কবিতা-খেলাঘরকলমে-পাদকতাং-১৭/০৩/২০২১
খেলতে গিয়ে পড়ে আমি কেঁদে ছিলাম চিৎকারেবুকে চেপে মা বলত আর কাঁদিসনে সোনারে।জ্যেৎস্না রাতে ঝিঁঝিঁর ডাকে ঘুম না এলে চোখেতে 'খোকা ঘুমালো পাড়া জুড়ালো' মা গাইতো সুরেতে।
কিশোর বেলার ছোটাছুটি…
কবিতা-খেলাঘর
কলমে-পাদক
তাং-১৭/০৩/২০২১
খেলতে গিয়ে পড়ে আমি কেঁদে ছিলাম চিৎকারে
বুকে চেপে মা বলত আর কাঁদিসনে সোনারে।
জ্যেৎস্না রাতে ঝিঁঝিঁর ডাকে ঘুম না এলে চোখেতে
'খোকা ঘুমালো পাড়া জুড়ালো' মা গাইতো সুরেতে।
কিশোর বেলার ছোটাছুটি ভবিষ্যতের ঝালা-পালা
মা বলত ওরে খোকা জীবনটা নয় ছেলে খেলা।
নব যৌবনের দীপ্তরাগে প্রিয়তমার সুখ পাওয়া
সব বসন্তের শেষে দেখি ব্যর্থ হল পথ চাওয়া।
পরিযায়ী পাখি যেমন এদেশ থেকে ওদেশ যায়
তেমনি করে চেনা মানুষ দূরে থেকে দূরে রয়।
আলো আঁধারের পথে দেখি হাহুতাশের পরাজয়
মা বলত ওরে বাছা জীবন তো নয় অবক্ষয়।
সংসারের গোলক ধাঁধায় নিজেকে না খুঁজে পাই
পাওয়ার থেকে দেওয়া বেশি এটা যেন নিয়ম তাই।
বটের ঝুরি যেমন করে কান্ডটাকে ঘিরে রয়
বর্তমানের দাবি গুলি নিজকে না চিনতে দেয়।
বল না পেয়ে কাতর হয়ে কাঁদছি যখন যন্ত্রনায়,
প্রাণের প্রিয় বলে এখন আপদটা তো খুব জালায়।
জীবন মৃত্যুর মধ্যে শুধু মিথ্যে আপন ঘর বাঁধা,
শেষ জীবনের শেষে দেখি মা ছাড়া যে সব ধাঁধা।