Page Nav

HIDE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

হাওড়া গ্রামীণের সাত কেন্দ্রেই এগিয়ে মমতার ঘাসফুল।

তরুন চট্টোপাধ্যায় ।কলকাতা । দ্বিতীয় দফার ভোট শেষ।6 এপ্রিল মঙ্গলবার তৃতীয় দফা।হাওড়া, হুগলি ও দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার 31 টি আসনে এদিন নির্বাচন ।জয় পরাজয়ে ভাগ্য নির্ধারণ ।তৃতীয় দফাতে হাওড়া জেলার বিশেষ করে গ্রামীনের সাতটি বিধান সভাতে নি…



তরুন চট্টোপাধ্যায় ।কলকাতা ।

 দ্বিতীয় দফার ভোট শেষ।6 এপ্রিল মঙ্গলবার তৃতীয় দফা।হাওড়া, হুগলি ও দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার 31 টি আসনে এদিন নির্বাচন ।জয় পরাজয়ে ভাগ্য নির্ধারণ ।

তৃতীয় দফাতে হাওড়া জেলার বিশেষ করে গ্রামীনের সাতটি বিধান সভাতে নির্বাচন ।কেন্দ্র গুলি হলো উলুবেড়িয়া উঃ,উলুবেড়িয়া দক্ষিন,শ্যামপুর,বাগনান, আমতা,উদয়নারায়ণপুর ও জগৎবল্লভপুর ।

নির্বাচন নিয়ে টানটান উত্তেজনা ।শেষ মূহুর্তে ও এখানে প্রচার তুঙ্গে ।যদিও এই সাতটি আসনের মধ্যে গত বিধান সভাতে ছয়টি তেই তৃনমূল দল জয়ী হয়েছিল।শুধু মাত্র আমতা আসনটি জয়লাভ করে কংগ্রেস দল।

2019 সালের লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল ও বলছে বিজেপি হাওয়াতেও এই সমস্ত অঞ্চল ও সেদিন ও ছিল তৃনমূলের দুর্গ ।প্রায় সব কটি আসনেই তৃনমূল প্রার্থী রাই এগিয়ে ছিলেন।ফাটল ধরেনি এতটুকুও ।

তবে 2016 বা 2019 সালের ফলাফল যাই হোক না কেন 2021 সালে দল বদলের একটা হাওয়া বহে গেছে এখানেও।বিশেষ করে হাওড়া শহরে বেশ কিছু নেতা নেত্রী মমতার তৃনমূল দল ছেড়ে বিজেপি দলে।তাই তৃনমূল কড়া নজর রেখেছেন গোড়া থেকেই।কারন রাজীব বন্দোপাধ্যায়, বৈশালী ডালমিয়া সহ বেশ কিছু নেতা দলবদল করেছেন।হাওড়ার ডোমজুড় কেন্দ্রে আবারও প্রার্থী হয়েছেন রাজীব বন্দোপাধ্যায় ।অবশ্য বিজেপি দলের হয়ে।তবে রাজীব বন্দোপাধ্যায় বিজেপি দলে যোগদান করেও খুব একটা সুবিধা করতে পারেন নি।

হাওড়ার মূল গোষ্ঠী কোন্দল ছিল রাজীব বন্দোপাধ্যায়ের সঙ্গে অরুপ রায়ের ।চুনোপুটি ও রাঘব বোয়াল বলে তিনি আগেই দলের মাথা হেঁট করিয়েছিলেন ।অরুপ রায় কে সরে যেতে হয়েছিল জেলার চেয়ারম্যান পদ থেকে।সেই রাজীব বিজেপি দলে যোগ দেওয়ার পর গোষ্ঠী কোন্দল অনেকটাই স্মিমিত হয় তৃনমূল দলে।

হাওড়া জেলার এই সাতটি কেন্দেই এখনো এগিয়ে আছে তৃনমূল দল।কারন তৃনমূল দল ও মমতা বন্দোপাধ্যায় কে ছেড়ে চলে যাওয়া টি তৃনমূলের নীচের সারির নেতারা ভালো চোখে দেখেন নি।ফলে তাঁরা চাইছেন বিজেপি যেন এখানে মাথা তুলতে না পারে।তাই এক কাট্টা হয়েই মাঠে নেমেছেন তৃনমূল দল।বিজেপি হঠাও দেশ বাঁচাও ই হলো তাঁদের শ্লোগান ।

তবে বিজেপি দল ও বসে নেই।নানা ভাবে সভা করে মমতা বন্দোপাধ্যায়ের দল কে পরাজিত করার জন্য অল আউট প্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন ।যদি এখান থেকে আসন জিততে পারেন।

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, অমিত শাহ ও জেপি নাড্ডার মতো হেভিওয়েট দের মতো নেতাকে বার বার রাজ্যে নিয়ে আসা চলছে।তবে মমতা বন্দোপাধ্যায়ের শক্ত গড় এই হাওড়া তে তেমন কোন চিহ্ন এখনো ফুটে ওঠে নি।আজও এখানে ঘাসফুলের আধিপত্য রয়েছে।

রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের মধ্যে দিয়ে দু দফায় নির্বাচন শেষ হয়েছে।তৃতীয় দফায় 31 টি কেন্দ্রে ভোট মঙ্গলবার ।টানটান উত্তেজনা রয়েছে তৃতীয় দফার এই ভোট কে ঘিরেও।নির্বাচন কমিশনের ও নজর রয়েছে।কেন্দ্রীয় বাহিনীর ঘেরাটোপ হাওড়া জুড়ে ও।ফলে আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে শান্তিপূর্ণ নির্বাচন নিয়ে ও।কারন বিজেপি চাইছে তৃনমূলের দুর্গে থাবা বসাতে ।অন্য দিকে তৃনমূল চাইছে ঘাসফুলের এই গড়কে অটুট রাখতে।

পরিবর্তন না পরিবর্তনের পরিবর্তন ।তার কিছুটা আভাষ পাওয়া যেতে পারে তৃতীয় দফার এই নির্বাচন শেষ হলে।তাই নজর রয়েছে সকলের তৃতীয় দফার এই ভোটকে ঘিরেই।

হাওড়া 2011 সাল থেকেই তৃনমূলের দখলে।দল বদল করে হৈ হট্টগোল কিছুটা হলেও ঘাসফুলের ছবি যে অটুট থাকবে তা বলছে জনগন।তবে জনতা জনার্দন ইভিএমে কি বার্তা দেবেন তা আগেভাগে না বলাই ভালো।

ঘাসফুল না পদ্ম ফুটবে হাওড়া গ্রামীণে সে ছবি পরিস্কার হবে আর সামান্য ক্ষন।

তাই অপেক্ষা ছাড়া গত্যন্তর কি।