**অসবর্ণ আগন্তুক****মালবিকা মজুমদার **
মননের বেঁধে রাখা যত নীল সুখ পাখি উড়িয়ে দিয়ে দুরত্বের দেওয়ালের ভিত গেঁথে দিলাম ।অনুভবের এলোপাথাড়ি অনুরণন বা আলোড়নে পড়িয়ে দিয়েছো ব্যথার শিকল।বহুমুখী স্রোতে ভাসলে ক্ষয়ের ক্ষতিয়ানে, ডুবে যাওয়ার স…
**অসবর্ণ আগন্তুক**
**মালবিকা মজুমদার **
মননের বেঁধে রাখা যত নীল সুখ পাখি উড়িয়ে দিয়ে দুরত্বের দেওয়ালের ভিত গেঁথে দিলাম ।
অনুভবের এলোপাথাড়ি অনুরণন বা আলোড়নে
পড়িয়ে দিয়েছো ব্যথার শিকল।
বহুমুখী স্রোতে ভাসলে ক্ষয়ের ক্ষতিয়ানে, ডুবে যাওয়ার সম্ভবনাকে কখনোই তাচ্ছিল্য করা যায় না ।
আবেশের বশে আগুনের শিখা জড়িয়ে ধরলে তার আঁচ থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে না ।
মরিচিকা ভ্রমে কতবার এক বালিয়াড়ির ঝড়ে পড়ে ছিন্ন বিচ্ছিন্ন করবো নিজেকে ।
সময়ই সব থেকে বড় আয়না, অভিধানের অনামী অন্ধকার দূর করে বলে দেয়, সব ভ্রমের ইন্দ্রজাল।
যা কিছু দেখে মন অনুভবের উঠোনে আকর্ষণের অঙ্কুর কুড়িয়েছিলো,অলীক জাল বুনেছিলো,সব ক্ষণস্থায়ী ।
ভালোবাসা আর ভালোলাগার মধ্যে, দিন রাত্রি বা আহ্নিক বার্ষিক গতির অন্তর লেপ্টে আছে ।
শৃঙ্খল ভেঙে ক্ষনিকের মোহে, মোহনার টান।
মনের রাসায়নিক বিক্রিয়ায় সময়ের সাথে স্বস্তির বর্ণের আকার বৈশিষ্ট্যের গন্ডিতে আটকে রাখা
যায় না।
আকর্ষণের সমীকরণ যখন আলগা হয়ে যায়। কোন অনুপাতেই স্থির থাকে না মন ।
চোখের কাজলে অন্তর্দহণ, বসন্তের রঙিন পাতাগুলো থেকে একটু একটু করে রঙ মিলিয়ে যাচ্ছে দেখে একটু দুরত্বেই থাকি।
সাধারন আর বিশেষের পার্থক্য নেই যেখানে , সেখানে নিজেকে সরিয়ে নেওয়াই ভালো।
বিশেষ এর উত্তরীয় পড়িয়েছো যাকে ,তোমার সব ভার তারই থাক ।
আমি আবার নিষেধের বাড়াজালে আটকে ভুলের কিস্তি শোধ করে, অসবর্ণ আগন্তুক হবো।