Page Nav

HIDE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

অতিযুক্ত বিধায়কের সংখ্যায় সমীক্ষায় কোন দল এগিয়ে ?

আপনার বিরুদ্ধে কোন ফৌজদারি মামলা ঝুলছে নাকি? আপনার বিরুদ্ধে কোন খুন জখমের মামলা।আর্থিক কোন লেনদেন নিয়ে কোর্টে কেস।কিংবা কোন অপরাধের সঙ্গে আপনার নাম কি জড়িয়ে আছে।অধিকাংশ মানুষের ই উওর না।এমন কোন কিছু নেই।আর এটাই স্বাভাবিক ।আপনি সা…

 




তরুন চট্টোপাধ্যায় 

আপনার বিরুদ্ধে কোন ফৌজদারি মামলা ঝুলছে নাকি? আপনার বিরুদ্ধে কোন খুন জখমের মামলা।আর্থিক কোন লেনদেন নিয়ে কোর্টে কেস।কিংবা কোন অপরাধের সঙ্গে আপনার নাম কি জড়িয়ে আছে।

অধিকাংশ মানুষের ই উওর না।এমন কোন কিছু নেই।আর এটাই স্বাভাবিক ।আপনি সাধারণ মানুষ ।নুন আনতে পান্তা ফুরোনোর দলে।

রুজিরোজগারের সন্ধানে আপনার দিন চলে যায় ।

আমি তো সামান্য লোক

আমার আবার দুঃখ কিসে

আমার তো দিন চলে যায় 

সাধারণ ভাত কাপড়ে।

হ্যাঁ ।অধিকাংশ মানুষ ই তো তাই।সাধারণ ভোটার মাত্র ।ভোটের লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা এক মুখ।পছন্দের প্রার্থী কে ইভিএমের বোতাম টেপা ছাড়া আর কি।

কিন্তু যারা ভোটে দাঁড়ান।ভোট আনতে মাঠে ঘাটে মিছিল মিটিং করেন তাঁরা নিশ্চয় এই দলে নেই।আছেন অন্য দলে।অভিযোগ তো থাকবেই।

সমীক্ষা বলছে অভিযুক্ত বিধায়ক বেশি বিজেপি দলের।মনোনয়ন পর্বেই চোখে পড়েছিল গুরুতর অভিযোগে অভিযুক্ত প্রার্থী সংখ্যার নিরিখে বিজেপি দল বঙ্গে ও এগিয়ে ছিল।

ওয়েস্ট বেঙ্গল ইলেকশন ওয়াচ এবং অ্যাসোসিয়েশন ফর ডেমোক্রেটিক রিফর্মস এর যৌথ সমীক্ষার হিসাব হলো বঙ্গে বিজেপির 51 শতাংশ বিধায়কের বিরুদ্ধে ই রয়েছে গুরুতর অপরাধের মামলা।অপরদিকে শাসক দল তৃনমূলের 34 শতাংশ বিধায়কের বিরুদ্ধে ও ঝুলছে এই সব মামলার খাঁড়া।একদল বিরোধী ,অপর দল শাসক।কেউ কিন্তু বলতে পারছে না তাঁরা ক্লীন চিট।যদিও মানুষ তাঁদের ভোট দিয়ে ছেন।আর রাজনৈতিক মানুষ জন বলেই কি এই সব অভিযোগ ।আর সেই সব বিধায়ক এই সব মামলার কথা জেনেও ডোন্ট কেয়ার ।কারন জন প্রতিনিধি তো তারাই।ফলে মানুষ তাদের বেছেছেন।আর এই সব মামলার দায় ঘাড়ে নিয়ে ই তাঁরা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছিলেন ।ফলে এনিয়ে যত কথাই উঠুক তাঁদের কিছুই যায় আসে না।

তবে কি নিছক পরিসংখ্যানের রিপোর্টের ভিত্তিতে এই লেখা শেষ করতে হবে।কেউ মত দিচ্ছেন হ্যাঁ ।আবার কেউ না।আর রাজনৈতিক দল গুলি তো এই বিষয়টি কে আমল দিতেই রাজি নয়।ক্ষমতায়ন যাঁর হাতে তিনি কেন খামোকা আমল দেবেন।সে প্রশ্ন ও তো উঠছে।জোর যার মুলুক তাঁর গোছের।

কিন্তু গুরুতর অভিযোগে অভিযুক্ত রা আইন সভায় প্রতিনিধিত্ব করার নীতিগত অধিকার থাকা উচিত কিনা ,নৈতিকতার সেই প্রশ্ন টিও একেবারে ছুঁড়ে ফেলার নয়।ফলে জলঘোলা তো চলবেই।তবে আবারও বলি জল ঘোলা আর স্বচ্ছ সে সব পুরানো কাসুন্দি ঘাটতে কে আর চায়।মিথ্যা মামলা বলে তো একটি কথা চালু আছে।আর তাতে শাসক বিরোধী দু দলই এক কাট্টা ।

সে যাই হোক আমরা পরিসংখ্যানের দিকেই নজর রাখি।সমীক্ষায় উঠে আসা অপরাধ গুলির মধ্যে রয়েছে খুন,জখম,ডাকাতি,ধর্ষণ,রাহাজানি র মতো অপরাধ । অভিযুক্ত দের প্রার্থী করার ব্যাপারে সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণ থাকলেও রাজনৈতিক দলগুলি তাতে আমল দেন নি বলেই সমীক্ষক দের অভিমত।সে কথাটিও সমীক্ষক দের সমীক্ষায় উঠে এসেছে।

সদ্য নির্বাচিত দশ জন বিধায়কের বিরুদ্ধে খুনের মামলা রয়েছে।কুড়ি জনের বিরুদ্ধে মহিলা সংক্রান্ত গুরুতর অভিযোগ ও দেখা যাচ্ছে সমীক্ষায় ।তা থাকুক বা না থাকুক জয় তো এসেছে জনগনের রায় থেকেই।

এই সমীক্ষা তে বিধায়কদের আর্থিক বিষয় টিও উঠে এসেছে পরিস্কার ভাবে।দেখা যাচ্ছে সব মিলিয়ে 54 শতাংশ বিধায়ক ই কোটিপতি।তৃনমূল বিধায়কদের 62 শতাংশ কোটিপতি। 33 শতাংশ বিজেপি র বিধায়ক এই দলেই।ফলে কোটিপতি বিধায়ক দের সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে।

সম্পদের নিরিখে প্রথম থেকে তৃতীয় স্হানে রয়েছেন তিনজন তৃনমূল বিধায়ক।আর এরা হলেন জাভেদ আহমেদ খান, বিবেক গুপ্ত ও মনোজ তিওয়ারি ।সব মিলিয়ে বিধায়কদের মাথা পিছু সম্পদের পরিমাণ 2 কোটি 55 লক্ষ্য টাকা।যা সত্যিই চোখ ধাঁধিয়ে যায় ।

অন্য দিকে সমীক্ষা বলছে ,জনপ্রতিনিধিত্বের ক্ষেত্রে লিঙ্গ বৈষম্য ও প্রকট।2016 সালে বিধান সভায় 14 শতাংশ মহিলা বিধায়ক ছিলেন।নতূন বিধান সভাতেও সেই সংখ্যা 14 শতাংশ ।বৃদ্ধি তো ঘটেই নি।

সমীক্ষক দল খাতায় কলমে সমীক্ষা তো করে যাবেন।কিন্তু বাস্তব চিত্র তো এর ফলে কখনোই পরিবর্তন হবে না।অভিজ্ঞতা তো তাই বলে।

গুরুতর অপরাধে অভিযুক্ত যাঁরা, যাদের বিভিন্ন কেস এখনো বিভিন্ন আদালতে বিচারাধীন তাঁরা তো জনতার আদালতে আজও হিরো।ফলে জয় তো আছেই।আর জয় যখন কেউ পান তখন ধরে নিতেই হয় তিনি জনতার দরবারে সঠিক প্রার্থী বলেই জনগন তাঁকে বেছে নিয়েছেন।আমরা শুধু সমীক্ষার রিপোর্টও চোখ রাখি।আর সেই সমীক্ষা নিয়ে প্রতিবেদন তৈরি করি।

আসলে জনগন ই হলেন জনার্দন।সেই জনাদেশ কে মাথায় নিয়ে চলতে তো হয়।আর আমরাও তাই চলি।বাকি খবর রাখার প্রয়োজন বোধ করি না।

শাসক দলের বিধায়ক সংখ্যা তে বিরোধী দলের থেকেও বেশি।তবে হিসাব বলছে ,অভিযুক্ত বিধায়ক বিজেপি দলেই বেশি।বিধায়কের সংখ্যা তে পিছিয়ে থাকলেও অভিযোগের তীরে বিদ্ধ বিধায়ক বিজেপির সঙ্গেই আছেন।

না মনগড়া কোন খবর নয়।ওয়েস্ট বেঙ্গল ইলেকশন ওয়াচ ও এ ডি আর এর যৌথ সমীক্ষা থেকেই উঠে এসেছে এই তত্ত্ব ।ফলে তাতো ফেলে দেওয়া যায় না।


তরুন চট্টোপাধ্যায় ।