নন্দীগ্রাম এবার ও খবরের শিরোনামে
তরুন চট্টোপাধ্যায় রাজনৈতিক দলের প্রার্থী তালিকা প্রকাশ হতে চলেছে।আজ মমতার তৃনমূল দল প্রার্থীদের নাম প্রকাশ করে দিলো।দু এক দিনের মধ্যেই সব দলের প্রার্থী দের নাম প্রকাশ হয়ে পড়বে।আসলে আমাদের মতো যাঁরা …
নন্দীগ্রাম এবার ও খবরের শিরোনামে
তরুন চট্টোপাধ্যায়রাজনৈতিক দলের প্রার্থী তালিকা প্রকাশ হতে চলেছে।আজ মমতার তৃনমূল দল প্রার্থীদের নাম প্রকাশ করে দিলো।দু এক দিনের মধ্যেই সব দলের প্রার্থী দের নাম প্রকাশ হয়ে পড়বে।আসলে আমাদের মতো যাঁরা সাংবাদিকতার সঙ্গে যুক্ত তাঁরা তো আগে ভাগেই এই সব চমকের খবর জানতেন।কিন্তু সব নাম চলে না এলে সাংবাদিকরা যুদ্ধ ক্ষেত্রের মাটি চিনলেও ঠিকঠাক বিশ্লেষনের কাজটি করতে পারছিলেন না।আমিও তাই।
যদিও 294 টি আসন ছেড়ে এখন সবার নজর নন্দীগ্রামের দিকে।মমতা বন্দোপাধ্যায় লড়বেন এই কেন্দ্র থেকেই।খবর যদি ঠিক হয় মমতাকে হারাতে মাঠে নামছেন তাঁর ই একান্ত এককালের ভোট জয়ের সেনাপতি শুভেন্দু অধিকারী ।তবে এখন তিনি বিজেপি দলে।ফলে সবার চোখ থাকছে এই নন্দীগ্রামের দিকেই।মমতা বন্দোপাধ্যায় একটি কেন্দ্র থেকেই লড়বেন।কারন দুটি কেন্দ্র থেকে লড়তে হলে বিরোধীরা বোঝাতেন উনি জয়ের পর নন্দীগ্রাম কেন্দ্র তে আবার উপনির্বাচন হতো।কারন দুটি কেন্দ্র থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা গেলেও শেষমেষ বিধায়ক থাকতে পারেন একটি কেন্দ্রেই।তাই সে সম্ভাবনা নেই।
ফলে নন্দীগ্রামের মানুষ এখন আনন্দের জোয়ারে।কারন স্বাধীনতার পর থেকেই এই কেন্দ্র কখনোই মুখ্যমন্ত্রী পাননি।ফলে হয়তো দলমতনির্বিশেষে মমতা বন্দোপাধ্যায় কেই ভোট দেবেন।
কিন্তু মেদিনীপুরের ভূমিপুত্র শুভেন্দু অধিকারী ও অধিকারী পরিবারের হাত ধরেই তৃনমূলের এই জেলায় বাড়বাড়ন্ত ।মমতা বন্দোপাধ্যায় কে বাদ দিলে জননেতা হিসাবে শুভেন্দু অধিকারীর স্হান দ্বিতীয় ।ফলে লড়াই কিন্তু কারো পক্ষেই খুব একটা সহজ হবে না।কারন মমতা বন্দোপাধ্যায়ের ইলেকশান মেসিনারীর সব থেকে উল্লেখ যোগ্য নামটি কিন্তু এই শুভেন্দু ।খেলোয়াড় ও বটে।শুধু তফাত একটাই এখন তিনি বিরোধী দলে।
খেলা হবে।মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের মুখেও সেই খেলার কথা।
নন্দীগ্রামের সব থেকে বড় ইস্যু নন্দীগ্রাম রেলপথ ও হলদিয়ার সঙ্গে সেতু পথে যোগাযোগ ।মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় ক্ষমতায় এলে সে কাজ ত্বরান্বিত হবে।
তবে প্রশ্ন তুলবে শুভেন্দু ও।কেন্দ্রীয় সরকারের নীল বাতি ছাড়া এই দুটি প্রকল্পের বাস্তবায়নের সম্ভাবনা কি থাকবে।নন্দীগ্রাম সত্যিই অবহেলিত ।বেশ কিছুদিন আগেও এখানকার অনেক গ্রামে বিদ্যুতের সংযোগ ছিল না।কেরোসিন ই ছিল ভরসা।
এখানকার ভোটারদের প্রায় 30 শতাংশ মুসলিম ।বাকি 70 শতাংশ হিন্দু।কিছু না পাওয়া নন্দীগ্রাম তাই এখন অঙ্ক কষছেন।মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় না বিজেপি।
এরি মধ্যে আবার আব্বাস সিদ্দিকী ঘোষনা করেছেন এখানে ভালো প্রার্থী দেবেন।এক সময় শোনা গিসলো তিনি নিজেই দাঁড়াবেন।এখন অবশ্য তিনি দাঁড়াচ্ছেন না।
বিমান বসু তো বলে দিয়েছেন ভেবে চিন্তে এখানে প্রার্থী দেওয়া হবে।
হেভিওয়েট নির্বাচনী কেন্দ্র হিসাবে নন্দীগ্রাম এখন প্রদীপের আলোয় ।
খুব সহজেই যে এখানে জয় পরাজয় হবে না তা জানেন সকলেই।
তবে খেলা তো হবে।আর ফাইনাল ম্যাচটি কিন্তু এই কেন্দ্রেই।
বিজেপি দলের প্রার্থী তালিকা প্রকাশ হয়ে গেলেই খেলা শুরু হয়ে যাবে নন্দীগ্রামের ।
আর সমগ্র বাংলা এখন তাকিয়ে এই নন্দীগ্রামের দিকে।প্রার্থী যে এখানে মমতা বন্দোপাধ্যায় ।এর সঙ্গে শুভেন্দু চলে এলে সত্যি সত্যি খেলা জমে যাবে।
মুখ্যমন্ত্রী বনাম ভাবী মুখ্যমন্ত্রীর দাবিদার।সে কেন্দ্র তো উজ্জ্বল জোতিস্ক।