লেখা থাক জীবন পাতায়কলমে:-সত্য দেব পতিএকরাশ আলোহীন উচ্ছাস আর কল্পনার অলীক বাস্তব ,আভিশাপ নিয়ে জন্ম নেয় ভুলের কৃষ্ণগহ্বরে;নীরস অগ্নীস্রাবে নির্গত লাভাস্রোতে দগ্ধ হয় জীবন,অমৃতের পিপাসু সময় যমদন্ড হাতে দাঁড়িয়ে থাকে দরজায়-রক্ত হীন ওষ্…
লেখা থাক জীবন পাতায়
কলমে:-সত্য দেব পতি
একরাশ আলোহীন উচ্ছাস আর কল্পনার অলীক বাস্তব ,
আভিশাপ নিয়ে জন্ম নেয় ভুলের কৃষ্ণগহ্বরে;
নীরস অগ্নীস্রাবে নির্গত লাভাস্রোতে দগ্ধ হয় জীবন,
অমৃতের পিপাসু সময় যমদন্ড হাতে দাঁড়িয়ে থাকে দরজায়-
রক্ত হীন ওষ্ঠ আরো সরসী হয় রীতুশ্রাবান্তে রমনীর মতো,
আকাঙ্খা তীব্রতা পায় বন্ধ ঘরের কপোতী হয়ে।
আহার কে অপ্রয়োজনীয় করে জীবন হাঁটে করালের অভিপ্রায়ে,
শুকিয়ে পড়া অক্ষিগোলকে দৃষ্টি ফেরাতে চায় বুদ্ধিমত্তা-
সায়াহ্নের গহ্বরে বিবরতা আসে ভাবনার প্রকোষ্ঠে,
তবুও কেন যেন একটা আত্মীকরন তাড়াকরে ঠিক প্রবিরার্জুনের স্নেহবন্ধনে!
বিস্ময়তার সূচক হয়ে হাওয়া হীন শশ্মানে ছুটে বেড়াচ্ছে নির্বাক জীবন,
জানলার ওপারে কাকজোছনার ছায়াপথে নিশুতি রাত-
বিষ্ময়ে আকাশ ভেজায় দ্বাদশীর চাঁদ।
মহানুভবতা রিক্ত হাতে ফিরে যায় ভালো বাসার হৃদয় ছুঁয়ে,
নির্লিপ্ত নয়নে সেই দৃশ্য টা নিরালায় দেখি,
ঐ যে জীবনটা অন্ধকারে বন্দী সেও কি খুব সুখী!
বিষ্ময়টাকে দুহাতে গলাটিপে ধরে নিস্তেজ করতেই যেন সময় বদ্ধপরিকর...
বিপ্লবী চেতনা আগুন হয়ে জৈষ্ঠ্য দহনে জ্বালিয়ে দেয় আপন বৈভবে,
এরপরেও মহাবলী হয়ে রাতকে বলিয়ান করে
গভীর অন্ধকার,
আজকে মাতৃত্বের অহংকার কে পতিতাদের সাথে তুলনায় ব্রতীষ্মান সমাজ,
বুক শুকিয়ে কাঠ-
পিতৃত্ব আজ অসহায় ধর্ষক,
জন্ম দেওয়া মণিকেও অস্বীকার করে পুরুষত্বহীনতা,
এগুলো একদিন জীবাশ্ম হয়ে পড়ে থাকবে মাটির অনন্ত গহ্বরে।