Page Nav

HIDE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

আব্বাস, বিমান, অধীরকে পিছনে ফেলে আজও বঙ্গের ভোটে মমতাই ফেভারিট ।

তরুন চট্টোপাধ্যায় । ভোটের বাদ্যি বেজে গেছে।কত দফায় ভোট হবে তাও ঠিক।আর ভোটের ফলাফল ও কবে তাও পরিস্কার ।এখন শুধু প্রার্থী ঝাড়াই বাচাই এর কাজ বাকি।ইতিমধ্যেই সব দল ময়দানে ।কংগ্রেস ও অন্য দলের সঙ্গে জোট বেঁধে বাড়তি অক্সিজেন নিয়ে বিগ্রে…

 


তরুন চট্টোপাধ্যায় ।

ভোটের বাদ্যি বেজে গেছে।কত দফায় ভোট হবে তাও ঠিক।আর ভোটের ফলাফল ও কবে তাও পরিস্কার ।এখন শুধু প্রার্থী ঝাড়াই বাচাই এর কাজ বাকি।ইতিমধ্যেই সব দল ময়দানে ।কংগ্রেস ও অন্য দলের সঙ্গে জোট বেঁধে বাড়তি অক্সিজেন নিয়ে বিগ্রেডে নামলো বামফ্রন্ট ।যদি কিছু আসন বাড়ে।না বাড়বে তো নিশ্চয় ।এমন মোকা কে আর ছাড়ে।বিজেপির দেশ শাসন ও তৃনমূলের রাজ্য শাসনের নানা ফাঁকফোঁকরে ঢুকতে চাইবেন তারা।এ নিয়ে কোন সংশয় নেই।কোভিড পরিস্থিতিতে নানা কাজ করেছেন বামফ্রন্টের দলীয় কর্মী রা।তার ফসল ও এবারের ভোটে চাইবেন একথা সত্য ।তবে মূল লড়াই এ থাকছেন না।কারন এই রাজ্যের ভোটে তৃনমূল ও বিজেপি আজও বড় দল।ফলে ভোট বাজারে তাদের আধিপত্য ও বেশি।সরকার গড়ার দৌড়ে বিজেপি ও তৃনমূল সবার আগে যে থাকছে তাতো জলের মতোই সরল।কিন্তু বাম কংগ্রেস জোট যে এবার একটা ফ্যাক্টর হবে সেটিও কিন্তু ছুঁড়ে ফেলার মতো নয়।কিন্তু সবটাই নির্ভর করছে বিজেপি ও তৃনমূল দলের প্রাপ্ত আসনের ওপর ভিত্তি করেই।যদিও নির্বাচন সমীক্ষা বলছে তৃনমূল একাই এবারের ভোটেও নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাচ্ছে।তবে আগ বাড়িয়ে কিছু বলা হয়তো বোকামি ।নির্বাচন অঙ্ক যে কার ভাগে কি আসবে তা আগাম লেখার দরকার হয় না।সমীক্ষায় ভুল ঠিক যাহোক ঘটতে পারে।শেষ কথা বলবেন জনতা জনার্দন ।ইভিএমের বোতাম টেপার আগে কি করে বলা যাবে কার ভোট কোথায় ।তবে ঘাসফুল আর পদ্ম ফুল যে এবারের ভোটে সরকার গঠনের মূল দুই প্রতিদ্বন্দ্বী তাতো সত্যি ।তবে দুজনের কেউই যদি নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা থেকে দূরে থাকে তখন মূল কারিগর হবেন এই জোট।চলবে দড়ি টানাটানি ।

                 এগুলো সবই অনুমান ভিত্তিক ।আসল লড়াই সেই তৃনমূল আর বিজেপি দলের মধ্যে ।তৃনমূলের হিসাব বলছে বিজেপির আসন সংখ্যা একশোর নীচেই থাকবে।আর যদি তাই হয় কেল্লা ফতে।তৃনমূল আবার ক্ষমতায় ।নবান্নে উড়বে তৃনমূলের পতাকা ।

কিন্তু বিজেপি দলের হাইকমান্ড বলছেন এবার এই রাজ্যের ভোটে দুশো পার করবে বিজেপি ।আর সে কথা সত্যি হলে তো গেরুয়া ঝড় উঠবে।নবান্নের সিঁড়ি তে পা রাখবে বিজেপি।

তবে বিগ্রেড সমাবেশে ময়দানে নয়া মোর্চা জনজোয়ার কি নতূন সমীকরনের আভাষ দিলো।এদিনের মঞ্চ মনি আব্বাস সিদ্দিকী কি নতূন আলো টানলো।আর যাতে বিমান বসু ,মহম্মদ সেলিমেরা উচ্ছসিত।তবে অধীর চৌধুরীর মতো পোড় খাওয়া নেতা আব্বাস সিদ্দিকীর এই আলো একেবারেই পছন্দ করেন নি।সেদিন ই তিনি চেয়ে ছিলেন বিগ্রেড ছেড়ে চলে যেতে।তবে বিমান বসু সে পরিস্থিতিতে সামাল দেন।

তৃনমূলের ভোট ব্যাঙ্কের একটি বড় অংশ মুসলিম ভোট।আগে যা ছিল সিপিএমের দখলে।তবে কি বিমান বসুরা আব্বাস সিদ্দিকীর হাত ধরে সেই ভোটে থাবা বসাতে চাইছেন।দূরবীন দিয়ে দেখা বামপন্থীরা হয়তো ভাবছেন আবার সুদিন এলো বলে।তবে ধর্ম নিয়ে রাজনীতির তো কুফল থাকবেই।বিজেপি কে আটকাবার নাম করে যদি মুসলিম ভোট ভাগ হয় তাহলে আখেরে লাভ গিয়ে জমবে বিজেপির খাতায় ।তৃনমূলের বাড়া ভাতে ছাই দিতে গিয়ে বামপন্থীরা আরো বড় শত্রু বিজেপি কে ডেকে আনছে নাতো।আর একেই বলে খাল কেটে কুমীর আনা।

বিজেপি এ রাজ্যে ছিল না।2019 এর 18 টি সিট এনে খাতা খোলার পর থেকেই দিল্লি বিজেপি বঙ্গ জয়ের স্বপ্ন দেখা শুরু করে।আর তা থেকেই তৈরি হয় নয়া সমীকরন।

বিজেপি প্রথম দিন থেকেই ফাঁদ পাতে এই রাজ্যে ।কি ভাবে তৃনমূল দলকে ভেঙে টুকরো করতে হবে তা নিয়ে চলে নানা ফন্দি ।কিছুটা হলেও তাঁরা সফল হন।

শুভেন্দু অধিকারী ও রাজীব বন্দোপাধ্যায়ের মতো হেভিওয়েট নেতারা সেই ফাঁদে পা দিয়ে এখন বিজেপি দলের মধ্য মনি।কিন্তু শুভেন্দু রাজীব চলে গেলেও মমতার ক্যারিশমা এতটুকু কমেনি।ঠিক এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন দলকে।নিজস্ব স্টাইলে মমতা দল পরিচালনা আগে যেমন করেছিলেন এখনো তাই।

তবে মাঠে আব্বাস এসে কিছুটা হলেও খানিক রদবদল ঘটিয়ে দিলো।মুসলিম ভোটের যে টুকু আব্বাস টানতে পারবে তা ক্ষতি করবে মমতার।ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্টের নাম করে ইতিমধ্যেই তিনি মাঠে।ধর্মের মাঠ থেকে রাজনিতীর মাঠে এখন তিনি।আর সেই সঙ্গে বামফ্রন্টের হাত মেলানো আব্বাস সিদ্দিকী কে নতূন জায়গায় নিয়ে এলো।

তবুও বলবো রাজনিতীর রঙ যারা চিনবেন তাঁরা ভুল করবেন না।ধর্মের আফিং নিয়ে খেলতে গেলে অসুবিধা ও আছে।তবুও বলবো তৃনমূল দল কে অল আউট খেলতে হবে।শুধুমাত্র পিকের স্ট্যাজেডিতে কাজ হবে না।

এতদিন বিজেপি দল ধর্মের তাস খেলেছেন।এখন সেই তাস নিয়ে খেলতে বসলেন বামফ্রন্টের বেশ কিছু নেতা।আখেরে ক্ষতি জনগনের।

নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা কেউ যদি না পান তাহলেই মুশকিল।তখন বিজেপি তৃনমূল দুই দলকেই তাকাতে হবে আব্বাস সিদ্দিকীর দিকেই।সরকার গড়তে গেলে সংখ্যা গরিষ্ঠতা তো দরকার ।

কি হবে বঙ্গের ভোটে।লাখ টাকার প্রশ্ন ।তবে এখনো যা হাওয়া তাতে মমতার তৃনমূল আবার আসবে।কিন্তু শেষ কথা তো এভাবে বলা যাবে না।তৃতীয় শক্তি আব্বাস ও বামফ্রন্টের জোট কেমন পালে হাওয়া তোলে তা দেখার।কংগ্রেসের তো উপায় নেই।সমস্ত অপমান সহ্য করেও তাদের আব্বাস সিদ্দিকী কে মেনে চলা ছাড়া গত্যন্তর নেই।কিন্তু আব্বাস যে কখন কি চেয়ে বসবেন সেটিও আগাম বলা যাবে না।

তবে এতো কিছুর পরেও বলতে আপত্তি নেই তিনি মমতা বন্দোপাধ্যায় ।যার ক্যারিশমা বঙ্গ জুড়ে ।ভোট বাজারে আব্বাস, বিমান ও অধীর কে পিছনে ফেলে আজও তিনি অগ্নি কন্যা ।এতো সহজে হার মানবেন না।

ঘরের মেয়ে মমতা বন্দোপাধ্যায় এখনোও বঙ্গের ভোট যুদ্ধে সবার থেকেই এগিয়ে ।