Page Nav

HIDE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

সদ্যোজাত কন্যা সন্তানকে মন্দিরে ফেলে গেলেন মা

১৪ ই ফেব্রুয়ারি প্রেম দিবসে সদ্যোজাত কন্যা সন্তানকে মন্দিরে ফেলে গেলেন মা। প্রশাসনের তৎপরতায় ঠাঁই হলো সরকারি দত্তক প্রদান কেন্দ্রে।
পাঁশকুড়ার এরাপুর গ্রামে গোসাই বাবার মন্দিরে সবাই যখন পুজো দিতে ব্যস্ত, সেই ভিড়ের মধ্যে ৩১ দিনে…

 


১৪ ই ফেব্রুয়ারি প্রেম দিবসে সদ্যোজাত কন্যা সন্তানকে মন্দিরে ফেলে গেলেন মা। প্রশাসনের তৎপরতায় ঠাঁই হলো সরকারি দত্তক প্রদান কেন্দ্রে।


পাঁশকুড়ার এরাপুর গ্রামে গোসাই বাবার মন্দিরে সবাই যখন পুজো দিতে ব্যস্ত, সেই ভিড়ের মধ্যে ৩১ দিনের সদ্যোজাত কন্যাশিশুকে রেখে পালিয়ে গেলেন মা। শিশুটির পাশেই রেখে গেলেন কাগজে লেখা নাম, গোত্র জন্ম তারিখ। কন্যা শিশুটি কে কান্নাকাটি করতে দেখে আশেপাশের লোক ভিড় জমায়। কাউকে না পাওয়ায় অবশেষে ব্রাহ্মণের হাতে তুলে দেওয়া হয় শিশুটিকে। খবর দেওয়া হয় পাঁশকুড়া থানার পুলিশকে। পুলিশ এসে প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য পাঁশকুড়া সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় শিশুটিকে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় শিশুটিকে স্থানান্তরিত করা হয় তমলুক জেলা হাসপাতালে। সরকারি নিয়ম অনুযায়ী তমলুক জেলা হাসপাতাল থেকে শিশুটিকে তমলুকের নিমতৌড়ি সরকারি দত্তক প্রদান কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকেই শিশুটি বড় হয়ে উঠবে। এখন প্রশ্ন উঠছে কেন এই শিশুটিকে মন্দিরে ফেলে গেলেন তার মা? তমলুক জেলা হাসপাতালের চিকিৎসক অক্ষয় শংকর করগুপ্ত বলেন শিশুটির সাথে লিখে যাওয়া কাগজটি চিকিৎসা করার ক্ষেত্রে কাজে দিয়েছে। বিভিন্ন সমস্যা থাকে। কেউ আর্থিক সমস্যায় ভোগেন, কেউবা কন্যাসন্তান হয়েছে বলে ফেলে দিয়ে যায়। এগুলো হচ্ছে সামাজিক ব্যাধি। এই ব্যাধি থেকে সমাজের মানুষকে বেরোতে হবে। তবেই সমাজ উন্নত হবে। কেউ আর তার নিজের সন্তানকে ফেলে যাবে না।