রাত্রির উড়ান** **মালবিকা মজুমদার**
আমি মাঝে মাঝেই এক ঘর অন্ধকার কাটা ছেঁড়া করি।রাতের গাঢ় নিশ্ছিদ্র গভীরতায় ,নির্ভার ভাবনায় সাদা বকের মতো পাখনা মেলে স্বপ্নের উড়ান ভরি ।সেখানে সব চরিত্র কাল্পনিক,সেখানে ভয়ের বিভীষিকা জাপটে ধরে না,বি…
রাত্রির উড়ান**
**মালবিকা মজুমদার**
আমি মাঝে মাঝেই এক ঘর অন্ধকার
কাটা ছেঁড়া করি।
রাতের গাঢ় নিশ্ছিদ্র গভীরতায় ,
নির্ভার ভাবনায় সাদা বকের মতো পাখনা
মেলে স্বপ্নের উড়ান ভরি ।
সেখানে সব চরিত্র কাল্পনিক,
সেখানে ভয়ের বিভীষিকা জাপটে ধরে না,
বিশ্বাসের ভাঙা টুকরো গুলো অন্ধকার ঘরে আজো আনাচে কানাচে ছড়িয়ে ছিটিয়ে
দিব্বি ঘর করছে মৃত শরীরে।
তাই আলোর সাথে ঢের দূরত্ব বাড়িয়ে মন কে
অজানা দ্বীপে নির্বাসিত করে স্থায়ী বাসিন্দা হয়েছি।
কিছু ঘটনা যখন দুঃখ বয়ে আনে ,
তাকে দুর্ঘটনা বলে প্রতিবেদন করতে পারি না ,
এক একটা রাত বিনিদ্র ফলকে ভুলের নামাঙ্কিত দিন হিসেবে বাড়তে থাকে অপরাপর।
শুকিয়ে যাওয়া নদীর বুকে এক বিন্দু তৃষ্ণার
জল নেই ,
অবশিষ্ট নির্জীব অনুভূতির মৃত্যুমিছিলে
জড়ের জয়রথ।
বিশ্লেষণের আত্মগ্লানিতে আরো গভীর বিরাগ
জমে ওঠে।
যে আঘাতের চিহ্ন সার্বজনীন নয়, সেগুলোই দীর্ঘস্থায়ী হয়ে থেকে যায়,
জন্মান্তরের কবরে;
কবিতা গুলো সেই অনুভূতির ভোরাই,
আতুড় ঘর।
এই শব্দ গুলো রোজ ঐকান্তিক একান্তের প্রাগৈতিহাসিক ইতিহাস লিখে রাখে ।