মাথা কাটা ছাগলনিখিলেশ চক্রবর্তী
সেদিন একটু রোদ উঠেছিল সেথা,বেড়ার আড়ালে ছায়া গিয়েছিল সরে;কপালে হয়তো চাকরিটা ছিল পাকা,মায়ের পেটের ভ্রূণ গিয়েছিল মরে ।
ও ভ্রূণ হয়তো বিদ্যাসাগর হতো,মাতৃত্বের নিদারুণ পরিহাসে;উপবাসী জ্ঞান লাঞ্ছিত শত শত…
মাথা কাটা ছাগল
নিখিলেশ চক্রবর্তী
সেদিন একটু রোদ উঠেছিল সেথা,
বেড়ার আড়ালে ছায়া গিয়েছিল সরে;
কপালে হয়তো চাকরিটা ছিল পাকা,
মায়ের পেটের ভ্রূণ গিয়েছিল মরে ।
ও ভ্রূণ হয়তো বিদ্যাসাগর হতো,
মাতৃত্বের নিদারুণ পরিহাসে;
উপবাসী জ্ঞান লাঞ্ছিত শত শত,
পাঁচ বছরের একুশ পেরোনো মাসে ।
বঞ্চিত করো বেকারের দাবী দাওয়া,
পুলিশের গুলি ফুঁড়ে দিক যত লাশে;
কবরখানায় মন্ত্রীর আসা যাওয়া,
রয়েছি সতত মোল্লা তোমার পাশে ।
দড়ি কাছি নিয়ে এসো সব কাছাকাছি,
হয়তো এবার সামনে নির্বাচন;
গণতন্ত্রের স্তম্ভটা ছোঁবে হাসি,
উলঙ্গ রূপে টেনেছে সবার মন।
ক্ষিপ্ত জনতা ভোট দিতে যাবে জানি,
মাথায় তাঁদের তপ্ত সূর্য জাগে;
ভূবন ভোলানো হাসি হাসে রাজধানী,
মা'র মন্দিরে মাথা কাটিয়েছে ছাগে ।
(বাইশে মার্চ; একুশ)