#এক_ইছামতীর_কবি
#মহিন
ইছামতি ডাক পাঠায় অচেনা এক ভাটিয়ালীর মোহনায় যেখানে এক চোখের কাজলে ছোট্ট চিরকুট লেখা হয়,
একটা আবেগী মন , সারাদিন ব্যস্ত যখন ,
ডায়ালটোন ধরে একপা দুপা করে অগনিত রং নাম্বার মাঝখানে ঘন কুয়াশায় ঝাপসা রঙের এক অদৃশ্য…
#এক_ইছামতীর_কবি
#মহিন
ইছামতি ডাক পাঠায়
অচেনা এক ভাটিয়ালীর মোহনায়
যেখানে এক চোখের কাজলে ছোট্ট চিরকুট লেখা হয়,
একটা আবেগী মন , সারাদিন ব্যস্ত যখন ,
ডায়ালটোন ধরে একপা দুপা করে অগনিত রং নাম্বার
মাঝখানে ঘন কুয়াশায় ঝাপসা রঙের এক অদৃশ্য নেটওয়ার্ক , তাইতো সব সত্যি আজও ঠোঁট ফুঁড়ে বেরোতে পারেনি !
আমার ইছামতীর কবি
আকাশে মেঘ করলেই তোমার মুখটা বড্ড মনে পড়ে ,
ভুল করে উঠে পড়া লোকাল ট্রেন ,
জানলা দিয়ে যতদূর দেখা যায় , খোলা আকাশ , সবুজ মাঠ , নীল সাদা পোশাকে স্কুল ছুটির দল ,
রায় ব্রিজের নিচ দিয়ে বয়ে যায় এক চোখ ছলছলে লোনা জলের নদী !
আমিও তাকে ইছামতী বলি ,
আমার ইছামতির কবি !
আম আঁটির ভেঁপুর গল্পে , অল্প অল্প করে সন্ধ্যে জড়ো করি , ভীষণ ইচ্ছে হয় , আমিও তোমার শব্দ হতে চাই,
তোমার অক্ষর হতে চাই ,
একটা সীমান্তবর্তী আধা শহর ,
ঘিরে থাকা কাঁটাতারে আজও ভুলতে পারোনি , বাংলার আবার এপার ওপার কি !
মেহেদী কে ফেলে এসেছিলাম দেশ ভাগের আগেই , পৃথিবীর আড়াই হাত নিচ থেকে আজও তার কান্না শুনি , ধর্ষন করে কিভাবে দেহ জ্বালাতে হয় , ওপারের কিছু লোকেরা তখনই শিখে গিয়েছিলো ,
সেই মেহেদী আজও কথা রাখেনি , তার কবরে কোথাও আমার জন্য একটুও জায়গা রাখেনি ,
জীবনানন্দ থেকে কাঁটাতার পার করেই , চোখের সামনে এক জীবন্ত বিভূতিভূষণ ,
কাশফুল ভেদ করে ছুটে যায় ধোঁয়া ওঠা রেলগাড়ি , ঠিকানা পথের পাঁচালী থেকে অচেনা মেঘের বাড়ি , তীর ধনুক নিয়ে কর্ণ সাজে ব্যস্ত অপুর দল ,
এঁটো বাসন , সর্বজয়ার বাসন ধোয়া জল ,
আমার ইছামতীর কবি ,
কাজল পড়লে তাকে এখনো সুন্দর লাগে ,
হালকা লিপস্টিক মানেই কবিতার খাতায় এক গোধূলি, আর তার কবিতা মানেই ,
আমার সারাটাদিন !
ওপারের নাটোরের বনলতা সেন থেকে এপারের নীরা,
এদের মতো তুমিও আমার ইছামতির কবি ,
বৈষ্ণবি যতই গান না শুনিয়ে কথা রাখেনি , অমলকান্তি রোদ্দুর হতে পারলো কিনা সে খবর এখনো আসেনি ,
পূর্বরাগের বেলা যে বয়ে যায়
ভালো থেকো আমার ইছামতীর কবি ,