Page Nav

HIDE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

কবি প্রদীপ মালিকের কবিতা গুচ্ছ

: কবিতা:-ভালোবাসা খোঁজে ঠিকানাকলমে:- প্রদীপ মালিক
ভালবাসা শব্দটি ছোট্টঅথচ ভালোবাসা শব্দটার মধ্যেই আছে,দুটি হৃদয়, দুটি মন আর একটি স্বপ্ন।যে স্বপ্নের মধ্যেই লুকিয়ে থাকে কিছু চাওয়া ও পাওয়া।আর সেই চাওয়া-পাওয়ার সেতু ধরেই, দুটি মন…

 


: কবিতা:-ভালোবাসা খোঁজে ঠিকানা

কলমে:- প্রদীপ মালিক


ভালবাসা শব্দটি ছোট্ট

অথচ ভালোবাসা শব্দটার মধ্যেই আছে,

দুটি হৃদয়, দুটি মন আর একটি স্বপ্ন।

যে স্বপ্নের মধ্যেই লুকিয়ে থাকে কিছু চাওয়া ও পাওয়া।

আর সেই চাওয়া-পাওয়ার সেতু ধরেই, দুটি মন এক হতে চাই।

প্রজাপতি নীল স্বপ্নের দেশে চোখে স্বপ্ন নিল কাজল মেখে।

যেখানে,

জীবন মরা মাছের চোখের মত ঘোলাটে নয়।

সেখানে দুঃখ-কষ্ট তাপ উত্তাপ নেই,

নেই কোনো অভাব অনটনের অভিযোগ।

আছে শুধু সুখের সবুজ ঠিকানা।

যেখানে গেলে খেটে খাওয়া মানুষের যন্ত্রণার ঘা গুলোকে কেউ খুঁচিয়ে আর রক্তাক্ত করবে না।

যেখানে গেলে মনে পড়বেনা তৃষ্ণাত্ব ক্ষুধার্ত মানুষের মুখ গুলো।

মনে পড়বেনা বিভীষিকাময় রাতের দুঃস্বপ্নগুলো।

যেখানে গেলে কানে আসবে না কোনো নগ্ন শিশুর শীতার্ত খিদের কান্না।

কানে আসবেনা কোন ধর্ষিতা বোনের চিৎকার,

কানে পৌছাবেনা ওই মুখোশধারী নেতাদের মিথ্যা স্লোগান আর মিথ্যা আশ্বাস।

আমার বুকের ভিতর শুয়ে থাকা নিদ্রাচ্ছন্ন শব্দের ঘুম,

যেখানে কেউ ওরা ভাঙতে পারবেনা।

ভালোবাসার খোঁজে ঠিক এই রকম জায়গা।

চলো সেথায়,

যেথায় দুজনার দুটি মুখ হবে দুটি আয়না।

তোমার ওই মুখের আয়নায় ফুটে উঠবে শুধু আমার মুখের প্রতিচ্ছবি,

আর আমার মুখের আয়নায় ফুটে উঠবে কেবল তোমার মুখের প্রতিচ্ছবি।

****************

: তারিখ-০৪-০১-২০২১

দৈনিক সাহিত্য অনুশীলন

কবিতা:- স্মৃতির ভেলায়

কলমে:- প্রদীপ মালিক


তুমি হেঁটেছো নিস্তব্ধ খাঁ খাঁ বিষন্ন দুপুরের ধূলো ওরা পথে

তুমি হেঁটেছো কুয়াশা ঢাকা ধোঁয়াশায়,

 কিংবা, ঝরে পড়া চৈত্রের ঝড়ে শুকনো পাতার শব্দ মাড়িয়ে।

তুমি হেঁটেছো উদ্ভ্রান্ত পথিকের মত দিবানিশি,

ওই পদ্মবনের আরে আরে আর হৃদি বক্ষ শ্রাবণের বাঁকে বাঁকে।

কিন্তু হায়, দিন চলে গেল শীতল মৃত্যুর গ্ৰামে,

হলো অবেলা, এই বেলা অবেলার মাঝে রয়ে গেল শুধুই স্মৃতির ভাসমান ভেলাই, আধো আলো প্রদীপের ছায়া।

এখনো কাটেনি রাত,

             আসেনি ভোর পূর্ণিমা,

এখনো আসেনি শ্বেত বৃষ্টির ঘনঘটা ওই নির্মল শুভ্র তারকারাজির পাশে।

ঠিক যেমন করে আসে,

নেচোলের এর কাছে প্রেম সোহাগী ধূলা।

আর সত্যের কাছে মিথ্যা, 

তেমনি ভাবে সে যদি আবার আসে ফিরে কোন একদিন।

তাহলে নীরব থেকোনা আর তুমি, সেদিনের মত।

**************

: কবিতা:-রামধনু স্নেহের কুয়াশা

কলমে:- প্রদীপ মালিক


কোকিলের ডাকে রাত ফুরিয়ে যায়। 

সকালের আলো ফোটে আমার সোনালী স্বপ্নরা উড়ে যায়।

শীত, গ্রীষ্ম, বর্ষার ভাঙা রোদ গায়ে মেখে, ওই দূর নীল আকাশের গাঁয়ে।

আবার যখন দিন শেষে রাত নামে,

আমার সোনালী স্বপ্নরা রাতের জোনাকি হয়ে ঘুরে বেড়াতে চাই।

অরন্য রাতের অলিতে গলিতে আমার ভাঙ্গা জানালার ফাঁকে।

কেন জানিনা?

ওরা রাত সোহাগী আদরিণী হয়ে আমার শয্যা জুড়ে জোৎস্না মাখতে চাই প্রতিদিন।

আমি বলি ওদের---- যাও তোমরা।

কি আছে আমার শয্যাই?

না আছে কোন ভালোবাসার গন্ধ,

না আছে নরম শয্যার আরাম।

আছে শুধু শুষ্ক রুক্ষ তেল চিটচিটে ছেঁড়া শয্যার গন্ধ।

কি পাবে তোমরা এখানে?

বরং চলে যাও সাত সমুদ্র তেরো নদী পেরিয়ে কোনো এক রূপকথা গল্পেরদেশে।

এসো না আমার কাছে আর।


আমার জীবন নদীর ঘোলা জলে যে, প্রতিদিন প্রতিনিয়ত পাক খায় শুধু হৃদয়ের যন্ত্রণা।

সে যন্ত্রণার ভাগী তোমরা কেন হবে?

তোমরা না হয় বিকেলের গোধূলির নরম রোদ ছায়া হয়ে, ঘাসফড়িং এর মতো খেলা করো।

তোমাদের হৃদয়ের ঝিরঝিরে হাওয়ায় ভাসতে দাও,

চৈতী চাঁদের হাস্নুহানা ফুলের গন্ধে।


তোমরা তো চাও জীবনানন্দের বনলতা সেন হতে।

তোমরা তো চাও রূপকথা গল্পের চেনা কবির অচেনা রূপময়ী কুয়াশা হতে।

তোমরা তো চাও আকাশ গাঁয়ের নীলাম্বরী হতে।

তবে কেন আসো আমার কাছে?


কেন লোভ দেখাও এই ক্ষয়ে যাওয়া খোয়াটে চাঁদকে?


কেন, তোমরা আমার চটা ওঠা দেওয়ালে প্রদীপের আলো ছায়া তৈরি করো!

কেন ভুলে যাওয়া অতীতকে ফিরিয়ে দাও?

কেন লোভী করে তোল আমাকে?

চলে যাও তোমরা,

আমার থেকে অনেক দূরে।

আজ আমি এই নির্লজ্জ রাতের আঙিনায় একটু ভালো করে ঘুমাতে চাই একান্ত একাকী।

ওগো জোনাক জ্বলা রাত সাক্ষী হয়ে থাকো তুমি।

ওগো নীল জোৎনা জেগে থাকো তুমিও।

পারোতো আমার কপালে এঁকে দাও রামধনু স্নেহের কুয়াশা।

আজ আমি নীলা হয়ে ঘুমাতে চাই তোমার কোলে।