সৃষ্টি সাহিত্য যাপন#অণুগল্প #মুক্তিস্নান #গোপা_ব্যানার্জ্জী
শীতের কোলকাতা,আজ বড়দিনের উৎসবে মেতেছে। জুঁই ভেবেছিল আজ অফিসে পার্টি করে ফিরবে সাত্যকি, আজ ওর শরীরটা সারারাতের যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পাবে।একটু খোলা বাতাসে শীতের আমেজ মাখত…
সৃষ্টি সাহিত্য যাপন
#অণুগল্প
#মুক্তিস্নান
#গোপা_ব্যানার্জ্জী
শীতের কোলকাতা,আজ বড়দিনের উৎসবে মেতেছে। জুঁই ভেবেছিল আজ অফিসে পার্টি করে ফিরবে সাত্যকি, আজ ওর শরীরটা সারারাতের যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পাবে।
একটু খোলা বাতাসে শীতের আমেজ মাখতে, অনেক উঁচু থেকে আলোয় সাজানো স্বপ্নের মতো শহরটা দেখতে, ছাদে এসে দাঁড়ালো জুঁই ।
এই বিলাসবহুল ফ্ল্যাটে প্রাচুর্যের কোনো অভাব নেই। অভাব শুধু স্বাধীনতা আর ভালোবাসার ।
কয়েকমাস আগে, বহুজাতিক সংস্থার কর্মী সাত্যকির সাথে বিয়ে হয়েছে জুঁইয়ের।
জুঁইয়ের বাবা মা এত ভালো পাত্র পেয়ে,খুব তাড়াতাড়ি বিয়েটা দিয়েছিলেন।
ফোনে কথা বলে, দুএকবার দেখা করার পরে সাত্যকির চেহারা আর ব্যবহারে মুগ্ধ হয়েছিল জুঁইও।
কিন্তু বিয়ের কদিনের মধ্যে জুঁই টের পেল, সাত্যকি মানুষ নয়, একটা পিশাচ, যার শুধু নারী মাংসের প্রতি লোভ। সারারাত ধরে উল্টে পাল্টে ভোগ করার পরেও ক্ষিদে মেটেনা।
হঠাৎ পিছনে পায়ের শব্দ পেয়ে ঘুরে দেখল, সাত্যকি!
ভয়ে জড়োসড়ো জুঁই কি করবে, বুঝতে পারল না।
এত রাতে জুঁই ছাদে এসে দাঁড়িয়েছে, এত সাহস!
নেশায় চুড় সাত্যকি হিংস্র হয়ে এগোতে থাকল জুঁইয়ের দিকে,
"আজ তোমাকে কেউ বাঁচাতে পারবে না " বলে ঝাঁপিয়ে পড়লো অসহায় জুঁইয়ের ওপর!
এই কনকনে ঠান্ডায়ও শাওয়ারের নিচে দাঁড়িয়ে, জুঁই করছে মুক্তির স্নান!
কুড়ি তলা ফ্ল্যাটের নিচে, সাত্যকির দলা পাকানো ঠান্ডা দেহটা ঘিরে তখন অনেক মানুষের ভিড় ।
©®গোপা