুদ্রের নীল জল…
।। সুনির্মল বসুর কবিতা।।
।। চিত্রগুপ্তের ডাইরি।।
ভোরের কুয়াশায় ঢাকা নদীর কাছে কখনো রাত্রির জ্যোৎস্না ও জল তরঙ্গের ইতিহাস জানতে চেয়েছো,
শিয়রে যে পাহাড় মৌন মুখর দাঁড়িয়ে,সে কি কখনো তোমাকে ঝাউবীথির গল্প শুনিয়েছে, সমুদ্রের নীল জল কখনো শুনিয়েছে জীবনের বিষাদগাথা,
বন্দর ছেড়ে যাবার আগে জাহাজ ভো শব্দে কখনো কি জানিয়েছে তার অনির্দেশ্য যাত্রার কথা,শহরের গলিপথে যে তরুণীটি দাঁড়িয়ে তাকে নষ্ট নারী ভাবার কোনো যুক্তি খুঁজে পাওয়া যাবে কি,
প্রত্যাখ্যাত কোন যুবক কোন ব্যর্থ প্রেমিক পার্কস্ট্রিটের রাস্তায় দাঁড়িয়ে মত্ত অবস্থায় বলবে, শাললা, আমার কিছুই ভাল্লাগে না,
কে তাকে কি সুস্থ জীবনের প্রশ্বাস এনে দেবে,
তেমন কোনো যুগপুরুষ' অথবা মাতব্বর আজ আর চোখে পড়ছে না, এখন আখের গোছানোই সময়ের চুক্তি,দেওয়াল আজকাল চুপকথা শোনে, সতর্ক চোর কামায় গোপনে, বেঁচে থাকা ভরসা পায় না,
চারদিকে লোভী হায়না,রাজপুরুষ দ্যাখে নিজের মুখ, কখনো দ্যাখে না আয়না,
ভোরের নদী, ব্যর্থ প্রেমিক, নষ্ট নারী কাঁদে,
সমাজের বিধাতা নীরব থাকে,
দিন বদলায়,রাজা বদলায়, দিন বদলায় না,
পাহাড়ের গল্প, নদীর গান, ব্যর্থ প্রেমিকের কান্না প্রথমে স্মৃতি,তারপর কবিতা হয়ে যায়,
ইতিহাস সন তারিখ লেখে, মানুষের কান্নার কথা
লেখে না,বোবা কান্না রাতের বাতাসে ভেসে যায়, অসহিষ্ণুতায়,
কে যায়,কে কাঁদে,কারা যেন কাঁদে,
কালপুরুষ হিসেবের খাতা লেখে,
চিত্রগুপ্তের হিসেবের খেরোখাতা অজস্র লেখায় ভরে যায়।